ব্লগ ডে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গল্প, পৃষ্ঠা ১৩৭
ফাতেমা শারমিন অলস ভঙ্গিতে দ্বিতীয় কাপ চায়ে চুমুক দিচ্ছে। আজকে লিস্টের সব রুগী দেখা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অন্যসময় হলে অনেক আগেই ও বাসায় চলে যেত। কিন্তু ঝামেলা পাঁকিয়েছে রুমা। একঘন্টা আগে ফোন করে রুমা ফাতেমা'কে অপেক্ষা করতে বলে নিজের এক পেশেন্টকে ওর কাছে পাঠিয়েছে।
চা শেষ হবার আরও দশ মিনিট পরে এক ভদ্রলোক ফাতেমার চেম্বারে এসে ঢুকলো।
-রুমা ম্যাডাম এই ফাইলটা আপনাকে দেখতে বলেছেন। উনি নিজেই সবকিছু এখানে গুছিয়ে দিয়েছেন।
ফাতেমা বেশ বড়সাইজের ফাইলটা খুলে দেখে রুমা প্রথমেই একটা নোটে সংক্ষেপে সমস্যাটা লিখে দিয়েছে। ভিতরে সব রির্পোট খুব সুন্দর করে আলাদা আলাদা করে গুছিয়ে রাখা। রুমা সবসময়ই খুব গুছানো স্বভাবের মেয়ে। মেডিক্যালে পড়ার সময় কোন ক্ল্যাসের লেকচার মিস হলে সবসময়ই সেটা রুমার কাছে পাওয়া যেত।
-পেশেন্ট কোথায়?
-আমার স্ত্রী একটু অসুস্থ। আমি নিজেই এইজন্য আপনার কাছে এসেছি।
-এতবড় ফাইল দেখতে আমার যথেষ্ঠ সময় লাগবে। ভালোভাবে দেখার পর আমি নিজেই আবার আসতে বলবো। কতদিন ধরে এই সমস্যা হচ্ছে?
-প্রায় পাঁচবছর। রুমা ম্যাডাম দেখছেন তাও প্রায় একবছর হবে।
ফাতেমা আর কোন কথা বলছে না দেখে কিছুক্ষন পরে ভদ্রলোক উঠে চলে আসলেন। ফাতেমা এখন নামকরা একজন গাইনকোলজিস্ট এবং ইনফার্টিলিটিতে বিশেষজ্ঞ। এই বিষয়ের উপরই এফ.আর.সি.এস করে এসেছে লন্ডন থেকে। কোনরকম এপয়ন্টমেন্ট ছাড়াই উনি আজকে যে দেখা করেছেন এটাই অনেক! উনার সিরিয়াল নিতে গেলে প্রায় একমাস লেগে যেত। যেহেতু ফাইল উনি একবার নিয়েছেন, এখন আর চিন্তা করার কিছুই নেই!
এক
পরেরদিন ফাতেমা চেম্বারে বেশ আগে এসেই সেই পেশেন্ট ফাইল খুলে পড়তে বসলো। রুমা নিজেও এই বিষয়ে খুব ভালো একজন ডাক্তার। তারপরও কেন নিজের পেশেন্ট ওর কাছে পাঠালো?
পেশেন্ট কোনভাবেই কনসিভ করতে পারছে না। সব রকমের চেস্টার পরও না। পুরো পেশেন্ট ফাইল বেশ কয়েকবার ভালোভাবে পড়ার পর ফাতেমা অবাক হলো। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি ডাক্তারকে দেখিয়েছে। রুমাও সর্ব্বোচ্চ চেস্টা করেছে কিন্তু কোন প্রব্লেম খুঁজে পায়নি। মহিলার ফিজিক্যাল কোন প্রব্লেমই নেই। বয়স মাত্রই ২৮, ওভারীতে কোন সমস্যা নেই, ওভুলেশন পিরিয়ড ঠিক আছে, ইউটেরাস এবং ফ্যালোপ্পিয়ান টিউব পারফেক্ট কন্ডিশনে আছে, হরমোন জনিত কোনই সমস্যা নেই। মহিলার প্রতিটা টেস্ট রুমা ঢাকার ২টা ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করার পর ক্রস চেক করিয়েছে। গত দুইবছরের মিন্সট্রুয়াল সাইকেলের লিস্ট দেখে ফাতেমার মনে হলো ঠিকই তো আছে।
পেশেন্টের এই পর্যন্ত কি কি ট্রীটমেন্ট করা হয়েছে দেখে আরও অবাক হলো ফাতেমা। আগেরগুলি বাদ দিলেও রুমা কিছুদিন আগেই হিস্টেরোসাল্পিনোগ্রাফি এবং ল্যাপ্রোস্কোপি নিজেই করিয়েছে। কি আশ্চর্যের বিষয়, এখানেও কিছু পাই নি রুমা?
আচ্ছা এর হ্যাজবেন্ডের কন্ডিশন কি? স্পার্ম কাউন্ট, মোবিলিটি, সাইজ এবং শেপ সব ঠিক আছে। ওর কাছে পাঠানোর আগে ভালোভাবে এইগুলি টেস্ট করিয়েছে রুমা। ডাক্তারের কথামতো রেগুলার ইন্টারকোর্স করে। সেক্সের সময় এদের ফিজিক্যাল কোন সমস্যাই নেই ।
নাহ, রুমাকে ফোন দিতেই হবে, এছাড়া রিপোর্ট দেখে ব্যাপারটা স্পষ্ট হচ্ছে না।
পরবর্তি ১০ মিনিট রুমার সাথে কথা বলার পর ফাতেমা সাথে সাথেই ওর রিসেপশনিস্টকে ফোন দিয়ে কালকেই এই পেশেন্টকে ডাকতে বললো।
দুই
বাথরুম থেকে হাত ধুয়ে ফাতেমা চেম্বারে ফিরে দেখে সেই ভদ্রলোক ইন্সট্রাকশন মোতাবেক আজকে পেশেন্ট নিয়ে এসেছে। রুমা যেই বয়স লিখেছে তারচেয়ে দেখতে কমই লাগছে। ফাতেমা ওর সব পেশেন্টের ফ্যামিলি হিস্ট্রি ভালোভাবে নোট করে। যথারীতি মহিলাকে জিজ্ঞেস করে সবকিছু লিখে নিলো। সবশেষে মহিলার বাবার নাম শুনে বানান জিজ্ঞেস করলো, বেশ অদ্ভুত নাম। বানান বলার পর পেশেন্ট বললো-
-বাবার নাম আসলে জমিরত আখুঞ্জী। জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় ভুলে “জ” এর জায়গায় “স” লেখা হয়েছে।
-কি বললেন আপনি? আবার বলুন?
দ্বিতীয়বার একই কথা শোনার পর ফাতেমা অস্বস্তিঃ নিয়েই জিজ্ঞেস করলো-
-আপনার ডাক নাম বলুন তো?
-জী, আমার ডাক নাম সুর্বনা। তবে আমাকে বাসায় সবু বলেও ডাকে।
হাতের পেন টেবিলের উপর রেখে ফাতেমা কিছুক্ষণ পেশেন্টের দিকে তাকিয়ে রইল।
-আপনারা কয় ভাইবোন সুর্বনা?
-জী, একভাই এক বোন। তবে আমিই ছোট।
-আপনার বাসা কোথায়? গ্রামের বাড়ি কোথায়?
-আমার বাবার বাড়ি বরিশাল শহরেই। তবে বিয়ের পর থেকে অনেকদিন হলো ঢাকাতেই আছি।
ঝট করেই বেশ পুরনো দিনের একটা স্মৃতি মনে পরে গেল ফাতেমার-
পড়াশুনা শেষ করে ফাতেমা ইন্টার্নী করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একবার নাইট শিফটে ডিউটির সময় রাত বারোটার দিকে হঠাৎই ইমারজেন্সী থেকে কল আসলে ও যেয়ে দেখে একটা অল্পবয়সী মেয়ে প্রসব বেদনায় প্রচন্ড ছটফট করেছে। মেয়েটাকে পরীক্ষা করে এখনই ওটি’তে ঢুকাতে বলে ফাতেমা তাড়াতাড়ি গেল রেজিস্টার স্যারকে খুঁজে আনতে। ওটিতে ঢুকানোর আগে মেয়ের বাবা কাগজে সাইন করে দিলে সবাই পেশেন্টকে নিয়ে ওটিতে ঢুকে গেল। মাত্র দশমিনিট পরেই ফাতেমার হাতেই ওর ডাক্তারী জীবনে প্রথমবারের মতো একটা শিশু নরমাল ডেলিভারীতে জন্ম নিল। গভীর আবেগে ফাতেমার চোখে জল চলে আসলো! চোখের জল মুছতে মুছতেই খুশিতে ওর মনটা নেচে উঠলো। দুইজনই সুস্থ আছে দেখে বাচ্চা সহ মা’কে কিছুক্ষণ পরে বেডে ফিরে যেতে দেয়া হলো। এরপর বাকি পুরো শিফটেই ফাতেমা কিছুক্ষণ পর পর এসে বাচ্চাটাকে দেখে যেতে লাগলো। বাচ্চাটা ফাতেমা কোলে নিলেই কিভাবে যেন একটা শব্দ করে উঠতো। আর সেই শব্দ শুনার লোভেই বারবার ফিরে আসতো ফাতেমা!
পরেরদিন নাইট শিফটের ডিউটিতে এসে ফাতেমা যেয়ে দেখে বাচ্চা বা মা কেউ নেই। মন কিছুটা খারাপ হয়ে গেল ওর। খোঁজ নিয়ে জানলো মাত্র কিছুক্ষন আগেই হাস্পাতাল থেকে এরা চলে গেছে। মধ্যরাতের দিকে হঠাৎ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোদাচ্ছের আলী ওর কাছে একটা নবজাতক বাচ্চা নিয়ে এসে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। একটু আগেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশে সেন্ট্রাল পানির ট্যাঙ্কের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লার মধ্যে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় এই সদ্য নাড়ীকাটা কন্যাটিকে খুঁজে পায়। বাচ্চাটার শরীরের নীচের দিকের বেশ কয়েক জায়গায় মাংস নেই। কিছু কুকুর শরীরের মাংস কামড়ে খেয়ে ফেলেছে। বাচ্চাটাকে দেখেই ফাতেমা সাথে সাথেই চিনতে পারলো, ভুল করার প্রশ্নই উঠে না। তখনও বাচ্চাটা জীবিত কিন্তু দেহে প্রাণের স্পন্দন খুব ক্ষীণ। একে কোলে নিয়ে ফাতেমা একদৌড়ে বাকি সব ডাক্তারদের কাছে নিয়ে এলো। শিশুটা কেন যেন একটুও কান্নাও করছে না, শুধুই অবাক চোখে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। এই নিষ্ঠুর আর নির্মম পৃথিবীতে কেন আর কিভাবে ও চলে এসেছে সেটা ওর ছোট্ট মাথায় ঢুকছে না! দ্রুতই ওটিতে নিয়ে যাওয়া হলো একে। পরবর্তি দুইঘন্টা হাসপাতালের ডাক্তাররা যমে মানুষে যুদ্ধই করে গেল, যতটুকু সম্ভব! কিন্তু সবার সবরকম চেস্টা বৃথা করে দিয়ে ফজরের আজান দেয়ার সাথে সাথেই ফাতেমার চোখের সামনেই বাচ্চাটা মারা গেল। এই ভয়ংকর করুণ দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবার চোখই ভিজে উঠলো।
পরেরদিন ফাতেমা মৃত বাচ্চাটাকে মর্গে রেখে মোদাচ্ছেরকে পাঠালো এদের হাসপাতালে ভর্তি হবার সময় দেয়া ঠিকানায়, অন্তত যেন মৃতদেহটা নিয়ে যেয়ে ভালোভাবে গোছল দিয়ে ধর্মীয় ভাবে দাফনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু মোদাচ্ছের ফিরে এসে আরও কিছু ভয়ংকর তথ্যের সাথে জানালো এরা মৃতদেহ নিবেও না। মর্গ থেকে একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে মৃত বাচ্চাটাকে দাফন করার জন্য দেবার সময় ফাতেমা নিঃস্তব্ধ নির্বাক হয়ে বসেছিল। যেখানে বাচ্চাটার মায়ের বুকের মাঝে ওমের গন্ধে মিশে পরম আদরে থাকার কথা, উল্টো সেখানে বাচ্চাটা ডাস্টবিনের ময়লার ভাগাড়ের স্তূপে কুকুরের খাবারে পরিণত হয়েছে, এই দুঃসহ শোক ফাতেমার পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে প্রায় তিনমাস সময় লেগেছিল। সেইসময়ে চোখ বন্ধ করলেই মোদাচ্ছেরের হাতে ময়লা ওড়নায় পেঁচানো সেই অর্ধমৃত বাচ্চাটাকে দেখতে পেত ও! রাতেরবেলা ঘুমালেই দেখতে পেত আরও ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন- বাচ্চাটা ময়লার ভাগাড়ের স্তূপে অসহায় ক্রন্দনরত অবস্থায় পরে আছে আর চারটা কুকুর ধীরে ধীরে চারপাশ থেকে বাচ্চাটাকে ঘিরে ফেলছে। হঠাৎই কুকুরগুলি চারদিক দিয়ে বাচ্চাটাকে আক্রমণ করছে...সাথে সাথেই প্রাণপন চিৎকার দিয়ে ফাতেমা ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসতো!
-ম্যাডাম, আপনি কিছু বলছেন না যে?
চকিতে বাস্তবে ফিরে এলো ফাতেমা। ওর ভুল হচ্ছে না কোথাও? ভালোমতো পরীক্ষা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়? পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভদ্রলোককে রুমের বাইরে যেতে বলে ফাতেমা সুবর্নাকে বেডে যেয়ে শুয়ে পরতে বললো।
গায়ের কাপড় সরানোর পর সুবর্নার নাভীর বেশ নীচে বামপাশে কালো বড় তিলটা চিনতে ফাতেমার একদমই ভুল হলো না। সুতীব্র ঘৃণায় ফাতেমা সাথে সাথেই সুবর্নাকে তখনই চেম্বার থেকে বের করে দিলো। সারাদেহ প্রচন্ড ক্রোধে কাঁপছে এখন ওর। ওর দুইচোখের সামনে এখন সেই অর্ধমৃত বাচ্চার রক্তাক্ত ছবিটা ভাসছে। এই বাচ্চাটার জন্য একটা নামও ঠিক করেছিল ও মনে মনে!
তিন
সাতদিন পরে ফাতেমা সুবর্নাকে আবার চেম্বারে ডেকে পাঠালো।
-সুর্বনা সবার কাছে তুমি মিথ্যা কথা কেন বলেছ? আগে তোমার একটা বাচ্চা হয়েছিল এই চরম সত্যটা কেন গোপন করেছ?
-এই ভয়ংকর কথা বলে বেড়ানো আমার পক্ষে সম্ভব না।
-এখন কেন লজ্জা লাগে বলতে? দৈহিক সুখ আর ক্ষণিকের উচ্ছ্বাসের মোহে পাশের বাসার একজন বিবাহিত লোকের সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় তো লজ্জা লাগেনি? তোমাদের জঘন্য পাপের দায় কেন সেই অবুঝ বাচ্চাটাকে নিতে হয়েছিল? কি ছিল ওর অপরাধ?
-আমার কোন উপায় ছিল না। এই বাচ্চাটা নিয়ে আমি বাসায় ফিরলে সেখানে আমাদের থাকতে দিত না।
- নিজের হাতে ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে বাচ্চাটা ফেলে দেবার সময় তোমার কি নয়মাসের গর্ভধারণের কষ্টটাও একবারের জন্যও মনে আসলো না? সদ্য জন্মানো অবুঝ বাচ্চাটার জন্য একবার হাত কাঁপলোও না তোমার? তুমি তো পশুদের চেয়েও অধম! এরাও তো এত ছোট বাচ্চা ফেলে দেয় না!
সুর্বনাকে মাথা নীচু করে চুপ করে থাকতে দেখে ফাতেমা আবেগে বিস্ফোরিত হলো।
-তুমি একটা পাপিষ্ঠা আর বিকৃত রুচির মেয়ে সুবর্না। কোনভাবেই তুমি মা হবার উপযুক্ত নও। কখনই না। আমি কেন? পৃথিবীর কোন ডাক্তারই চিকিৎসা করে তোমাকে মা বানাতে পারবে না। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শাস্তি। এটা তোমাকে ভোগ করতেই হবে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মাতৃত্বের অপূর্ণতার জন্য আক্ষেপ আর অনুশোচনা করেই যেতে হবে তোমাকে। এই মুহুর্তেই দূর হয়ে যাও আমার সামনে থেকে, আর কখনই এখানে আসবে না।
সুবর্না চলে যেতেই ফাতেমা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত খোলা আকাশের দিকে তাকালো। বুকের ভিতর সুতীব্র কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যাচ্ছে এখন ওর। মাত্র সাতবছর বয়সে হুট করেই একরাতে ওর ছোটবোন আয়েশা ঘুমের মাঝেই মারা যায়। আয়েশার স্মৃতি কখনই ভুলে যায়নি ও। শিশুটা প্রথমবার যখন কোলে নিয়েছিল ও, ঠিক তখনই মনে মনে বাচ্চাটার নাম আয়েশা ঠিক করেছিল ও। জানালার গ্রীলটা শক্ত করে আঁকড়ে ধরে অস্ফুটস্বরে ফাতেমা কাকে যেন বললোঃ
-আবার ফিরে আসার পরও যে তোকে বাঁচাতে পারিনি এই ভয়ংকর যন্ত্রণা আমাকে সারাজীবনই বইয়ে বেড়াতে হবে। এভাবেই এইসব নিষ্পাপ বাচ্চারা কি হারিয়ে যাবে কালের অতলে দূঃসহ সব স্মৃতিতে?
(পূনশ্চঃ সত্যঘটনা অবলম্বনে গল্পটা লেখা হয়েছে)
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয়া জুন আপুকে, যিনি আমাকে সত্যঘটনা নিয়ে লেখার সময় নিজের মতো করে লেখার উপদেশ দিয়েছিলেন।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২০