ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে ছূ’রা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম ওয়া সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার, ঈদু মীলাদিন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুফরীমূলক বক্তব্য প্রদান করে থাকে। প্রথমে তাদের কুফরী বক্তব্যগুলো তালিকা আকারে প্রকাশ করলাম। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এগুলোর খন্ডন-মুলক জবাব দেব। ইনশাল্লাহ।
১. ‘মীলাদুন নবী’ শব্দের শরয়ী কোন ভিত্তি নেই, তাই এটি পরিত্যাজ্য। নাঊযুবিল্লাহ!
২. রবীউল আউয়াল মাস হিসেবে বিশেষভাবে সীরাতুন নবী মাহফিল করা যেতে পারে।
৩. ‘ইসলামের সোনালী যুগ তথা খইরুল কুরুনে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি। তাই এটা পরিত্যাজ্য।’
৪. ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত সকল বর্ণনাই মওজু’ বা জাল। নাঊযুবিল্লাহ!
৫. ‘ইসলামী শরীয়তের নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবপত্রে ঈদে মীলাদুন নবী-এর বৈধতা দেয়া হয়নি।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৬. ‘বিশাল সংখ্যক ছাহাবীর মধ্যে একজনকেও এমন পাওয়া যায়নি যিনি গুরুত্বের সাথে এই দিনটি উদযাপন করেছেন। উনারা কেন করেননি? কারণ ইসলামে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের কোন অবকাশ নেই।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৭. ‘ঈদে মীলাদুন নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামে নেই।
৮. ‘ঈদে মীলাদুন নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি ঈদ হতো এবং সকল ঈদের সেরা ঈদ হতো, তবে এখানে ছলাত থাকতো, খুতবা থাকতো। ছলাত ডবল হতো, খুতবা ডবল হতো। কিন্তু এখানে ছলাত, খুতবা নেই।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৯. “নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়।”
১০. ‘নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে।’
১১. ‘নবীজীর ইন্তিকাল দিবস হচ্ছে দুঃখের দিন। আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা অন্যায়।’
১২. ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রসূলে পাক এবং ছাহাবায়ে কিরাম পালন করেননি বিধায় সেটা নাজায়িয ও বিদআত।’
১৩. বিদআত যতই সুন্দর হোক না কেন তা বর্জনীয়।
১৪. জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা, যিশুর জন্ম দিনের মত ঈদে মীলাদুন নবী নামে বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করা হচ্ছে । নাঊযুবিল্লাহ!
১৫. ‘কোন এক বাদশাহর মনে এই চিন্তার উদয় হলো, ‘খ্রিস্টানরা যখন ঈসা আলাইহিস সালাম উনাদের জন্মদিন পালন করে তখন আমরা কেন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত পালন করবো না? এই ভাবনা থেকেই সেই বাদশাহ মীলাদুন নবীর সূচনা করে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
১৬. ‘ইসলামে যদি নবী-রসূল ও আওলিয়ায়ে কিরামগণের জন্মবার্ষিকী পালনের দ্বার উমুক্ত করে, তাহলে মুসলমানরা কি সারা বৎসর বার্ষিকী পালন ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য এক মুহূর্তও সুযোগ পেত?’ নাঊযুবিল্লাহ!
১৭. ‘নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছাড়াও ইসলামে কম-বেশি সোয়া লাখের মত নবী-রসূল, সোয়া লাখের বেশি ছাহাবী, লক্ষ লক্ষ গাওছ, কুতুব আওলিয়ার জামাত ছিলেন। তাহলে এতজনের বার্ষিকী কিভাবে পালন সম্ভব। তাই ইসলাম বার্ষিকী পালনের প্রথা বন্ধ করে দিয়েছে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
১৮. ‘কোন বিদআতই ইসলামী শরীয়তের অংশ হতে পারে না। কারণ তা গুমরাহী। যদিও মানুষ তা ভাল মনে করে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
১৯. ‘সুস্থ বিবেকও যা সমর্থন করতে পারে না, তেমনি একটি হলো ঈদে মীলাদুন নবী।’ নাঊযুবিল্লাহ!
২০. ‘রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় এসে দু’ঈদ ব্যতীত সব ঈদ বাতিল ঘোষণা করেছেন।’ নাঊযুবিল্লাহ!
২১. হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীর কায়রোর খলীফাগণ ঈদে মীলাদুন নবী প্রবর্তন করেন। তারা ছিল উবাইদী, যিন্দীক, রাফিজী, শিয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
২২. সপ্তম হিজরীতে ইরাকের ইরবাল শহরের বাদশাহ মুজাফফর আবূ সাঈদ ‘ঈদে মীলাদুন নবী’ চালু করেন।
২৩. ঈদে মীলাদুন নবী পালনকারী ইরাকের ইরবাল শহরের বাদশাহ মুজাফফর আবূ সাঈদ ছিলেন মূর্খ ও যিন্দীক। নাঊযুবিল্লাহ!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২