কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বিশ্বজগৎ ধ্বংস করবেন মানব এবং জ্বিন দেহের পুনুরুত্থান ঘটাবেন তাদের বিচার করবেন এবং চিরস্থায়ীভাবে কর্মফল প্রদান করবেন।বিচার অথবা পুনুরুত্থান দিবস আল ক্বিয়ামাহ হল ইসলামের ছয়টি বিশ্বাসের মধ্যে একটি। কুরআন ও হাদীসে এবং আল গাজ্জালি, ইবন কাসীর, ইবনে মাজাহ, আল বুখারী, এবং ইবনে খুযাইমাহ'র মত ইসলামী তাফসীরবিদগণের তাফসীরসমূহে বা ধারাবর্ননা সে সময়ের অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি কথা বলা হয়েছে। কিয়ামত বা বিচার দিবসকে বিবেচনা দিবস the Day of reckoning, প্রতীক্ষিত ঘন্টা the Hour এবং শেষ দিবসও the Last Day বলা হয়ে থাকে। বিচার বা পুনুরুত্থান দিবস । আল ক্বিয়ামাহ হল ইসলামের ছয়টি (সুন্নি) বা সাতটি (শিয়া) আকিদার (মূলনীতির) একটি অংশ।
কুরআনে শেষ বিচারের বর্ননা রয়েছে এবং এই সম্পর্কিত আয়াতসমূহের বহুসংখ্যক তাফসির বা ব্যাখ্যা রয়েছে। সে সকল আয়াতসমূহের সারকথা নিম্নরুপ দেয়া হল:
এই নির্দিষ্ট সময়টি শুধু আল্লাহ পাক'ই জানেন।
নবী হজরত মুহাম্মদ একে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন না।
যারা মারা গিয়েছিল তারা মনে করবে যে জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যকার একটি স্বল্প সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।তখন আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
আল্লাহ সকলকে পুনুরুত্থিত করবেন, এমনকি তারা যদি পাথর এবং লোহায় রুপান্তরিত হয় তবুও।
যারা মিথ্যা দেবদেবীকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করেছিল তারা পরকালে শাস্তি ভোগ করবে ।
শেষ বিচারে আগে তিনটি ধাপ বা পর্যায় আছে।
(১) বড় বড় লক্ষণসমূহ হল:
মিথ্যা মসীহ বা মসীহ দজ্জাল; একচোখ অন্ধ, একচোখ সুস্থ এবং বিশাল ক্ষমতা নিয়ে আত্বপ্রকাশ করবে এবং নিজেকে আল্লাহ বলে দাবি করবে।
ইমাম মাহদীর আত্বপ্রকাশ।
মানুষ মদীনা ত্যাগ করবে, খাঁটি মুমিনগণ মাহদীকে অণুসরণ করবে এবং কাফিররা করবে দাজ্জালকে।
দাজ্জালকে হত্যা এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দ্বিতীয় আসমান থেকে ঈসা (আঃ) এর প্রত্যাবর্তন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি পৃথিবী শাসন করবেন।
ইয়া'জুজ এবং মা'জুজ নামক অবাধ্য প্রাণীর দুটি গোত্র , যারা যুলকারণাইনের সাহায্যে বন্দী হয়েছিল তারা বেরিয়ে আসবে।
মক্কায় আক্রমণ করা হবে এবং কাবাঘর ধ্বংস করা হবে।
দক্ষিণ দিক থেকে এক সুখকর বাতাসের আগমণ যার স্পর্শে সকল মুমিনের প্রশান্তিময় মৃত্যু ঘটবে।
মানুষ কুরআন ভুলে যাবে এবং কেউ এর আয়াত স্বরণ করবে না।
ইসলামী জ্ঞান লোপ পাবে যেখানে কেউ কালেমা "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করবে না, কিন্তু তার পরিবর্তে বৃদ্ধ লোকেরা না বুঝে "আল্লাহ, আল্লাহ" বলে বিড়বিড় করবে।
দাব্বাতুলসময় খুব দ্রুত বয়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ও আহমাদ)
ভাল কাজ হ্রাস পাবে। (বুখারী)
মানুষ কৃপণ হয়ে যাবে। (বুখারী)
খুন এবং হত্যা বেড়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, ও আহমাদ)
ভুল ব্যক্তিকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেওয়া হবে। (বুখারী)
সততা হারিয়ে যাবে। (বুখারী)
জ্ঞানের বিলোপ ও অজ্ঞতার বৃদ্ধি। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, ও আহমাদ)
ফোরাত নদীর তল থেকে একটি স্বর্ণের পাহাড় সিলগালা করে দেয়া হবে, কেউ তা থেকে কিছু নেবে না।
৩০ জন ভন্ড নবীর আগমণ। (বুখারী)
একই ধর্মের দুটি বৃহত্তর ধর্মীয় দল একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ভুমিকম্প বৃদ্ধি পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
সম্পদের প্রাচুর্য এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে যাকাত নেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। (বুখারী)
যখন লোকেরা বড় বড় দালান তৈরি করতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে যাবে। (বুখারী)
কোন এক লোক কবরের পাশে দিয়ে হেটে যাবে আর আশা করবে যদি সে নিজে সেখানে থাকতে পারতো। (বুখারী)
মুসলিমদের দ্বারা কনস্টানটিনোপল বিজয়। (আহমাদ, মুসলিম)
গাছ ও পাথর ইহুদির বিরুদ্ধে লড়তে মুসলিমদের সাহায্য করবে।
মাদকদ্রব্য গ্রহণ ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ব্যভিচার ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক সহজ হয়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ)
নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেড়ে যাবে, এমনকি একজন পুরুষের বিপরীতে হবে পঞ্চাশজন মহিলা হবে। (বুখারী, মুসলিম, ও আহমদ)
মানুষ মসজিদের ক্ষমতার জন্য কঠোর সংগ্রাম করবে।
ভাল মানুষেরা প্রতারিত হবে। (ইবন মাজাহ)
যাকাত প্রদানকে সবাই বোঝা মনে করবে এবং কৃপণতা বেড়ে যাবে; দান করা হবে অনিচ্ছুকভাবে। (তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
নেতাগণ আল্লাহর বিধান অণুযায়ী শাসন করবেন না।
শুধু ধনীরাই লাভের ভাগ পাবে, গরিবেরা পাবে না। (তিরমিযী)
নিকৃষ্টতম লোকেরা জনগণের নেতা হবে।
আরদ নামক পশু মানুষের সাথে কথা বলার জন্য ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসবে।
মানুষ রাস্তাঘাটে 'গাধাদের মত' ব্যভিচার করবে।
একটি বিশাল কালো ধোয়ার মেঘ পৃথিবীকে ঢেকে ফেলবে।
পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠবে।
ইস্রাফিল (আঃ) এর প্রথম শিঙ্গার ফুকে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু ছাড়া সবকিছু ধ্বংস হবে ও চল্লিশ দিন নীরবতা থাকবে।
দ্বিতীয় ফুকে সকল মৃত মানুষ পুনরুত্থিত হবে এবং একটি অগ্নিকুন্ড তাদের বিচারের জন্য হাশরের মাঠে একত্রিত করবে।
ছোট ছোট লক্ষণসমূহ হলো:
সময় খুব দ্রুত বয়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ও আহমাদ)
ভাল কাজ হ্রাস পাবে। (বুখারী)
মানুষ কৃপণ হয়ে যাবে। (বুখারী)
খুন এবং হত্যা বেড়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, ও আহমাদ)
ভুল ব্যক্তিকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেওয়া হবে। (বুখারী)
সততা হারিয়ে যাবে। (বুখারী)
জ্ঞানের বিলোপ ও অজ্ঞতার বৃদ্ধি। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, ও আহমাদ)
ফোরাত নদীর তল থেকে একটি স্বর্ণের পাহাড় সিলগালা করে দেয়া হবে, কেউ তা থেকে কিছু নেবে না।
৩০ জন ভন্ড নবীর আগমণ। (বুখারী)
একই ধর্মের দুটি বৃহত্তর ধর্মীয় দল একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ভুমিকম্প বৃদ্ধি পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
সম্পদের প্রাচুর্য এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে যাকাত নেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। (বুখারী)
যখন লোকেরা বড় বড় দালান তৈরি করতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে যাবে। (বুখারী)
কোন এক লোক কবরের পাশে দিয়ে হেটে যাবে আর আশা করবে যদি সে নিজে সেখানে থাকতে পারতো। (বুখারী)
মুসলিমদের দ্বারা কনস্টানটিনোপল বিজয়। (আহমাদ, মুসলিম
গাছ ও পাথর ইহুদির বিরুদ্ধে লড়তে মুসলিমদের সাহায্য করবে।
মাদকদ্রব্য গ্রহণ ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ব্যভিচার ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক সহজ হয়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ)
নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেড়ে যাবে, এমনকি একজন পুরুষের বিপরীতে পঞ্চাশজন মহিলা হবে। (বুখারী, মুসলিম, ও আহমদ)
মানুষ মসজিদের ক্ষমতার জন্য কঠোর সংগ্রাম করবে।
ভাল মানুষেরা প্রতারিত হবে। (ইবন মাজাহ)
যাকাত প্রদানকে সবাই বোঝা মনে করবে এবং কৃপণতা বেড়ে যাবে; দান করা হবে অনিচ্ছুকভাবে। (তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
নেতাগণ আল্লাহর বিধান অণুযায়ী শাসন করবেন না।
শুধু ধনীরাই লাভের ভাগ পাবে, গরিবেরা পাবে না। (তিরমিযী)
নিকৃষ্টতম লোকেরা জনগণের নেতা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫০