
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১ (পুর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-- ২ (যদি নির্বাসন দাও--সুনীল)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩ (কেউ কথা রাখেনি ---সুনীল)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৪ (অন্ধকার--জীবনানন্দ দাশ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৫ (হায় চিল--জীবনানন্দ দাশ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৬ (গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর- আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৭ (মায়ের সুখ--ফজলুল বারী বাবু)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৮ ( নারী--সুনীল )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৯ ( তোমার চোখ এতো লাল কেন--নির্মলেন্দু গুণ )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১০ ( ছিন্নমুকুল--সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১১ ( শুদ্ধ করো আমার জীবন --মহাদেব সাহা)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১২ ( বদলে যাও, কিছুটা বদলাও--আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৩ ( আমি কিংবদন্তির কথা বলছি --আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৪ ( চিঠি দিও---মহাদেব সাহা )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৫ (নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়--হেলাল হাফিজ )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৬ (ফেরীঅলা --হেলাল হাফিজ )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৭ (মানুষ -কাজী নজরুল ইসলাম )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৮ (ছাড়পত্র --সুকান্ত ভট্টাচার্য )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৯ ( সত্যবদ্ধ অভিমান --সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২০ ( আসাদের শার্ট--শামসুর রাহমান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২১ (ওটা কিছু নয়--নির্মলেন্দু গুণ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২২ ( মানুষ--নির্মলেন্দু গুণ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৩ ( বাতাসে লাশের গন্ধ --রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ)
যে কবিতাগুলো আমার বোধের জগৎ নাড়া দেয় । ভালো লাগে । ভীষণ ভালো । একান্ত আমাকে ছুঁয়ে যায় । যে কবিতাগুলো আমার কাছে পুরনো হয়না কখনই । এমন কিছু কবিতা ব্লগ বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না । এই সিরিজে মাঝে- মাঝে ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা ভেসে উঠবে ।
কাজটা প্রথম শুরু করেছেন, কবি ব্লগার আজহার ফরহাদ । তিনি একটু রয়ে- সয়ে দিচ্ছেন । সহব্লগারদের রুচি বদলের সুযোগ দিচ্ছেন, বোধহয় ! সেই সুযোগটা কাজে লাগালাম

সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়
জীবনানন্দ দাশ
চোখ দুটো ঘুমে ভরে
ঝরা ফসলের গান বুকে নিয়ে আজ ফিরে যাই ঘরে !
ফুরায়ে গিয়েছে যা ছিল গোপন, -স্বপন ক'দিন রয় !
এসেছে গোধূলি গোলাপিবরন, - এ তবু গোধূলি নয় !
সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়,
আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের 'পরে !
কেটেছে যে নিশি ঢের, -
এতদিন তবু অন্ধকারে পাইনি তো কোনো টের !
দিনের বেলায় যাদের দেখিনি - ধোঁয়ায় - ভিড়ের মাঝে,
শুনেছি স্বপনে তাদের কলসী ছলকে, -কাঁকন বাজে !
আকাশের নিচে - তারার আলোয় পেয়েছি যে তাহাদের !
চোখ দুটো ছিল জেগে
কত দিন যেন সন্ধ্যা - ভোরের নটকান্ - রাঙা মেঘে !
কত দিন আমি ফিরেছি একেলা মেঘলা গাঁয়ের ক্ষেতে !
ছায়াধূপে চুপে ফিরিয়াছি প্রজাপতিটির মতো মেতে
কত দিন হায় ! - কবে অবেলায় এলোমেলো পথ যেতে
ঘোর ভেঙ্গে গেল, -খেয়ালের খেলাঘরটি গেল যে ভেঙ্গে !
দুটো চোখ ঘুমে ভরে
ঝরা ফসলের গান বুকে নিয়ে আজ ফিরে যাই ঘরে !
ফুরায়ে গিয়েছে যা ছিল গোপন, - স্বপন ক'দিন রয় !
এসেছে গোধূলী গোলাপিবরন, - এ তবু গোধূলি নয় !
সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়,
আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের 'পরে !
জীবনানন্দ দাসের অনন্য সাধারণ আরো একটি কবিতা । অবিস্মৃতমান এই সৃষ্টির জন্য কবির প্রতি অফুরান শ্রদ্ধা রেখে যাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৮