somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগীয় ম্যাঁওপ্যাঁও চরিত্র কথন-

০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃষ্টিকর্তা এই জীবজগতে বহু প্রকারের প্রানী সৃষ্টি করেছেন। এইসব বহুবিধ প্রানীর মাঝে সারমেয় নামক একটা প্রানী দেখতে পাওয়া যায়, যাদের লেজ থাকে কুন্ডলাকৃতির। এই প্রাণীর লেজ আপনি যতই টেনে সোজা করে দিন কোন লাভ হবে না। কারণ এরা জন্মগত ভাবেই কূন্ডলাকৃতির লেজ নিয়ে জন্মায়।

বিগত প্রায় আটবছরের ব্লগীয় জীবনে বহু প্রকারের ব্লগারের সাথেই ব্লগীয় পরিচয়, আলোচনা, বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু এতটা বছর ধরে অল্পকিছু ব্লগার’কেই দেখলাম যাদের ব্লগীয় চরিত্রের কোন পরিবর্তনই হতে দেখলাম না। সেই প্রথমদিকে যা দেখেছিলাম, সেই বস্তা পঁচা রাজনৈতিক বেহুদা ফাও প্যাঁচাল, নির্লজ্জ ম্যাঁওপ্যাঁও দালালী মার্কা পোস্ট, তার সাথে যথারীতি কোন পোস্ট বুঝুক না বুঝুক সেখানে যেয়ে আন্দাজে মন্তব্য করে আসার অভ্যাস এতদিনেও পাল্টায় নি। কোন এক দলের আজন্ম দালালী করতে যেয়ে এরা পা চাটতে চাটতে নিজের জিহবা আর দলের লোকজনের ফেলে দেয়া জুতা সবই ফকফকে করে ফেলেছে! কিন্তু কোন লাভ নেই। এই দেশে বেহায়া দালালদের যে কোনই অভাব নেই, আর ভাত ছিটালে যে কাকের কোন অভাব হয় না এরা ভুলে গেছে! এরা যেকোন ব্লগার’কে বিব্রত করার জন্য প্রথমেই পাকি/রাজাকার/দালাল এইসব শব্দ নিয়ে আসে। কারণ আছে, কে না জানে “যার মনে যা, ফাল দিয়ে উঠে তা”। সুতরাং এইসব পাত্তা দেবার কোনই মানে হয় না। এরা নিজেদের চরিত্রের আসল কুৎসিত চেহারা নিজেরাই প্রকাশ করুক, সবাই দেখুক! যত গন্ধ ছড়াবে ততই ভালো! এরা ভুলে যায় “চিল্লাইয়া মার্কেট পাওন যাইতো ন”!

এ যে কত বড় ধাপ্পাবাজ আর মিথ্যুক সেটার প্রমাণ খুঁজলেই পাওয়া যাবে। কালনী আর সোজন নামের দুই চিন্হিত ছাগু টাইপের ব্লগার ব্যান হবার পর তাদের জন্য এর ক্রমাগত বুকফাঁটা আর্তনাদ ছিল দেখার দেখার মতো মাইরি! আর এখন সবার সামনে রাজাকারের থিওরী কপচায়। এমনি কি বাজে মন্তব্য করতে যেয়ে শেখ মুজিব সাহেব’কেও বাদ দেয় নি।


অথচ অন্যকেউ সামান্য কিছু এই বিষয়ে বললেই উনার জন্য দরদ মনে হয় উথলে উঠে ব্লগ ভাসিয়ে দেয়!


ছোট্টবেলায় পড়েছিলাম “সবজান্তা শমশের” কাহাকে বলে? দীর্ঘ এই শিক্ষাজীবনে স্কুল, কলেজ, ২টা ভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করেও এই “সবজান্তা শমশের” কোথায় দেখিনি, যা এই ব্লগে আসা মাত্রই পেয়ে গেলাম। আকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্ট থেকে শুরু করে রাস্তার নর্দমায় কেন ময়লা জমে থাকে, কোনও পোস্টেই জ্ঞান বিতরন করা থেকে বিরত থাকে না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প থেকে শুরু করে উগান্ডার সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদার কাউকেই উপদেশ দেয়া থেকে বিরত থাকে না।

একবার এক ব্লগার কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর একটা পোস্ট দিলে সেটা খুলে দেখলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথমবর্ষে আমাদের ত্রাস ছিল এই বিষয়। বুয়েটে আপ্রাণ চেষ্টা করেও এই বিষয়ের কোন কূলকিনারা করতে না পেরে টার্ম ফাইনালে আগে এটা জানানো পর স্যারও বললেন, এই বিষয়টা পরিষ্কার বুঝার জন্য অনেক পড়াশুনা দরকার। অথচ সেই পোস্টেও যথারীতি এক আজিব ব্লগার যেয়ে হাজির এবং যেই মন্তব্য করেছে সেটা দেখার পর পোস্টদাতা নির্ঘাত একজগ পানি খেয়েছেন! গতবছর দেখলাম এক গল্পের পোস্টে যেয়ে মন্তব্য করে এসেছে, “এইসব বস্তাপঁচা কবিতা লিখে কোন লাভ নেই!”। সেই গল্পকার এর আজব কাজকারবারের সাথে পরিচিত না দেখে জানতে চেয়েছিল, “আপনি কী সুস্থ আছেন?” বেচারা গল্পকার আসলে জানে না, কিছু কিছু মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও এরা মানসিকভাবে সবসময়ই অসুস্থ থাকে।

এইসব মানসিক অসুস্থ মানুষগুলির রূচিও ভয়াবহ বিকৃত হয়। অশালীন ভাষা, বাক্য এবং শব্দ বিন্যাসে এদের অবদমিত নোংরা ঘৃণিত আচরণগুলি প্রকটভাবে ফুটে উঠে।

আপনাদের চোখে পড়েছে কিনা জানি না, নীলপরি নামের একজন দারুন কবিতা লেখিকা ছিলেন যিনি প্রায়শই ব্লগে দুর্দান্ত কবিতা পোস্ট করতেন। উনার একটা কবিতাতে একজন ব্লগার মন্তব্য করেছিলেন, “শাড়ির ফাঁকফোকর অনেক কিছুই দেখা যায়” (লাইন আরও খারাপ অশালীন ভাষায় লেখা ছিল, আমি এখানে ভদ্রচিত শব্দ ব্যবহার করেছি)। উনি এই মন্তব্য পড়ার পর ব্লগে থেকে একবারেই চলে গেছেন। আমি অনেকচেষ্টা করেছি নীলপরি’কে বুঝানোর জন্য, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। উনি এতটাই মেন্টালি আপসেট হয়েছিলেন সেটা লিখে প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে এই চীজ এক পোস্টে জিজ্ঞেস করেই বসেছে, “মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলে, সেই খেলা আপনি চুরি করে দেখেন দেখেন নাকি?” সম্ভবত অলিম্পিকে মেয়েদের জিমিনাস্টিক্স এর সবচেয়ে প্রিয় খেলা! মেয়েদের সাঁতারও হতে পারে! অথবা মেয়েদের সুইমস্যুট কম্পিটিশন! কিছু মানুষের বৃদ্ধ বয়সে রূচির বিকৃতি ঘটে। মেয়ে দেখলেই অবিরত লালা ঝরে। নিজের পুরুষত্বের ঘাটতি আচার আচরণে প্রকাশ পায়। আমার ধারণা ছিল এর এতটা খারাপ অবস্থায় তখনও পৌছায়নি। কিন্তু এই মন্তব্য দিয়ে আমাকে ভুল প্রমাণ করে একেবারেই হতভম্ব করে দিয়েছিল! এর রূচি, ভাষা এতই বিকৃত যে সেটার প্রমান অহরহ দেখা যায়-



আপনাদের কারও মন্তব্যগুলি কী শ্রদ্ধেয় মডারেটর বিভিন্ন পোস্টে যেয়ে ডিলিট করে দেয়? কিছুদিন পরে পরে কী ব্লগে আপনারা কেউ পুঁটি মাছ ব্যান, মৃগেল মাছ ব্যান, তিমি মাছ ব্যান খান? নিশ্চয় না! কিন্তু এক আজিব ব্লগার কিছুদিন পর পরই অমাবস্যার চাঁদের মতো উধাও হয়ে যান। মুখে শিকল পড়িয়ে দেয়া হয়। কেন উধাও হয় আর এর ফাও প্যাঁচাল বন্ধ হয়ে যায় সেটা বড়ই চিন্তার বিষয়! যেদিন এটা সুল্যায়মানী ব্যান খাবে সেদিন মনে হয় ব্লগের টিকটিকি, পিঁপড়ারাও খুশি হবে!

ধর্ম একটা সংবেদনশীল বিষয়। মানুষ হয় আস্তিক হবে কিংবা নাস্তিক। এই ব্লগেই আমি বিচিত্র একটা প্রজাতির মানুষ দেখলাম যাদের আচরণ সাথে হিজরাদের অনেক মিল আছে। হিজরা’রা যেমন কোথাও ছোট্টবাচ্চা দেখলেই কুৎসিত আচরন শুরু করে, এরাও কোন ধর্মীয় পোস্ট, মন্তব্য, আলোচনা দেখলেই সেখানে যেয়ে পায়খানা করে আসে। এদের আসলে ধর্মীয় বিষয়ে ডায়রিয়া আছে, এইসব লেখা দেখলেই আর পেট সামলাতে পারে না। নিজেদের পাপের পরিমান নিয়ে এরা নিজেরাই চির সংকিত থাকে। আর তাই একটা পোস্টে কবরের ছবি দেখেই পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল, সাথে ডায়রিয়াও বন্ধ।

নিজেকে ব্লগের বিনে-পয়সার ঝাড়ুদার মনে করা এক ব্লগারের দিনে কয়টা মন্তব্য শ্রদ্ধেয় মডারেটর ডিলিট করে সেটা নিজেও মনে হয় জানে না। এই রেটে অন্যকোন ব্লগারের মন্তব্য ডিলিট করলে সেই ব্লগার এতদিনে নিশ্চিত ব্লগীয় অপমান সহ্য করতে না পেরে কোন একটা কলাগাছে যেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পরতো! সবাইকে নির্বোধের মতো উপদেশ দেয়া বেড়ানো এই প্রাগৈতিহাসিক গুহামানব’কেই আসলে ব্লগীয় ভদ্রতা আর নিয়মকানুন ঠ্যা ঠ্যা মুখস্ত করানো দরকার!

সব ছাগলের বড় হয়ে পাঠা হতে দেয়া হয় না। শুধুমাত্র অপদার্থ যেসব ছাগল থাকে তাদের এভাবে ছেড়ে দেয়া হয় পাঠা হবার জন্য। আর সমস্যা হচ্ছে এরা যে নিখাদ পাঠা সেটা প্রমাণ করার জন্য, এইসব পাঠারা সবসময় জোরে জোরেই ৭ দিন ২৪ ঘন্টাই ব্যা ব্যা আওয়াজ করে বেড়ায়। ব্লগে আমি অনেক আগেই উপদেশ দিয়েছিলাম বলেছিলাম, নিজের বাড়িতে পাঠা পালবেন না। ব্লগে অনেক নিতান্তই ভালোমানুষ শ্রেনীর ব্লগার আছেন যারা এইসব নোংরামী আচরণ সহ্য করতে পারেন না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আমি এই ব্লগেই বেশ কয়েকজনকেই মাত্র একজন ব্লগারকে চিরতরে ব্লক কিভাবে করতে হয় সেটা শিখিয়ে দিয়েছি। ব্লগ থেকে এরা চলেই যেতেন, আমি ব্লক করা শিখিয়ে দেয়ার পর এখনও আছেন। আমি একে ব্লক করিনি, দরকারও নেই। গাধার পিঠে কিভাবে মাল বইতে দিতে হয় সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি!

এইসব ব্লগারদের ব্লগীয় চরিত্র নিয়ে আগেও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম যারা পড়েননি তাদের জন্যঃ
ব্লগে হিট হতে চান - গামলা ভর্তি মন্তব্য চান – নিন সহী তরীকা সমাহার! (দুই নাম্বার তরীকা)

কিছুদিন পর পরই ব্লগে বিভিন্ন ব্লগারদের মন খারাপ করে এই বিষয় নিয়ে পোস্ট দিতে দেখা যায়। ভাইরে, এরা টিকে থাকবেই। সুবিশাল ডাইনোসর হারিয়ে গেছে কিন্তু চরম দুর্গন্ধযুক্ত তেলাপোকা এখনও টিকে আছে, কিছু করার নেই! যদি বেশি সমস্যা মনে হয় তাহলে সামুর নীতিমালা অধীনেই তড়িৎ ব্যবস্থা নিন, শান্তিতে নিশ্চিন্তে থাকুন!

আমি কিছুদিনের জন্য ব্লগে থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম ব্যক্তিগত কাজ, বইয়ের ক্যাম্পেইন এবং বড় কিছু দায়িত্ব নেবার জন্য। এই মুহূর্তে আমি আরও তিনটা বড় গ্রুপের সাথে যুক্ত, যেখানে একটাতে এডমিন এবং বাকি দুইটাতে মডারেটর হিসেবে কাজ করছি। এরমধ্যে একটা গ্রুপের শুধু সদস্য সংখ্যাই বিশ হাজার। আমার সাময়িক অনুপস্থিতিতে আমার নামে কিসব ব্লগে কে যেন বলে বেড়িয়েছে! এই নির্বোধের অবস্থা হচ্ছে পাতকুয়ার ব্যাঙের মতো, যে মনে করে এই ভূমন্ডলে সামু ছাড়া আর কিছু নেই। মনে করার অবশ্য কারণও আছে, অন্যসব জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই তো গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এর জন্য আমার কাছে শুধুই করুণা ছাড়া আর কিছু নেই।

এর দৌড় কতখানি সেটা আমি বেশ ভাল করেই জানি। কোন পোস্টে যেয়ে নোংরা কোন মন্তব্য ছাড়া সরাসরি যুক্তিতর্ক করার সাহস এর কোনকালেই ছিল না। একবার পোস্ট দেবার পর দেখি বিভিন্ন পোস্টে যেয়ে বাতাসে ঢিল ছুড়ছে। নির্বোধটাকে প্রকাশ্যেই এর নিজের পোস্টে যেয়ে চ্যালেঞ্জ দিয়ে এসেছিলাম হ্যাডাম থাকলে আসল পোস্টে এসে ব্যা ব্যা না করে যৌক্তিক আলোচনা করুক। তখন লেজ গুটিয়ে কুই কুই করতে করতে পালিয়েছে।



লেখার একদম প্রথমে বর্ণিত শ্রেণীর এক নির্বোধ সম্প্রতি মন্তব্য করেছে, “নীল আকাশ ইত্যাদির নিজস্ব সাইট আছে; তা'ছাড়া এরা বাঁশের কেল্লায় মেল্লায় পায়খানা টায়খানা করে বেড়ায়”। আমার নিজের কোন সাইট নেই। বাঁশের কেল্লারও কোন প্রয়োজন নেই। বরং বিভিন্ন গ্রুপে এই শ্রেনীর পাঠা জাতীয় প্রাণীদের পশ্চাতদেশে উপযুক্ত ট্রেডমার্ক লাথি দিয়ে বের করে দেয়ার সুনামের জন্য এই গ্রুপগুলিতে আমাকে মডারেটর/এডমিন নিয়োগ দিয়েছে। আমি “দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো” নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এই নির্বোধ আমার এইসব গ্রুপে আসলেই পাঠাদের কিভাবে বিচি কেটে একবারে খাশি বানিয়ে দেই সেটা টের পাবে। আমি এইধরণের ঝুটঝামেলা অংকুরেই বিনাশ করে দেই।

যারা নতুন এসেছেন তাদের জন্য পুরাতন ব্লগারদের একটা মন্তব্য দেই-
০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০২, পান-সুপারি বলেছেন: ***********বর্তমানে ব্যক্তিজীবনে সে পেশাগত এবং পারিবারিক জীবনে চরম ব্যর্থ একজন মানুষ। নিজের ব্যর্থতা ভুলার জন্য ব্লগে সে একরকম সাইকোপ্যাথের মত আচরণ করে। যারে তারে খোঁচানি তার ব্লগিয় স্বভাব, যেইটা বাস্তবজীবনে করতে সে কোনদিন সাহসও পায় নাই: কথাটা তাকে ব্যক্তিজীবনে চিনে এরকম একজনের বলা।

অনেক তত্ত্বকথা শুনলেন। এবার একটু বিনোদনের ব্যবস্থা করি। নিন, একটা ছড়া পড়ুন-

ম্যাঁওপ্যাঁও ব্লগের সাতকাহন
ম্যাওপ্যাও ব্লগে ছিল এক
ব্লগার বুড়া ভাম,
সারাদিন ব্লগে বসে করত
আকাম আর কুকাম।

সবাই জানে এই আন্ধা বুড়া
চোখে কিছুই দেখে না,
সারাদিনই জাবর কাটে
কোন কিছুই জানে না।

বেহায়া দলের দালালি ছাড়া
এর পোস্টে কিছুই নাই,
অল্পবয়সীদের হাত টানাটানি ছাড়া
অন্যকিছুতে কোন রূচি নাই।

অন্যকারও ভালো পোস্ট দেখলে
নিজের পিত্তি জ্বলে যায়,
জোনাকী পোকার মতো পশ্চাতদেশে
ক্ষণে ক্ষণে মৃদু বিজলীও চমকায়!

কয়লা ধুইলেও যায়না ময়লা
একেই বলে আসলে খাচ্চত,
হাজার অপমানেও বদলায় না সে
না আছে তার কোনই ইজ্জত!

মাল্টিনিকের রিভার্স গেমে পটু
বুড়োভাম বড়ই পল্টিবাজ,
নিজে না পারলে মুহুর্তেই হাজির
সহদর সহদরা সবই ধান্দাবাজ।

লোক মুখে শুনি হয় না সোজা
সারমেদের লেজ,
হাজার উপদেশও কাজ হয় না
লাগবে গদাম তেজ।

সেদিন যেন কোথায় পড়লাম এটা-
এক বাবা তার ছেলে’কে নিয়ে আমেরিকা’র এক চিড়িয়াখানায় গন্ডার দেখাতে নিয়ে গেছে। যেয়ে দেখে গন্ডারের সারা গায়ে বুলডগ কুকুরের মতো রংচং এঁকে রাখা হয়েছে। আর গন্ডারও দিব্যি সেটা গায়ে নিয়ে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বুলডগের মতো ঘাউ ঘাউ করছে। বাচ্চা ছেলে তো অবাক! কাছে যেয়ে গণ্ডারের দিকে ভালো করে তাকাতেই দেখলো, এর দুইটা কানই কাটা। সাথে সাথেই বাচ্চা চিৎকার দিয়ে উঠলো-
“বাবা, এটা তো সেই গন্ডার যেটার কান বাংলাদেশে কেটে দিয়েছিল ঘাউরামি করার জন্য”।
বাবা তো অবাক, ভালো মতো খোঁজ নিয়ে দেখেন কথা নিতান্তই সত্য। বেশ কিছুদিন হলো এটাকে বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছে।
বাবা ছেলে’কে তখন বললেনঃ
“বাবা তুমি ঠিকই বলেছ। এটা তো গন্ডার, আর গন্ডারের চামড়া সবচেয়ে মোটাই হয়। এইজন্যই এটার কোন কিছুতেই কিছু গায়ে লাগে না”।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের একটা উপন্যাসে লিখেছিলেন, "আগের দিনে প্রত্যেক গ্রামেই একটা পাগল পালতো, তা না হলে সেই গ্রামের ইজ্জত থাকতো না। গ্রামে নতুন কেউ আসলেই এই পাগলের পাগলামি শুরুই হতো নিজের লুঙ্গি খুলে সেটা মাথায় পেঁচানোর মধ্য দিয়ে। এভাবেই সে নতুন অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতো"।
.........বয়স কিন্তু একেবারেই কম না। জল গড়াতে গড়তে অনেকদূরই গেছে!
হয়তো প্রচার এবং ইজ্জতের জন্য সেইরকম কোন..........


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, মে ২০২০
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
৫৭টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ আমি ইসলামের গুনগান করবো

লিখেছেন রাজীব নুর, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯



আমার নামে বদনাম আছে, আমি নাকি ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভুলভাল লিখি।
এতে অনেকে মহা ক্ষেপে গেছে। এতই ক্ষেপেছে যে তারা আমাকে গালমন্দ করেছে। অথচ আমি মুসলমান। আমার সকাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সঠিক সত্য জানতে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রয়োজন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭



সাত দিন আমি আমাদের গ্রামে ছিলাম। ভোটের খবর জিজ্ঞাস করতেই বিএনপির একজন বলল, বিএনপি ৯৯%, জামায়াত ১%, অন্যান্য ০%। এ তথ্য সঠিক হওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমার জানামতে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামিস্টরা কি বাংলাদেশে তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪



ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরের দুঃশাসন, দমন-পীড়ন, গণহত্যা ও দুর্নীতির অবসান হয়েছে, তবে ক্ষমতার পালাবদলের পরে দেশ এখন এক নতুন সংকটের মুখোমুখি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মৌলবাদী ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়নের ফলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চান ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৮


আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ভালো নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে আশা ও আকাঙ্খা মানুষের মধ্যে ছিলো ছয়মাস পর তা অনেকটাই ফিকে হতে চলেছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ তাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাবধান বাংলাদেশ !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০০

আপনাদের ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইস্ট পাকিস্তানে স্বাগত ৷বিশেষ করে শেষ point টা দেখবেন।

সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে যাঁরা থাকেন, খুব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×