বাংলাদেশী পর্ণস্টার ও সিনেমা পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝরের ভিডিও স্কান্ডাল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। উপস্থাপিকা চৈতির সঙ্গে তার ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের শারীরিক সম্পর্কে ভিডিওটি নিয়ে এনামুল করিম নির্ঝরের সাফ জবাব হলো, পুরো ভিডিওটি ফেক! যদিও ভিডিওতে নির্ঝরকে পরিষ্কার ভাবে যেমন চেনা গেছে, তেমনি ভিডিওর শেষাংশে চৈতির মুখে পরিস্কার ভাবে নির্ঝরের নাম শোনা গেছে।
************************************
যাই হোক, আজ দৈনিক আমাদের সময়ে এবং অনলাইন নিউজ এজেন্সী বাংলানিউজের সুবাদে অনেকেই জেনে গেছেন যে, অভিনেত্রী ও মডেল তানজিকাকে গতকাল রাতে নির্ঝর বিয়ে করেছেন। নিশ্চিতভাবেই সকলেই চমকে গেছেন এই ভেবে যে, তানজিকা কিভাবে এত কিছু জেনেও বিয়েতে রাজি হলো!
আসলে এই মিডিয়াতে সবই সম্ভব! নইলে যে অপূর্ব অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে অবশেষে অন্যের বাগদত্তা হবু বউ প্রভাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে, সেই আবার রাজীবের সঙ্গে প্রভার ভিডিও প্রকাশ করার পর তাকে ছেড়ে চলে যায়! তেমনি হয়তো চৈতির সঙ্গে নির্ঝরের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশ হবার পরও তানাজিকা এই পর্ণস্টারকে বিয়ে করতে রাজি হলো!
এখানে উল্লেখ করাটা জরুরী তা হলো, তানজিকার সঙ্গে নির্ঝরের শেষ ৩ বছর যাবত লিভ-টুগেদার চলছিল। এটা মিডিয়ার সকলেই জানতো। ফলে নির্ঝরের ভিডিও যখন প্রকাশ হয় তখন অনেকেই নিশ্চিত ছিল যে, ভিডিও'র নায়িকা (!) হয়তো তানজিকা। কিন্তু সবাই চমকে উঠলো তখনই, যখন দেখা গেলো ভিডিও'র নায়িকা তানজিকা নয়, চৈতি!!
আসলে চৈতির সঙ্গে নির্ঝরের যখন সম্পর্কে ছিল তখন নির্ঝর বা চৈতি কেউই মিডিয়াতে এতটা পপুলার ফেস ছিল না। ফলে সেই ২০০৫ সালে অবিবাহিত চৈতির সঙ্গে বিবাহিত নির্ঝরের লিভ-টুগেদার চললেও মিডিয়ার খুব মানুষই এটি সম্পর্কে জানতেন। আর এই কারণেই নির্ঝরের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরবর্তিতে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়!
তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, ছাড়াছাড়ির পর চৈতিকে কেন নির্ঝর বিয়ে করলো না?
আসলে চৈতি একই সময়ে আরো দুটি গভীর সম্পর্ক কনটিনিউ করছিল, যেটি নির্ঝর প্রমাণসহ পরবর্তিতে জেনে যায়। ফলে ফলাফল হয় নির্ঝর চৈতির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং চৈতির স্থানে রিপ্লেসমেন্ট করে তানজিকাকে।
মিডিয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমে আব্দুন নূর তুষারের সঙ্গে চৈতির শারীরিক সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন। আব্দুন নূর তুষারের সঙ্গে চৈতির সম্পর্কের শুরুটা মূলত শুভেচ্ছাতে তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করার সময় থেকে। পরবর্তিতে বিভিন্ন জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। চৈতি ছিল তানজিকার চেয়েও উচ্চাভিলাসী। চৈতির সর্বশেষ শারীরিক সম্পর্ক বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঙ্গে আছে বলে জেনেছি। বৈশাখী টিভিতে আসার আগে সাংবাদিক বুলবুল সাহেব এটিএন বাংলাতে দীঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি বৈশাখীতে চৈতিকে ফ্লোর দেন এবং অধিনস্তদের নির্দেশ দেন চৈতিকে ভালভাবে হাইলাইট করার জন্য।
এদিকে মিডিয়াতে উচ্চাভিলাসী তানজিকা এসময় খুঁজছিলো নির্ঝরের মত ভাল একটি ব্যাকআপ। কারণ নির্ঝর তখন সরকারী অনুদানের ছবি "আহা!" নির্মাণ করে সর্বমহলে পরিচিত ও সমাদৃত একজন ব্যক্তিত্ব। উপরন্তু এক্স-বুয়েটিয়ান নির্ঝর সিনেমা পরিচালক ছাড়াও একজন আর্কিটেক। তার নিজস্ব একটি ফার্মও রয়েছে। "ভূত" নামের রেস্টুরেন্টটিও তারই। ফলে আর্থিক দিক থেকেও তানজিকা যে সাপোর্ট পেল তা অন্য কারোর কাছ থেকে পাওয়া এতটা সম্ভব নাও হতে পারতো, যেটা ডিভোর্সড নির্ঝরের কাছ থেকে সে পেতে শুরু করলো! আর সেই প্রতিদান দিল সে গতকাল নির্ঝরের ভিডিও স্ক্যান্ডাল সত্বেও তাকে বিয়ে করার মাধ্যমে।
************************************************
গুলশানে ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বিয়েতে একমাত্র প্রথম আলো উপস্থিত ছিল! কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেছে, যেহেতু "যা কিছু ভাল, তার সঙ্গে প্রথম আলো", সুতরাং হয়তো প্রথম আলোও হয়তো নির্ঝরের ব্যাপারগুলোকে ভাল বলেই মনে করেছে!
************************************************
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১৭