প্রিয় সামহ্যোয়ারইন মডারেটরবৃন্দ,
একুশের শুভেচ্ছা । রক্ত দিয়ে ভাষা অর্জনের কৃতিত্ব শুধু আমাদেরই আছে । যেখান থেকে মূলত আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিলো । ফেব্রুয়ারির একুশ এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । ভাষার অধিকার ফিরে পাবার মাস ফেব্রুয়ারি জুড়ে চলে আমাদের প্রাণের মেলা ,-বইমেলা । মাসব্যাপী বইমেলা আমাদের জমিয়ে রাখে, কিংবা আমরা জমজমাট জমিয়ে রাখি বইমেলা । এক তথ্যে জানা যায়, গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলায় প্রকাশীত বই এর সংখ্যা ২০হাজার ! ২০হাজার না, ২০০টি না, এরমধ্য থেকে যদি ২০টি বইও আমাদেরকে আলোকিত করতে পারে , তবে মাসব্যাপী এই দুর্দান্ত আয়োজন সার্থক । সার্থক রফিক, সালাম, বরকত , জব্বারের আত্মদান এবং তাঁদের প্রতি, তাঁদের স্মরণে আমাদের এই অকৃত্রিম শ্রদ্ধার প্রকাশ ।
ভাষার এই মাসে, প্রিয় সামহ্যোয়ারইনব্লগে আমি পাকীস্তানের পতাকা দেখতে চাইনা । কোন মাসেই আসলে পাকীস্তানের পতাকা এই ব্লগের প্রথম পাতায় আমি দেখতে চাইনা । আমার দৃষ্টির জন্য এটি পীড়াদায়ক । আমার হৃদয়ের জন্য এটি তীব্র বেদনাদায়ক । যে ভুলে ভুলুক, আমি ভুলতে পারিনা, পাকীস্তানী হায়েনা দ্বারা আমার বাবার সামনে আমার মায়ের সম্ভ্রমহানী ! কিংবা আমার মায়ের চোখের সামনে তাঁর মেয়ের অমানবিক নির্যাতনের কথা আমি ভুলতে পারিনা । আমি অতোটা মহৎ হতে পারিনা । উদার হতে পারিনা । কারণ, বিরঙ্গনা সব মা , আমার মা ! সব বোন আমার বোন !
পাকীস্তানী খেলোয়াড়রা যে পূর্বপুরুষের রক্তের প্রবাহ ধারণ করে, যেই পূর্বপুরুষরা মুসলিম ছিলো, ইসলামের দোহায় দিতো, অথচ বাংলার মুসলিমদের হত্যা করবার সময়, নারীদের ধর্ষণ করবার সময়, হাজার হাজার নারীকে তাদের ক্যাম্পে আটক করে দিনের পর দিন উলঙ্গ রেখে, তাঁদের লজ্জাস্থানে বেয়নট খুঁচিয়ে মারবার সময়, পশুর মতো শিশু হত্যার সময়, তাদের মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথা একবারও মনে রাখেনি, নারী-শিশু হত্যা বিষয়ে ইসলামের বিধানের কথা মনে রাখেনি, শুধু ইসলাম আর মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের দোহায় দেয়া তাঁদের সমর্থনকারীদের মুখে আমি নিঃসঙ্কোচে থু থু দেই ! কারণ আমি জানি, এই ভ্রাতৃত্ববোধের কথা নির্লজ্জ নোংরামী, ভন্ডামী ছাড়া কিছু না !
এই নির্লজ্জ নোংরামী দেখে আমি আর আমার মতো যাদের শরীর ঘৃণায় রি রি করে, যারা বেদনায় নীল হয়, তাদের অনুভূতির প্রতি খানিকটা সম্মান কি আপনারা দেখাতে পারেন ?
এরকম ঘৃণ্য যে কোন প্রচারণা কি আপনারা বন্ধ করতে পারেন ?