ছবি গুগল থেকে-আমরা কোথা হতে কোথা চলছি, এর পর কি?
আজকের দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর অনলাইন নিউজে একটি খবর দেখে চমকে উঠি। খবরটি হল 'ফাইভ-জি' নেটওয়ার্ক চালুর ফলে শতাধিক পাখির মৃত্যু'। বিস্তারিত দেখে অনেক কষ্ট পেলাম। খবরের বিস্তারিত বলতে নেদারল্যান্ডসএ একটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই উক্ত এলাকার আশেপাশে প্রায় ৩০০ স্টার্লিং পাখির মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহগুলি পরিক্ষা করে পাওয়া গেছে তাদের দেহের ভিতরে রক্তক্ষরণের ফলেই মারা যায় ওগুলো। এর আগেও বেশ কয়েকটি স্থানেও ৫জি নেটওয়ার্কিং পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরে তার আশে-পাশের বেশ কিছু গরু মারা যায়।
৫জি পরিষেবার তরঙ্গদৈর্ঘ ছিল ৭.৪০ গিগাহার্জ, যা পশু-পাখির জন্য অনেক বিপদজনক।
ছবি: গুগল থেকে- মিঃ স্মার্টি এর বিবিধ সমস্যা যার কারণ প্রযুক্তি পণ্য।
ঠিক কোন ক্লাশে পড়েছিলাম মনে নেই, একটি রচনা বা প্যারাগ্রাফ ছিল সেটি, 'বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ'। জীবনকে সহজ ও সাবলীল করার জন্য আমরা যে সকল বৈজ্ঞানিক গ্যাজেট/প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। তার বিভিন্ন ক্ষতিকারক বিষয়গুলো এতে উল্লেখ করা ছিল। যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি ততই উন্নতির শিখরে পৌছে যাচ্ছে, যার নানাবিধ কুফল আমরা দৈহিক, সামাজিক, মানষিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশের উপর উপলব্ধি করতে পারছি। কিন্তু এখানেই কি শেষ, না বিজ্ঞান এখানেই থেমে থাকবে। নাকি উন্নয়ন হতে হতে একসময় তার ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেড়ে যাবে যা মানবজাতি তথা এই পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের বিলুপ্তি না করে ফেলে। কারণ মানুষ বা প্রকৃতিতে সৃষ্টিকর্তা একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সহ্যশক্তি/সহনশীলতার মাঝে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। যদিও তা এমনভাবে বিন্যাস্ত করা যে যে কোন প্রতিকূলতাকেই আমরা/প্রকৃতি জয় করতে /মানিয়ে নিতে/ অতিক্রম করতে পারি। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরে হয়ত সে মাত্রা সহ্যসীমার বাইরে চলে যাবে। তখন কি হবে আমাদের? আর তাছাড়া সকলের সহ্যশক্তি/মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও তো এক নয়। যার ফলে আমরা নিত্য নতুন সব রোগ-ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছি, বা পরিবেশের অনেক পরিবর্তন লক্ষ করছি।
ছবি: গুগল থেকে: ৫জি নেটওয়ার্ক তরঙ্গের প্রভাবে পাতাগুলোর এমন অবস্থা।
আমার মনে হয়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো ব্যবহারের একটা লিমিট রাখা উচিত। অথবা প্রতিটি গ্যাজেট ব্যবহারের পূর্বেই তার সকল প্রকার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে তা মানুষ অথবা পরিবেশের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়। অথবা এসকল প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করার পূর্বে তার ক্ষতিকর বিষয়গুলো আটকানো / ফিল্টারিং করার মত নতুন কোন পদ্ধতিও আবিষ্কার করে তার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। নইলে অদূর ভবিষ্যতে না অনেক বড় ক্ষতি/অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে না পড়ে।
এ বিষয়ে সকলের সর্বাত্মক মন্তব্য প্রত্যাশা করছি, আর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের যারা এ সকল প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা/বিপণনকারী। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১