যাক শিশুদের বয়স নির্ধারণ নিয়ে যে রাষ্ট্রীয় দ্বিধা-দন্দ্ব ছিল এতদিন তা তাহলে নিরসন হতে যাচ্ছে। শিশুদের বয়স ১৮ পর্যন্ত নির্ধারন করে খসড়া শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী শিশুদের বয়স ১৮ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আবার বলা হয়েছিল যে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র চাইলে সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বয়স নির্ধারন করা যাবে।
বাংলাদেশে শ্রম আইনে, ফৌজদারী আইনে আর সর্বসাধারনের মধ্যে শিশুর বয়স নিয়ে বিভিন্নতা ছিল।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। ভালভাবে বিকশিত একজন শিশুই বড় হয়ে দেশের মেধাবী নীতিনির্ধারক, সৎ রাজনীতিবীদ, সংবেদনশীল ডাক্তার, কিংবা দক্ষ ইন্জ্ঞিনিয়র হবে। আর ত্রুটিপূর্ণ ভাবে বিকশিত শিশুরাই বড় হয়ে মেধাহীন, অসৎ, গলাকাটা আর অদক্ষ পেশাজীবী হিসেবে পরিণত হবে। আমরা শুধু দূর্নীতি, অসৎ আর অদেশপ্রেমী রাজনীতিবীদ নিয়ে চিল্লাচিল্লিই করতে পারি, গোড়া নিয়ে ভাবতে পারি কয়জন?
যদি তাই ভাবতাম তবে নিজ পরিবারের শিশুদের শিশু মনবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বড় করে তোলার চেষ্টা করতাম যেন তাদের মনো-সামাজিক ও মেধাগত বিকাশ সুসম্পন্ন হয়। কিন্তু এখন আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ধারনা একগাদা প্রাইভেট টিউটর আর স্কুলের দেয়াল গন্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
শিশুদের এই পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন একটা পৃথক মন্ত্রনালয়ের। মা ও শিশু মন্ত্রনালয় যেটা রয়েছে তা সম্পর্কে বলা হয় এরা শুধু মা কেন্দ্রীক। বলা হয়ে থাকে মায়ের কোলে শিশু থাকে বলে এর নাম মা ও শিশু মন্ত্রনালয়! এক শিশু একাডেমী পরিচালনা করা ছাড়া এদের শিশু নিয়ে তেমন কোন সিগনিফিকেন্ট কাজ নেই।
যতদিন একটা পৃথক মন্ত্রনালয় গঠন হবে না ততদিন পর্যন্ত দেশের উন্নতি নেই। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা জরুরী নীতিনির্ধারণী মূলক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। এখন দাবী থাকবে শিশুদের জন্য পৃথক মন্ত্রনালয় গঠনের।