দিন শেষে মেয়েরা তার প্রেমিকের কাছেই ফিরে যায়
ব্যর্থ পুরুষরা কবি হয়ে আকাশের বুকে কবিতা লেখে,
হয়তো রাতে বালতি দিয়ে জোছনা ধরে, কিংবা
বিছানার চাদর দিয়ে অব্যক্ত স্বপ্নগুলিকে বাঁধে।
হারিয়ে ফেলা প্রেমিকার সিঁথির মাঝে
খুঁজে ফেরে চতুর্দশপদী কবিতা,
ছন্দের জাদুকর হয়ে উঠে
হঠাৎ, ব্যাকরণহীন পুরুষ।
নিকষ কালো নিঃসঙ্গতা যেন
আশ্রয় পায় বিমূর্ত পদ্যে,
কিংবা কিংবদন্তি রঙতুলি তে
এঁকে ফেলে এক জলজ্যান্ত পোট্রেইট!
কাঁধে ঝোলান চটের ব্যাগে উঁকি দেয়
হাতে লেখা কিছু অসম্পুর্ন কবিতা,
অধোয়া পাঞ্জাবীতে লাগে না
কখনোও লিপষ্টিকের দাগ।
অটোগ্রাফের সময় বই মেলায় আলতো হাতের ছোঁয়া
কবির বুকে ঝড় তুলে অনবদ্য শিহরণ,
কাঁচের চুড়ির রিন ঝিন হয়ে উঠে
বিটোভেনের সপ্তম সিমফোনী।
কিন্তু, মেলা শেষে মেয়েরা প্রেমিকের কাছেই ফিরে যায়
দিবা স্বপ্নে বিভোর কবি ছন্দপতন হয় গদ্যে,
ছেড়া মশারি বেধে রাখতে পারে না সুপ্ত কামনা
নির্ঘুম রাত কাটে নিষ্পাপ প্রেমের অসহ্য ভালোবাসায়।
পটভুমিঃ গতকাল আমার এক লেখা নিয়ে ব্যাপক লজ্জা পেয়েছি। পদাতিক ভাই সুনীলের কবিতা নিয়ে এসেছেন। অর্ধেক বেলা সামুতে আসিনি লজ্জায়। নতুন লেখা পড়ার লোভে লজ্জার রেশ কাটিয়ে যেই না সামু ওপেন করলাম, রাকু ভাই দেখি বেসম্ভব এক নাম বলে ডাকলেন। উল্টা পাল্টা কয়েক লাইন লিখে সামুতে দেই দেখে কি আমাকে কবি বলবেন? সাথে সাথে সামু থেকে পালালাম। মাথা থেকে কিছুতেই এই নাম বের করতে পারছি না। কি করি? শেষমেষ এই ভোজন অযোগ্য আবার উল্টা পালটা কিছু লাইন, তাও আবার কবি কে নিয়ে। :
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪