''আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা চাই'' বলে দাবি জানাইয়াছেন আমাদের রত্নগর্ভা, সোনার ছেলে ছাত্রলীগের উচ্চপদধারী নেতারা। তেনাদের এ চাওয়া সরাসরি। ঈদের খরচের জন্য তেনারা ৪৪৫ কোটি টাকা থেকে ৪-৬% দাবি করিয়াছেন জাবি উপাচার্য থেকে। তেনারা গণমাধ্যমে এটা তাহাদের ''ন্যায্য পাওনা'' বলে দাবি করিয়াছেন। সুতরাং এটাকে চাঁদাবাজি বলা যাইবে না।
''ন্যায্য হিস্যা'' চাচ্ছেন তেনারা। চাইবেনই তো, তেনারাই তো চাইতে পারেন। তেনারা যে জাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের দায়িত্ব নিয়াছেন। তেনারাই তো জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার একমাত্র ঠিকাদার। তেনারা যদি বখশিশ হিসেবে, ঈদের সেলামি হিসেবে দুই চারি শতাংশ দাবি করিয়া থাকে তাহাতে দোষের কি? জাফর ইকবাল সাব ওইদিনের প্রথম আলোতে ঠিকই বলিয়াছেন ''ছাত্রলীগের ছেলেদের শাস্তি দেয়া অন্যায়''। হ্যাঁ উনি যথার্থই বলেছেন, কারণ উনিও যে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আরেক ঠিকাদার।
''ফেয়ার শেয়ার'' কেন চাইবে না? সমগ্র দেশব্যাপী যখন লুটপাটের মহাযজ্ঞ মেতে আছে, সবাই যার যার অবস্থান থেকে তার তার প্রাপ্য বুঝিয়া নিচ্ছে যেখানে জাতির ভবিষ্যৎ, আগামীর কর্ণধার, আগামীর নির্দেশক, পথ প্রদর্শক কচিকাচা, সোনামুখ, সোনার সূর্যসন্তানেরা যদি বঞ্চিত থাকে তাহা হইলে কি ''ফেয়ার শেয়ার'' হয়?
ইয়েস ''ইউ ডিসার্ভ ফেয়ার শেয়ার''। মুখে বলেছ দেয় নাই, সুতরাং লুটে নাও।
উৎসঃ ''The Daily Star'' 14/09/19 খবরের ভিত্তিতে
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭