সাম্প্রতিক রুপগঞ্জের ঘটনা নিয়ে অনেকে অনেক কিছুই লিখছেন। কেও পক্ষে লিখছেন, কেও বিপক্ষে লিখে নিজের মনের ক্ষোভ মিটাচ্ছেন। কারো লেখা আবার সামুতে স্টিকি করা হয়েছে। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন;
বাংলাদেশে ভুমিদস্যুদের অভাব নাই এবং এদের সাধারণ জনগনের জমি অন্যায় ভাবে নিয়ে নেয়ার কাহিনীর ও অভাব নাই। কিন্তু সাধারণ জনগন এতো সাহসী হল কবে থেকে যে তারা বানিজ্যিক ভুমিদস্যুদের (যমুনা, বসুন্ধরা) অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে কিছু বলে না কিন্তু বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সঙ্গে লড়াই করে। এতো সাহসী কবে হল ?
রুপগঞ্জের ঘটনা কি শুধুই সেনাবাহিনী কতৃক জমি সাধারণ জনগনের জমি অধিগ্রহনের প্রতিবাদ নাকি অন্য কিছু ? কারণ যেই সেনাবাহিনীকে স্বাভাবিক ভাবেই আমরা একটু ভয় পাই (হয়ত সেনাবাহিনী বলেই) তাদের বিরুদ্ধে আমরা হিজড়া জনগন লড়াই করতে পারি অথচ বানিজ্যিক ভুমিদস্যুদের ব্যাপারে এই রকম লড়াই করি না, ইভটিজিং এর প্রতিবাদের কারনে একজন শিক্ষক মারা যায় সে ব্যাপারে কিছুই করি না, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদেরকে এক প্রকার দোযখের মধ্যে রেখেছে সেই ব্যাপারে কিছুই করি না, এর থেকে কি বুঝা যায় ?
আমি বলছি না সেনাবাহিনী ধোয়া তুলশীপাতা কিন্তু রুপগঞ্জের ঘটনা আমি বলবো শুধুই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য করা হয়েছে।
আরো অবাক লাগছে এই ভেবে যে সামুতে এই নিয়ে একটি পোষ্টকে স্টিকিও করা হয়েছে যেটা স্পর্শকাতর। কারন, সেনাবাহিনী শুধুই একটি নাম না, একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ও প্রতিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬