আমার বেশিরভাগ বইয়ের প্রকাশক এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনী।
এ ছাড়া নির্বাচিত কবিতার বই কূর্চি এবং রোদছায়ার গল্প বইটি করেছিল শ্রাবণ প্রকাশনী।
'নগরে সাধু'- মুক্তগদ্যের বইটি করেছে প্রিয় খোকা ভাইয়ের প্রকাশনা সংস্থা বিদ্যাপ্রকাশ।
টোকিও বুকফেয়ার থেকে ফিরে যে ভ্রমণকাহিনী লিখেছি তা প্রকাশ করেছি ঘুড়ি থেকেই। আরও কিছু বই প্রকাশ করেছে ভিন্ন কিছু প্রকাশনা সংস্থা যার মুদ্রিত কপি আর নেই।
আমার লেখালিখি যাদের প্রিয় তারা উল্লেখিত স্টলে ( এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনী স্টল নাম্বার ৫৮৪ শ্রাবণ প্রকাশনী স্টল নাম্বার ৪৬৩-৪৬৫ বিদ্যাপ্রকাশ স্টল নাম্বার ৩২৬-৩২৯ ) গেলে প্রকাশিত বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
এখন আমি কবি বা লেখক হিসেবে বইমেলায় যাই না, যাই প্রকাশক হিসেবে। যতোক্ষণ লিটলম্যাগ চত্বরে থাকি ততক্ষণ আমি মেঘফুল এর সম্পাদক হিসেবেই থাকি।
এর বাইরেও বইমেলায় আমি নানা স্টলে যাই, বই দেখি। কাগজের মান, বইয়ের বাধাঁই ইত্যাদি দেখি। অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থার বই ঘাটাঘাটি করে তাদের প্রকাশনা, পরিকল্পনা এইসব বোঝার চেষ্টা করি।
এর মাঝেই নানা মানুষের সাথে দেখা হয়। কেউ আমাকে দেখার জন্য আসে, আড্ডা দিতে আসে। অনেককে আবার আমি গিয়ে দেখে আসি, এভাবেই মেলার সময়টা কাটে।
শুক্রবার শনিবার ফাল্গুন একুশ ইত্যাদি বিশেষ দিনে একটা জ্যামপ্যাক অবস্থায় থাকি। সেই দিনগুলোতে মহা ব্যস্ত সময় যায়। এ ছাড়া প্রকাশনা আয়োজন, টিভি ইন্টারভিউ, মোড়ক উন্মোচন ইত্যাদিতেও একটা সময় বরাদ্ধ থাকে।
বইমেলায় বিকাশ, ব্যাগ, গেস্ট, লাঞ্চ, কফি, সিগারেট, আড্ডার পাশাপশি সারাক্ষণ যা নিয়ে আমরা থাকি তা হলো বই, বই এবং বই। এ কারণেই সকল কিছু তুচ্ছ মনে হয়। বইয়ের প্রতি আজন্ম ভালোবাসা যাদের আছে তারা তাই বইমেলার দিনগুলোতে সবচেয়ে আনন্দে থাকে। এই আনন্দ শুধু বইপ্রেমিকেরা অনুভব করতে পারেন, আর কেউ নয়।
বইমেলায় আসুন, হৈচৈ আনন্দ আড্ডা নয় শুধু, বইয়ের সাথে থাকুন।
বই পড়ুন।
.
নীলসাধু
সম্পাদক মেঘফুল
প্রকাশক এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনী
সদস্য সচিব বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ
আহবায়ক লিটলম্যাগ সম্পাদক পরিষদ
#বইমেলা২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১