অমরত্বের বা অনন্তজীবনের জন্য অথবা মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য চিন্তা অনেক আগে থেকেই মানুষ করে আসছে।
প্রাচীন মিশরের রাজারা নিজেদের শরীরকে মমি করতেন মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য।
হয়তো তারা ভেবে ছিলো যে আধুনিক বিজ্ঞানীরা তাদের জীবিত করতে পারবে?
কিন্তু এমন ভাবনা বত`মানের মানুষও ভাবছে এবং তারা মৃত্যুর পরে তাদের দেহ তরল নাইট্রোজেনে সংরক্ষন করছে এবং তাদের আসা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা তাদের আবার জীবিত করতে পারবে।
Cryonics গৃীক শব্দ kryos থেকে এসেছে অথ` বরফের মতন ঠান্ডা করে মৃত্যদেহ সংরক্ষন করা যাতে ভবিষ্যতের বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় তাদের আবার জীবিত করা সম্ভব হয়।
যদিও এখনো Cryopreservation করার পরে সেই দেহ কে বত`মানের প্রযুক্তি দিয়ে আবার সাভাবিক অবস্তায় আনা সম্ভব হয়নি কিন্তু যারা তাদের দেহ সংরক্ষন করছেন তারা আশা করে যে ভবিশ্যতে হয়তো প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তা সম্ভব হবে।
যদিও কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এটা সম্ভব কিন্তু অধিকাংশ এখনো এটাকে অসম্ভবই মনে করেন। তবুও ১৯৬২ থেকে ২০১৩ সাল পযন্ত ২৭০ জন মানুষ সম্পুন এবং আংশিক দেহ সংরক্ষন করেছে।
কিভাবে Cryopreservation করা হয়:-
কয়েকটি কম্পানি Cryopreservation করে থাকে যেমন Alcor Life Extension Foundation , The Cryonics Institute
যদি আপনি আলকোর এর সদস্যা হন তবে বছরে ৪০০$ বছরে সদস্য ফী হিসেবে দিতে হবে। যখন আপনি মারা যাবেন এবং ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করবে তখনই আলকোর টিম কাজ শুরু করবে। অবশ্য টিমের লোকজন ঐ খানে উপস্হিত থাকবে। ঐ টিমের প্রধান কাজ হবে দেহটিকে যত তারাতাড়ি তাদের ফ্যাসালিটিতে নিয়ে যাওয়া। তারা চেস্টা করবে যাতে মস্তিস্কে অক্সিজেন এবং রক্তের সরবরাহ থাকে এবং ক্ষতি না হয়। তারা রক্ত জমাট না বাধার জন্য heparin (an anticoagulant) এবং আরো কিছু ওষুধ ব্যবহার করে থাকে।
তাদের cryonics facility নেবার পরে আসল freezing প্রকৃয়া শুরু হয়। তারা প্রথমে তারা মাথার খুলিতে ছিদ্রকরে মস্তিস্কে ঠিক মতন আছে কিনা পযবেক্ষন করে এবং তাকে কিছু প্রোব বসায়।
cryonics এ কখনোই শরীরকে সরাসরি তরল নাইট্রোজেনে ঠান্ডা করা হয়না। কারন তাকে শরীরের পানি কোষে বরফের কৃস্টাল তৌরি হবে এবং কোষ ভেঙ্গে যাবে এবং তা কখনোই আর আগের অবস্হায় আসবেনা। তাই তারা শরীরের রক্তের সাথে বিভিন্ন ধরনের glycerol-based chemical ক্যামিক্যাল মিশিয়ে শরীর থেকে পানি বের করে নিয়ে আসে এই গুলিকে তারা cryoprotectant বলে থাকে ।প্রায় ১৮ ধরনের রাসায়নিক তারা ব্যবহার করে। যাতে শরিরের অঙ্গপ্রতঙ্গ অতি নিন্ম তাপে ঠান্ডা হবে কিন্তু বরফের কৃস্টাল হবেনা। এই প্রকৃয়াকে vitrification (deep cooling without freezing) বলে।
তার পরে যখন সারা শরীরে cryoprotectant ছড়িয়ে যাবে তখন দেহটিকে অপারেশন টেবিল থেকে বডি ঠান্ডা করার বেডে নিয়ে তরল নাইট্রোজেনের প্রবাহ দিয়ে -১১০ সে: নিয়ে যাওয়া হয়।
তার পরে ঐ দেহটিকে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষনের জন্য বড় স্থায়ী টেংকে রাখা হয়। যেখানে দেহটি পুরোপুরি তরল নাইট্রোজেনে নিমজিত তাকবে।
উপরের এই কন্টেইনারে ৬টি করে দেহ রাখা হয়।
কন্টেইনার গুলিতে শুধু তরল নাইট্রোজেনে পূন` থাকে তাই বিদ্যুত চলে গেলে কোন সমস্যা হবেনা। শুধু সপ্তাহে তরল নাইট্রোজেন রিফিল করে ওরা। তবে পুরো কন্টেইনার ৬ মাস পযন্ত চলতে পারে যদি তাতে রিফিল না করে।
cryonics এর বিভিন্ন কম্পানির খরচের চাট`:
বতমানে অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করে যে এখনো এই পদ্বতীর মাধ্যমে সংরক্ষন করে রাখা দেহতে আবার জীবিত করা সম্ভব হবেনা।
সেই প্রসংঙ্গে মিচিও কাকু একটি ভিডিওতে তার মতামত দেন এবং তিনি প্রকৃয়াকে অসম্ভব মনে করেন না কিন্তু এটা বত`মানের প্রযুক্তিতে সম্ভবনা বলে মনে করেন। কারন যখন এই দেহকে আবার সতেজ করা হবে বরফ থেকে তখন দেহের কোষ গুলি নস্ট অবস্তায় থাকবে।
যদি আমাদের এই সভ্যতা কোন কারনে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং আরো হাজার বছর পরে এই কন্টেইনার গুলি তখনকার সভ্যতার মানুষেরা খুজে পায় তবে সেটা তাদের জন্য মমি আবিস্কারের মতনই হবে তাই না??
সুত্র:-
* এলকোর এর ভিডিও:- Click This Link
ক্রায়নিকস ইনিসটিটিউট
বাস্তবে কিভাবে এই প্রকৃয়া করা হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১