অনেক ব্যাস্ততার কারনে অনেক দিন ব্লগে আসা হয়নি। আজ সেমিষ্টারের অনেক ঝামেলা শেষ হল।
কিভাবে লিখব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না...
টাইপিং ও ভুলে গেছি মনে হয়।
কানাডা তে এসেছি প্রায় ৯ মাস হতে চলেছে। আমি যখন আসি তখন ছিল সামার, মনে মনে ভাবতাম বরফের দেশে এসেছি কিন্তু বরফ কই? মনে মনে অপেক্ষা করতে থাকি কখন উইন্টার আসবে। একে একে অনেক মাস চলে যায়। আমি অপেক্ষায় থাকি। সামার চলে যায়, নানা রঙের বাহার নিয়ে হাজির হয় ফল। সামারের তুলনায় আমার কাছে ফল সব চাইতে সুন্দর লেগেছে।
নিজের চোখ কে নিজেই বিলিভ করতে পারছিলাম না, আসলেই বিলিভ করার মত নয়। এমন সুন্দর দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিটি গাছের পাতা গুলো বিভিন্ন রংএ রাঙ্গানো।
আস্তে আস্তে পাতা গুলো ঝরে যায়, আগমনী বার্তা দিয়ে যায় উইন্টারের। হঠাত একদিন দেখি গুড়ি গুড়ি বরফ পড়ছে। ভেবেছিলাম মনে হয় এইবার বরফ দেখব। কিন্তু মনের আশা মনে রেখে পরের দিন আকাশে সুর্যের হাসি মাখা মুখে দেখে নিজের মুখখানায় কালো হয়ে গিয়েছিল।
এর কিছু দিন পরে সকালে উঠে দেখি সবই সাদা, মনে হল এই-ত বরফ পড়া শুরু হয়ে গেছে। বারান্দায় উঁকি মেরে দেখি সমস্ত বারান্দায় বরফে ঢাকা। শুভ্র সাদা। এত সাদা দেখেই মন ভরে গেল। মনে হয়েছিল মানুষের মনগুলোও যদি এমন হত।
এসব ভাবতে ভাবতে বাহিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেল। বাহিরে যাব, কিন্তু যে পরিমান কাপড় পড়তে হবে দেখে মনটায় খারাপ হয়ে গেল। এত কাপড় মানুষ পরে কেমনে? যাই হোক বাধ্য হয়ে পরে নিলাম না পরে উপায় আছে, বউয়ের গুতানিতে পরে নিলাম। বাহিরে বের হয়েই মনে হল এর জন্যই কি আমি এত দিন অপেক্ষা করেছি? ৫ মিনিটের রাস্তা সময় নিল ১০ মিনিট। কত সাবধানে পা ফেলে গুটি গুটি পায়ে ইউনিতে গেলাম। আর মনে মনে বললাম হাইরে আমার উইন্টার। বাসায় এসে বউকে বললাম হাইরে আমার উইন্টার, সে মুখ বাকা করে বলে কেন তুমি না উইন্টার উইন্টার করে পাগল করে দিয়েছিলে একদিনেই এই অবস্থা। এখনো-ত -২০ -৩০ পড়েনি, তখন কি করবা? আমি ফ্যাল ফ্যাল করে থাকি আর মনে মনে ভাবি, আমার সোনার বাংলাদেশের কথা।
মিস ইউ!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২০