somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সহী হাদীস কিভাবে চিহ্নিত করবেন?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


[সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইব‌ন আব্দুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন ও সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন। আরও সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরিবারবর্গ (আহলুল বাইয়াত) এবং উনার সাথীদের উপর, যারা তার আনীত দ্বীন ও আদর্শকে পরবর্তী উম্মতের নিকট যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সবার উপর।]

সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পবিত্র কুরআন শরীফের ধারক ও বাহক। আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে মানবজাতিকে একটি আদর্শ অনুসরণের ও অনেক বিধিবিধান পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর বিস্তারিত বিবরণ দেননি। এর ভার ন্যস্ত করেছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর। তিনি নিজের কথা, কাজ ও আচার-আচরনের মাধ্যমে কুরআনের আদর্শ ও বিধান বাস্তবায়নের পন্থা ও নিয়ম কানুন বলে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফকে কেন্দ্র করেই তিনি ইসলামের এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান পেশ করেছেন। অন্যকথায়, কুরআন মজীদের শিক্ষা ও নির্দেশসমূহ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর করার জন্য মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাই হচ্ছে হাদীস। হাদীস সমূহও যে ওহীর সূত্রে প্রাপ্ত এবং তাশরী’আতের অন্যতম উৎস সেটা পবিত্র কুরআন শরীফেরই উল্লেখ করা আছেঃ-
১। “আর তিনি মনগড়া কথাও বলেন না, এতো ওহী যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (৫৩:৩-৪)
২। “তিনি যদি আমার নামে কিছু রচনা চালাতে চেষ্টা করতেন আমি অবশ্যই তাঁর ডানহাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে নিতাম তাঁর জীবন ধমনী” (৬৯:৪৪-৪৬)
৩। “রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (৫৯:৭)


মহানবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেই বলে গেছেনঃ “জেনে রাখ, আমাকে কুরআন দেয়া হয়েছে এবং তার সাথে দেয়া হয়েছে এর অনুরূপ আরও একটি জিনিস”। (আবূ দাঊদ, ইবনমাজা, দারিমী)


মহানবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ী, তাবেঈনদের কথা, কাজ এবং সমর্থন একই বিষয় কেন্দ্র করেই পরিচালিত হলেও, শরীয়তের ভাষায় মর্যাদার কারনে এই বিষয়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১) মহানবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কথা, কাজ এবং সমর্থনকে বলা হয় হাদীস।
২) সাহাবায়ে কেরামদের কাজ এবং সমর্থনকে বলা হয় আছর।
৩) তাবেয়ী, তাবেয়ীনদের কাজ এবং সমর্থনকে বলা হয় ফতোয়া।


সিহা সিত্তা কি? হাদীসের বিশ্বস্ততা কি?
হাদীস গ্রন্থগুলোর মধ্যে ছয়টি হাদীস গ্রন্থকে সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ বলা হয়, এরা ‘সিহাহ সিত্তা’ বা ‘ছয় বিশুদ্ধ বই’ নামেও পরিচিত। সিহাহ অর্থ বিশুদ্ধ, সিত্তা অর্থ ছয়। সিহাহ সিত্তা এর আভিধানিক অর্থ হল ছয়টি বিশুদ্ধ, আর ইসলামী পরিভাষায় এটি হাদীস শাস্ত্রের ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ। এই সকল হাদীসগ্রন্থের মধ্যেকার কিছু হাদীসকে সহীহ হাদীস, কিছু হাদীসকে হাসান হাদীস এবং কিছু হাদীসকে যায়ীফ হাদীস বলে।

আপনি জানেন কি, সহীহ হাদীস, হাসান হাদীস ও যায়ীফ হাদীস কাকে বলে?
বিশ্বস্ততা হিসেবে হাদীস তিন প্রকারঃ
১। সহী হাদিসঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের বর্ণনার ধারাবাহিকতা রয়েছে, সনদের প্রতিটি স্তরে বর্ণনাকারীর নাম, বর্ণানাকারীর বিশ্বস্ততা, আস্তাভাজন, স্বরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর কোনস্তরে তাদের সংখ্যা একজন হয়নি তাকে সহীহ হাদীস বলে।

২। হাসান হাদিসঃ সহীহ সবগুনই রয়েছে, তবে তাদের স্বরণ শক্তির যদি কিছুটা দুর্বলতা প্রমাণিত হয় তাকে হাসান হাদীস বলে।

৩। জায়ীফ হাদীস হাসান, সহী হাদীসের গুন সমুহ যে হাদীসে পাওয়া না যায় তাকে যায়ীফ হাদীস বলে।

সহী হাদীস কিভাবে চেনা যাবে?
صحيح শব্দটি আরবি। বহুবচনে صحاح। এর আভিধানিক অর্থ সুস্থ। সাধারণত মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য ‘সহী’ ব্যবহৃত হয়, যেমন হাদিসে এসেছে:” وَأَنْتَ صَحِيحٌ ” ‘তুমি সুস্থাবস্থায়’। এ থেকেই সনদ ও মতন এর যেকোন দোষমুক্ত হলেই হাদীসকে সহী বলা হয়।

যেকোন হাদীসের দুইটা অংশ থাকেঃ
সনদঃ হাদীসের মূল কথাটুকু যে সুত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাঁকে সনদ বলা হয়। এতে হাদীসের বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।
মতনঃ হাদীসের মূল কথা ও তাঁর শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।

‘সহী’-র পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রসঙ্গে হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী তার লেখায় বর্ননা করেছেনঃ
هو ما نقله العدل تام الضبط متصل السند غيرمعلل ولا شاذ .
“যে হাদীস মুত্তাসিল সনদ তথা অবিচ্ছিন্ন সনদ পরম্পরায় বর্ণিত হয়, রাবী বা বর্ণনাকারী আদিল ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হয়, এবং সনদটি শায কিংবা মুআল্লাল নয়; এমন হাদীস’কে সহী বলে।
মোটকথা, হাদীস সহী হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছেঃ
১. সনদ মুত্তাসিল হওয়া।
২. রাবির আদিল হওয়া।
৩. রাবির দ্বাবিত হওয়া।
৪. শায না হওয়া।
৫. মু‘আল্লাল না হওয়া।

প্রথম শর্ত: اتصال السند বা সনদ মুত্তাসিল হওয়া:
সনদ মুত্তাসিল হওয়ার অর্থ, হাদীসের সনদে বিদ্যমান প্রত্যেক রাবি (বর্ণনাকারী) তার শায়খ (শিক্ষক) থেকে সরাসরি হাদীস শ্রবণ করেছেন প্রমাণিত হওয়া। যেমন গ্রন্থকার মুহাদ্দিস বললেন: আমার নিকট বর্ণনা করেছে অমুক (প্রথম উস্তাদ), তিনি বললেন: আমার নিকট বর্ণনা করেছে অমুক (দ্বিতীয় উস্তাদ), তিনি বললেন: আমার নিকট বর্ণনা করেছে অমুক (তৃতীয় উস্তাদ), তিনি বললেন: আমার নিকট বর্ণনা করেছে অমুক (চতুর্থ উস্তাদ)। এভাবে প্রত্যেক রাবি স্বীয় শায়খ থেকে শ্রবণ করেছে নিশ্চিত করলে সনদ মুত্তাসিল। শায়খের অনুমতি গ্রহণ করা, শায়খকে হাদীস শুনিয়ে সম্মতি নেওয়াকে সরাসরি শ্রবণ করা বলা হয়।

দ্বিতীয় শর্ত: عدالة الراوى বা রাবির ‘আদল:
সহী হাদীসের দ্বিতীয় শর্ত রাবির ‘আদল’ হওয়া। عدل ‘আদ্‌ল’ শব্দের অর্থ সোজা ও বক্রতাহীন রাস্তা, যেমন বলা হয় طريق عدل ‘সোজা রাস্তা’। পাপ পরিহারকারী ও সুস্থরুচি সম্পন্ন ব্যক্তি ন্যায় ও সোজা রাস্তার অনুসরণ করে, তাই তাকে ‘আদ্‌ল’ বা ‘আদিল’ বলা হয়। عادل কর্তাবাচক বিশেষ্য, অর্থ ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি। হাদীসের পরিভাষায় দীনদারী ও সুস্থরুচিকে عدالة বলা হয়।
‘আদিল’ এর পারিভাষিক সংজ্ঞা: মুসলিম, বিবেকী, সাবালক, দীন বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত ও সুস্থ রুচির অধিকারী ব্যক্তিকে উসুলে হাদীসের পরিভাষায় ‘আদিল’ বলা হয়। নিম্নে প্রত্যেকটি শর্ত প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হলো:
মুসলিম: রাবির ‘আদিল হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া জরুরি। অতএব কাফের ‘আদিল’ নয়, তার হাদীস সহী নয়। কাফের কুফরি অবস্থায় হাদীস শ্রবণ করে যদি মুসলিম হয়ে বর্ণনা করে, তাহলে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য। কারণ সে সংবাদ দেওয়ার সময় আদিল, যদিও গ্রহণ করার সময় আদিল ছিল না। যেমন জুবাইর ইব্‌ন মুতয়িম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন:
«سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالطُّورِ»
“আমি নবি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের সালাতে সূরা তূর পড়তে শুনেছি”। তিনি শুনেছেন কাফের অবস্থায়, আর বর্ণনা করেছেন মুসলিম অবস্থায়। (বুখারি ও মুসলিম)

সাবালিগ: রাবির আদিল হওয়ার জন্য সাবালিগ হওয়া জরুরি। কেউ শৈশবে হাদীস শ্রবণ করে যদি সাবালিগ হয়ে বর্ণনা করে, তাহলে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য, সাবালিগ হওয়ার পূর্বে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। কতক সাহাবির ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য নয়, যেমন ইব্‌ন আব্বাস, ইব্‌ন যুবায়ের ও নুমান ইব্‌ন বাশির প্রমুখ, তাদের হাদীস শৈশাবস্থায় গ্রহণ করা হয়েছে।

বিবেকবান: রাবির আদিল হওয়ার জন্য বিবেক সম্পন্ন হওয়া জরুরি। বিবেকহীন ও পাগল ব্যক্তির বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। পাগল দু’প্রকার: স্থায়ী পাগল ও অস্থায়ী পাগল। স্থায়ী পাগলের হাদীস কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। অস্থায়ী পাগলের মধ্যে যদি সুস্থাবস্থায় সহীর অন্যান্য শর্ত বিদ্যমান থাকে, তাহলে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য, তবে শ্রবণ করা ও বর্ণনা করা উভয় অবস্থায় সুস্থ থাকা জরুরি।

দীনদারী: রাবির ‘আদিল হওয়ার জন্য দীনদার হওয়া জরুরি, তাই পাপের উপর অটল ব্যক্তি আদিল নয়। পাপ হলেই ‘আদল বিনষ্ট হবে না, কারণ মুসলিম নিষ্পাপ নয়, তবে বারবার পাপ করা কিংবা কবিরা গুনায় লিপ্ত থাকা ‘আদল পরিপন্থী। দীনের অপব্যাখ্যাকারী, তাতে সন্দেহ পোষণকারী ও বিদ‘আতির হাদীস গ্রহণ করা সম্পর্কে আহলে ইলমগণ বিভিন্ন শর্তারোপ করেছেন।

সুস্থ রুচিবোধ: রাবির ‘আদল হওয়ার জন্য সুস্থ রুচিবোধ সম্পন্ন হওয়া জরুরি। সুস্থ রুচিবোধের নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। প্রত্যেক সমাজের নির্দিষ্ট প্রথা, সে সমাজের জন্য মাপকাঠি, যা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে নানা প্রকার হয়। সাধারণত সৌন্দর্য বিকাশ ও আভিজাত্য প্রকাশকারী কর্মসমূহ সম্পাদন করা এবং তুচ্ছ ও হেয় প্রতিপন্নকারী কর্মসমূহ পরিত্যাগ করাকে সুস্থ রুচিবোধের পরিচায়ক বলা হয়।

হাফেয ইব্ন হাজার রাহিমাহুল্লাহ ‘আদল’ এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আদল’ ব্যক্তির মধ্যে এমন যোগ্যতা, যা তাকে তাকওয়া ও রুচিবোধ আঁকড়ে থাকতে বাধ্য করে”। অতএব ফাসেক ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ‘আদিল’ নয়, যদিও সে সত্যবাদী। জামাত ত্যাগকারী ‘আদিল’ নয়, যদিও সে সত্যবাদী, সুতরাং তাদের বর্ণনাকৃত হাদীস সহী নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن جَآءَكُمۡ فَاسِقُۢ بِنَبَإ فَتَبَيَّنُوٓاْ أَن تُصِيبُواْ قَوۡمَۢا بِجَهالَة فَتُصۡبِحُواْ عَلَىٰ مَا فَعَلۡتُمۡ نَٰدِمِينَ ٦ [الحجرات: ٦
“হে ঈমানদারগণ, যদি কোনো ফাসেক তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা যাচাই করে নাও। এ আশঙ্কায় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো কওমকে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে”। ফাসেক ব্যক্তির সংবাদ যাচাই ব্যতীত গ্রহণ করা যাবে না, পক্ষান্তরে আদিল ব্যক্তির সংবাদ গ্রহণযোগ্য। আল্লাহ বলেন,
وَأَشۡهِدُواْ ذَوَيۡ عَدۡلٖ مِّنكُمۡ وَأَقِيمُواْ ٱلشَّهَٰدَةَ لِلَّهِۚ ٢ [الطلاق : ٢
“আর তোমাদের মধ্য থেকে ন্যায়পরায়ণ দু’জন সাক্ষী বানাবে। আর আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দেবে।” । এ আয়াতে আল্লাহ ‘আদিল’ ব্যক্তিদের সাক্ষীরূপে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সারাংশ : ‘আদিল’ ব্যক্তির মধ্যে দু’টি গুণ থাকা জরুরি: দীনদারী ও সঠিক রুচিবোধ।
এই দু’টি গুণকে ‘আদালত’ বলা হয়। কখনো ‘আদিল’ ব্যক্তির জন্য ক্রিয়াবিশেষ্য ‘আদ্‌ল’ শব্দ ব্যবহার করা হয়, যেমন লেখক বলেছেন: يرويه عدل এখানে ‘আদ্‌ল’ অর্থ ‘আদিল’। নীচের লেখায় আদিল, আদালত ও আদ্‌ল শব্দগুলো অধিক ব্যবহার করা হবে।

তৃতীয় শর্ত: ضبط الراوىরাবির জাবত বা সংরক্ষণ:
সহী হাদীসের দ্বিতীয় শর্ত রাবির ‘দাবত’। ضبط ক্রিয়াবিশেষ্য, আভিধানিক অর্থ নিয়ন্ত্রণ। এ থেকে যিনি শায়খ থেকে হাদীস শ্রবণ করে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন, তাকে ضابط বলা হয়। ‘দ্বাবিত’ কর্তাবাচক বিশেষ্য, অর্থ সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণকারী।
ضبط এর পারিভাষিক অর্থ: শায়খ থেকে শ্রবণ করা হাদীস হ্রাস, বৃদ্ধি ও বিকৃতি ব্যতীত অপরের নিকট পৌঁছে দেওয়াই ضبط।
ضبط দু’প্রকার: স্মৃতি শক্তির জাবত ও খাতায় লিখে জাবত। সাহাবি ও প্রথম যুগের তাবেয়িগণ স্মৃতি শক্তির উপর নির্ভর করতেন, পরবর্তীতে লেখার ব্যাপক প্রচলন হয়। তখন থেকে স্মৃতি শক্তি অপেক্ষা লেখার উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়, তবে লিখিত পাণ্ডুলিপি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করা জরুরি।

চতুর্থ শর্ত : عدم الشذوذ বা ‘শায’- না হওয়া :
‘মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য রাবি যদি তাদের চেয়ে উত্তম বা অধিক নির্ভরযোগ্য রাবিদের বিপরীত বর্ণনা করে, তাহলে তাদের বর্ণনাকে শায বলা হয়’। সুতরাং কোন হাদীস সহী হতে হলে এমন না হওয়া। মকবুল অর্থ গ্রহণযোগ্য রাবি, যার একা বর্ণিত হাদীস ন্যূনতম পক্ষে ‘হাসানে’-র মর্যাদা রাখে। মকবুলের চেয়ে উত্তম রাবিকে সেকাহ বলা হয়, যার একা বর্ণিত হাদীস ‘সহী’-র মর্যাদা রাখে।
পঞ্চম শর্ত : عدم العلة কোন ধরনের ইল্লত না থাকা :
ইল্লত দ্বারা উদ্দেশ্য সুপ্ত ও গোপন ইল্লত বা ত্রুটি, বিজ্ঞ মুহাদ্দিস ব্যতীত যা কেউ বলতে পারে না। সনদ ও মতন উভয় স্থানে দোষণীয় ইল্লত হতে পারে।

একটা সহী হাদীসের উদাহরণঃ
حدثنا الحميدي (عبد الله بن الزبير) قال حدثنا سفيان قال حدثنا يحيى بن سعيد الأنصاري قال أخبرني محمد بن إبراهيم التيمي أنه سمع علقمة بن وقاص الليثي يقول سمعت عمر بن الخطاب رضي الله عنه على المنبر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول * إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى فمن كانت هجرته إلى دنيا يصيبها أو إلى امرأة ينكحها فهجرته إلى ما هاجر إليه –
বর্ণিত হাদীসটির সনদে ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে রাসুল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ৬ জন রাবী রয়েছে। যথাঃ
১. হুমাইদি (আবদুল্লাহ বিন জুবায়ের)
২. সুফিয়ান
৩. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল আনসারি
৪. মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম আত তাইমী
৫. আলকামাহ ইবনে ওয়াক্কাস আল লাইসি
৬. সাহাবি উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু
উপরোক্ত প্রত্যেক রাবি নিজ শায়খ থেকে হাদীসটি শুনেছেন যা হাদীসটির সনদে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তাই সনদটি মুত্তাসিল। প্রত্যেক রাবী আদিল ও পূর্ণরুপে জীবিত ছিলেন। তাছাড়া বর্ণিত হাদীসটি শায বা মুয়াল্লাল নয়। এ হাদীসটি ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার সহী বুখারিতে সর্বপ্রথম পেশ করেছেন। এতে সহী হাদীসের পাঁচটি শর্ত পূর্ণরুপে বিদ্যমান রয়েছে। তাই নি:সন্দেহে এটি একটি সহী হাদীস।

*** আশা করছি এতদূর যারা এসেছেন তারা একটা হাদীসকে সহী বলার আগে তাকে কতটা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত হতে হয় সেটা বুঝতে পারছেন।

যে কেউ ইচ্ছে করলেই একটা হাদীস’কে ভুল বলে দিতে পারবে না যদি তার সনদ এবং মতন বিশুদ্ধ হয়। না জেনেই বহু হাদীস ভুল আছে বলা মারাত্মক গুনাহের কাজ। কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর হযরত আয়েশা (রাদীয়াল্লাহু আনহা) ও তার অন্য স্ত্রীগণ ছিলেন হাদীসের সংগ্রহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের হযরত আয়েশা রাদীয়াল্লাহু আনহা আরও প্রায় ৪৮ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি ৫৭ হিজরীতে ৬৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। হযরত আবুবকর (রাদীয়াল্লাহু আনহু), হযরত উমর (রাদীয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত উসমান (রাদীয়াল্লাহু আনহু) এর শাসনামলে তিনি হাদীসের ব্যাখ্যা দিতেন। তিনি প্রায় ২৪১০টি হাদিস বর্ণনা করে গেছেন। প্রায় আহকামে শরীয়তের এক-চতুর্থাংশ হাদীস হযরত আয়েশা রাদীয়াল্লাহু আনহা এর নিকট হতেই বর্ণিত হয়েছে। (সূত্রঃ মাওলানা আবদুল জলিল, বিশ্বনবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনী, তৃপ্তি প্রকাশকুঠি, বাংলাবাজার, ঢাকা, পৃঃ১৭০-১৭১)। আবু হুরায়রা রাদীয়াল্লাহু আনহু ও আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদীয়াল্লাহু আনহু ছাড়া আর কোন পুরুষ সাহাবী হযরত আয়েশা রাদীয়াল্লাহু আনহা এর চেয়ে বেশি হাদীস বর্ণনা করতে পারেন নি। হযরত আবি মুসা আল-আশয়ারী (রাদীয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে, ‘আমরা আছহাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কোন হাদীস সম্পর্কে অসুবিধার সম্মুখীন হলে তা সাইয়্যেদা আয়েশা রাদীয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞাসা করতাম এবং তাঁর নিকট থেকেই জ্ঞানলাভে সমর্থ হতাম।’ (জামি’ আত-তিরমিযী শরীফ)

কুরআন মাজীদের সাথে হাদীস সংমিশ্রণ হওয়ার আশংকায় কুরআন শরীফ পুর্ণ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাদীস পূর্ণাঙ্গরূপে লিপিবদ্ধ করতে কেউ সাহস পায়নি। হযরত আবূ বকর রাদীয়াল্লাহু আনহু এর আমলে কুরআন মজীদ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হলে সাহাবীগণ হাদীস লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে আর কোন বাধা আছে বলে অনুভব করেননি। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে হাদীস লিপিবদ্ধ করা শুরু করেন।

অনেকেই দাবী করছেন সিহা সিত্তা বহু বছর পরে রচিত হয়েছে। সিহা সিত্তাইন বা প্রথম দুইটা বিশুদ্ধতম হাদীস গ্রন্থ কি খুব বেশিদিন পরে লেখা হয়েছে?
ক্রমিক নং গ্রন্থের নাম সংকলকের নাম জন্ম ওফাত জীবন কাল হাদিস সংখ্যা
১) সহী বুখারী মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুগিরা
১৯৪ হিজরি ২৫৬ হিজরি ৬২ বছর ৭৩৯৭ টি
২) সহী মুসলিম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশায়রি আল নিশাপুরী
২০৪ হিজরিতে নিশাপুরে ২৬১ হিজরি ৫৭ বছর ৪০০০ টি

*** এত দূর কষ্ট করে এত কিছু লেখার মূল কারণ হচ্ছে-
শ্রদ্ধেয় ব্লগার বিদ্রোহী ভিগু ভাইয়ের সর্বশেষ পোস্টে একটা মন্তব্যে একটা পরিশুদ্ধ সহী হাদীস বুখারী শরীফ (যথাযথ সূত্র উল্লেখ পূর্বক) থেকে সেখানে দেয়া হয়েছিল-
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে প্রত্যাগমন করলেন। আমি আমার কক্ষে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলো ছবি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে, যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ তৈরী করবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা তা দিয়ে একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরী করি।
(বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৯১ হাদীস নং ৫৯৫৪; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস, সূত্রঃ http://ihadis.com/search/5951


আমি সেখানে জানতে চেয়েছি, কেন এই বিশুদ্ধতম এবং পরীক্ষিত একটা হাদীস পবিত্র কুরআন শরীফের একটা আয়াতের সাথে কনফ্লীক্ট করবে? যুগ যুগ ধরে এত এত ইসলামিক ফিকহ শাস্ত্রবিদগন পবিত্র কুরআন এবং হাদীস নিয়ে এত গবেষনার পরেও কেন এই ভুল ধরা পরলো না? তারা কি কেউ পবিত্র কুরআন শরীফের সেই সুনির্দিষ্ট আয়াত পড়েন নি? (নাউজুবিল্লাহ)

ইসলামে পবিত্র কুরআন শরীফের পরেই রাসুল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ এবং হাদীসের অবস্থান।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে একটা পরিপূর্ণ এবং শ্বাশত ধর্ম রূপেই প্রেরণ করছেন। যার বাস্তব প্রয়োগ মহানবী সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে আমাদের জন্য সীরাতুল মুস্তাকীমের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

এখন কেউ যদি বলে আমরা ইসলাম মেনে চলবো শুধুই কুরআন শরীফ পড়ে, সেটা আদৌ কখনই সম্ভব না। কুরআন শরীফে অনেক তথ্য আছে যার ব্যাখ্যা হাদীস জানা ছাড়া অসম্ভব। কুরআন শরীফে বিরাশিবার সালাত কায়েম করতে বলা হয়েছে, অথচ কোথাও কয় ওয়াক্তে কত রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে সেটা কি লেখা আছে? যেমন ধরুন যোহরের নামাজে ফরজ কয় রাকাত, মাগরীবের নামাজে ফরজ কয় রাকাত? এইসব ক্ষেত্রে কী করবেন?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফ শুরুই করেছেন ইকরা অর্থাৎ পড় দিয়ে। তিনি আমাদের জ্ঞান অর্জন করার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। সিহা সিত্তার হাদীস গ্রন্থগুলির বাংলা অনুবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বের করেছেন। অন্ততঃ সেইগুলিও তো আমরা পড়তে পারি।
কিন্তু আমরা সবাই কি তাই করি?
হাদীস শাস্ত্রের উপর অনেক বই আছে সহী হাদীস চিহ্নিত করার জন্য।
আমরা সেইগুলি পড়েই কি দাবী করছি হাদীস মানা যাবে না?
বরং নিজে সহী হাদীস চিহ্নিত করতে শিখুন, অপরকে শিক্ষা দিন।

এই পার্থিব জগতের বহু বিষয়ই তো শিখলেন বুঝলেন অথচ অনন্তর যে জীবন আমাদের কাটাতে হবে তার জন্য প্রায় কিছুই শিখছেন না। আপনার কি মনে হয় নবীর সুন্নাহ এবং হাদীস প্রকৃতভাবে না মানলে পরকালের জীবন সুখের কাটবে?

ইসলামের শত্রুরা অনেকদিন ধরেই এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে যেন মুসলিমরা নবীর সুন্নাহ এবং হাদীস এর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
তা না হলে ইসলামে ব্যাপক ক্ষতি করা কখনই সম্ভব না। হাদীস মানবো না, শুধু কুরআন মানবো এইসব বলে বা লিখে
ভেবে দেখুন নিজের অজান্তেই কি এই ভয়ংকর কাজে শরীক হয়ে যাচ্ছেন?

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
কপিরাইট @ নীল আকাশ, নভেম্বর ২০২০

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
৪৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×