বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম যেভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে তা দেখে জনগণ সস্তির নিশ্বাস ফেলছে। আশা করা যায় অল্প দিনের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধীরা ফাঁসীর মঞ্চে উঠবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা তাদের আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোনদেরকে হারিয়েছেন এবং যাদের ইজ্জত লুট করা হয়েছিল তারা কিছুটা হলেও শান্তনা পাবেন।
আওমীলীগ সরকার সত্যিই মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে ১০০ ভাগ আন্তরিক। যাদেরকেই এই অপরাধে আটক রাখা হয়েছে তারা নিশ্চিত অপরাধী জেনেও তারা সরাসরি তাদেরকে ফাঁসীতে না ঝুলিয়ে অত্যন্ত সুন্দর এক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রায় প্রদান করে ফাঁসী দিবে ইনশাআল্লাহ্।
এদেশের জনগণ চায় বাংলার জমিন থেকে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে। আওমীলীগ যদি জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে তাহলে এই ৫-৭ জন রাজাকারকে ফাঁসী দিয়ে ইসলামের শত্রু জামাত শিবিরকে নির্মূল করা যাবে না।
আওমীলীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেও দেশবাসী ভাল করেই জানে কারা সত্যিকার ইসলামের খেদমত করছে। আওমীলীগ সত্যিকার ইসলামের খেদমত করছে বলেই আজ দেশের অনেক আল্লাহর ওলীই বর্তমান সরকারকে সমর্থন করেছেন, আওমীলীগে রয়েছে হাজার হাজার বড় বড় আলেম।
অপরদিকে জামাত নিজেদেরকে ইসলামী দল বলে দাবী করলেও এদেশের সকল ইসলামী দলই তাদেরকে ইসলামের শত্রু বলে এবং তারা কোন ইসলামী দল নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। তাই জামাত শিবিরকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া আওমীলীগ-বিএনপি যেমন নেতাদের বা দেশরত্ন হাসিনা এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উপর নির্ভরশীল, সেভাবে জামাত শিবির নেতাদের উপর নির্ভরশীল নয়। জামাত শিবিরের কর্মীরা কেবলমাত্র আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে। মওদূদী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু মওদুদী যদি কোরআন-হাদীসের বিরোধী কোন কথা বলেন তাহলে সে কথা জামাত শিবিরের কর্মীরা প্রত্যাক্ষান করে এবং ছুড়ে ফেলে দেয়, ঠিক তেমনী সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদ জামাত শিবিরের আদর্শ নয়, জামাত শিবিরের আদর্শ হচ্ছেন রাহমাতুল্লিল আলামিন বিশ্বনবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম। তাই যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের শহীদরা হচ্ছেন জামাত শিবিরের প্রেরণা। জামাত শিবিরের কোন নেতা কর্মীকে যদি তাদের ইসলামী হুকুমত কায়েমের আন্দোলনকে স্থব্ধ করে দেয়ার জন্য হত্যা করা হয় বা ফাঁসী দেয়া হয় তাহলে তারা ভয়ে ঘরের কোনয় গিয়ে লুকাবে না তারা দ্বিগুণ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে।
অতএব, এদেশের অধিকাংশ পীরগণের ফতোয়া এবং হাজারো আলেমের প্রকাশ্য ঘোষণা অনুযায়ী ইসলামের শত্রু জামাত শিবিরকে নির্মূল করার জন্য তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আওমীলীগের কাছে দেশবাসীর একটাই দাবী।