
ঠিক কতোদিন আগে শেষবার অভিমান করেছিলাম- মনে নেই। মনে নেই- কবে শেষবার অভিমানী ভাবনাদের গুছিয়ে নিয়ে আস্ত একটা লিরিক বা গল্প লেখে ফেলেছিলাম। লিরিকদের ছাড়া আমি নিতান্তই সাধারণ একটা মানুষ। আমি সাধারণ থাকতে চাইনা। প্রতিদিনই একটু একটু করে অসাধারণ হয়ে উঠতে চাই। হয়ে যেতে অনন্য অসাধারণ...
তবে তার জন্য আবার নতুন করে অভিমানী হতে হবে...
তুমি ঘৃণা করলে আমি অভিমানী হই। তুমি সন্দেহ করলে আমি অভিমানী হই। তুমি আমাকে অবহেলা করে ফেলে রাখলেও আমি অভিমানী হই। এসোনা আবার... নতুন করে আমাকে ঘৃণা করতে, নতুন করে অবহেলায় ফেলে রাখলে...
০২
যখন দেখি তুমি- আমার সাথে কথা বলার সময়ে তুমি বেঘোরে ঘুমাও, তখন আমার অভিমান হয়। যখন দেখি আমার সাথে দেখা করার সময়ে তুমি সিরিয়াল দেখতে বসো, তখন আমার অভিমান হয়। যখন দেখি- আমার প্রিয় গানগুলো তুমি আর ভালোবেসে আমাকে শোনাওনা, তখনও আমার নিটোল নির্মল অভিমান হয়...
এসব অভিমান জড়ো করে আমি লিরিক লেখে ফেলি। সে লিরিকে সূর লাগে। লিরিকগুলো গান হয়ে যায়। গানগুলো প্রজাপতি হয়ে যায়। প্রজাপতিগুলো প্রেম হয়ে যায়। সে প্রেমে তোমাকে আবার জড়িয়ে ধরি। চুমু খাই... তোমাতে গা ভাসাই... মন ভাসাই... আমি ভাসতে থাকি আপদ-মস্তক...
০৩
কিন্তু যদি দেখি- আমার সাথে কথা বলার সময়ে তুমি অন্য কারো সাথে কথা বলো; হতে পারে তোমার কাজিন, তখনও আমার অভিমান হয়। যখন দেখি আমার সাথে দেখা করার সময়ে তুমি বান্ধবীর আপার সাথে বেড়াতে বের হও; সাথে থাকে তার বর, তখনও আমার অভিমান হয়। যখন দেখি আমার প্রিয় গানগুলো তো গাওই না- উল্টো হিন্দি হিপহপ গেয়ে গেয়ে তোমার শরীর নাচে, তখনও আমার অভিমান হয়... এইসব অভিমান নিটোল থাকেনা... এর সাথে ঘৃণাও থাকে...
এসব অভিমান জড়ো করলে তোমার প্রতি সন্দেহ দানা বাধে। তোমাকে দূরের মনে হয়... এসব অভিমানে লিরিক আসেনা, বরং আগের লিরিকগুলো অচেনা মনে হয়... আমি আর ভাসতে পারিনা তোমাতে, তোমার নদীকেই তখন মনে বালুচর... ধু ধু বালুচর...
০৪
আবার ঠিক ঠিক অভিমানী হতে চাই। তোমার দেয়া বিশুদ্ধ অভিমানে... আবার কিছু নতুন লিরিক লেখতে চাই। নতুন গান বানাতে চাই। নতুন প্রজাপতি উড়াতে চাই। নতুন করে প্রেমে পড়তে চাই...