মন্ত্র মুগ্ধ সন্ধ্যা... মালোয়েশিয়ার বাংলাদেশিদের মিলন মেলা... ৩০/১২/২০০৭
গত ৩০শে ডিসেম্বর সন্ধা ৭.২০ শে মালোয়েশিয়ান টুরিসম সেন্টারে ছিলো বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড়... ঈদ ও বিজয় দিবশ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়েজন ছিলো...মালোয়েশিয়ার বাংলাদেশিদ সাংস্কৃতিক গস্ঠির উদ্দোগে...
পিয়াল ভাই এর ইমেইল পেয়েছিলাম আগেই...সে দিন তাই আমি আর অরপন বিকেল ৫.৫০ এ রেপিড কে এল বাসে করে কোয়ালালামপুর রওনা হলাম... পিয়াল ভাই আমাকে ৬.৩০ উপস্থিত থাকতে বলেছে...অরপন বললো..এটা বাঙ্গালীর অনুস্টান সুতরাং .. বাঙ্গালীর ঐতিজ্য অনুযায়ী .. অনুস্টান শুরু হতে দেরী হবেই..
যেহেতু আমি টুইন টাওয়ারে পৌছে জালান আমপাং( রাস্থার নাম) ধরে বাংলাদেশ হাইকমিসনের দিকে হাটা দিলাম...( পিয়াল ভাই বলেছিল.. ভেনু টা এম্মাসী ও টুইন টাওয়ারের কাছে..তাই আমি কাউকে জিঙ্গাসা না করে অনুমানেই হাটা শুরু করলাম..) মালোয়েশিয়ান টুরিসম সেন্টার চিনিনা.. তাই খুজতে লাগলাম... ব্রিটিস হাই কমিসন পার হয়ে এক পুলিশ বক্সের দুই পুলিশ কে জিঙ্গাসা করলাম..মাথা নেড়ে..সুন্দর হাসি দিয়ে বল্লে তারা চেনে না.. আরো কিছুটা পথ হাটার পর মনে হতে লাগলো..আমরা ভুল পথা আছি...এবং তা এক চাচা নিস্চিত করলেন তাকে জিঙ্গাসা করার পর আমরা এতোক্ষন উল্টো পথে হেটেছি এতো ক্ষন..
যা হোক বাসে চেপে আবার টুইন টায়ারের কাছে নামলাম... এবার নেমেই জিঙ্গাসা করলাম এবং ৫ মিনিটের মাথায় আমরা জায়গা মতন পৌছে গেলাম...
অডিটরিয়ামে গিয়া বসলাম.. কিছু লোক আমাদের আগেই পৌছে বসে আছে... আমরা বসলাম ডি-১৭, ১৮ নম্বরের ছিটে..(কিন্তু লাকি ড্রতে আমরা কিছু পেলাম না ) মাইকে ভেসে এলো আমাদের অনুস্ঠান আর একটু পরেই শুরু হবে মাগরীবের নামাজের পর..( আরপন বল্লো আমি আগেই বলেছিলাম ) আমাদের মাননীয় প্রধান অতিথি আমাদের হাই কমিসনার আমাদের ঐতিজ্য রক্ষাথে` লেট...তাই অনুস্ঠান শুরু হলো তাকে ছাড়াই..
অনুস্ঠান শুরু হলো... প্রথমে দুজন বক্তিতা করলেন( নাম মনে নেই) ... তারপর অনুস্ঠান শুরু হলো নাচ >> তারপর গান>>কবিতা>>নাচ>>গান>>দলীয় সঙ্গীত>> মুখাভিনয়>>ফ্যাশন সো...>>গান.....
অনুস্ঠানে কিছু কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম.. অনেকেই ভিডিও কেমেরা ও ভালো মোবাইল কিনেছেন..কারন তারা সবাই স্টেজের সামনে এসে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভিডিও করছিলেন... তারা খেয়াল করছিলেন না কে পেছনে বসা মানুষ গুলি অনুস্ঠান দেখতে পারছে না...
অনুস্ঠানের খুব ভালো লাগলো..একদিন বাঙালী ছিলামরে গান( গায়কের নাম মনে নাই..ধন্যবাদ সুন্দর গানের জন্য) .. মহুয়া বউদির গান পরিবেশনা.. এবং ছোট্ট দুইটি মেয়ের নাচা এবং তাদের ফ্যাশন সোর ক্যাট ওয়াক.. ওদের নাম মনে নাই..কিন্তু ওদের নাচ খুবই সুন্দর ছিলো...
পিয়াল ভাই ও আর এক সুন্দরী সহ উপস্থাপিকার( নাম মনে নাই) সাবলীল উপস্থাপনায় ভালো ভাবে শেষ পয`ায় পৌছেলো....
অনুস্ঠান শেষে লাকি ড্র... তার আগে ঘোষনা দিলো..যে আমাদের মাননীয় হাই কমিসনার সাহেব ..রবি বার দিন তার অনিবায` এবং অতান্ত গুরত্বপুন` কাজ শেষ করে আমাদের অনুস্ঠানে আসতে পেরেছেন...আমরা সবাই তাকে হাতে তালি দিয়ে বরন করে নিলাম...
লাকি ড্রতে পুরুস্কার ছিলো তিনটি বিমান টিকেট.. ৩য় পুরুস্কার ছিলো..কোলালামপুর>ঢাকা>কোলালামপুর ..২য় কোলালামপুর>করাচি/দিল্লী>কোলালামপুর এবং ১ম কোলালামপুর>লন্ডন>কোলালামপুর..
আমার মনে হয়..এই ৩টি পুরুস্কার না দিয়ে.. আরো কম খরচে ৫০টি ছোটো পুরুস্কার এর ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো..
আমরা সবাই মিলে দাড়িয়ে আমাদের জাতীয় সংঙ্গীত গেয়ে অনুস্ঠান শেষ করলাম...খুবই ভলো লাগলো বিদেশের মাটিতে দাঢ়িয়ে সবাই মিলে আমাদের জাতীয় সংঙ্গীত গাইতে পেরে...
সবশেষে পিযাল ভাই কে হাই বলে (তার সাথে এই প্রথম সরাসরি দেখা..এতো দিন সুধু নেটে কধা হতো আর ইউ টিউবে উনার ভিডিও দেখেছিলাম ..বিদায় নিলাম..
হাটা সুরু করলাম এল আর টি ( ট্রেন ) স্টেসানের দিকে..>> তার পর পাসার সিনি বাস স্টাড>>দৌড়ে বাস ধরা>>বাসায় পৌছলাম রাত ১১.৩০শে..
নেটে বসে একটু সময় কাটালাম ..তার পর ঘুম>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
বি:দ্র: এই অনুস্ঠান সম্পকে সবচেয়ে ভালো লিখতে পারবেন পিয়াল ভাই.. আশা করি উনি ছবি ও ভিডিও সহ বিস্তারিতো লেখা দেবেন..