একদিন আমাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না,
ফোন ভেসে যাবে অজস্র কলে –
নানা রকম আলোচনা হবে-
“ছেলেটা বোধহয় মাদকাসক্ত ছিল –
গাঁজাটাজা খেত বোধহয়!”
“হুমম, কথাবার্তাও কেমন যেন এলোমেলো ঠেকতো
বুঝতাম না সবসময়।”
তাহলে?
তাহলে কি সে কবি ছিল?
নিদ্রাহীন চোখে যে স্বপ্ন ছড়াতো চারপাশে?
এসব ফালতু গসিপ পাশ কাটিয়ে
আমি তখন চাঁদের পাহাড়ে হামাগুড়ি দিয়ে
গায়ে মাখাবো রুপালী ধুলো।
আমার পরম সৌভাগ্য
চাঁদে এখনও তোমাদের নেটওয়ার্ক পৌঁছায়নি।
সেক্ষেত্রে ঝর্নার পাশে আমাকে একাই পা ভেজাতে হবে
এছাড়া আর উপায় কি!
ওখানে আপন করে কাউকে আমি নিয়ে যেতে পারিনি
এ ব্যর্থতা তো আমারই! (তাই না?)
হয়তো মন থেকে চাইনি বলেই
গভীর রাতে নীল সমুদ্রে যখন জ্যোৎস্না নামে
তখন আমি একাই মাঝ দরিয়ায় নৌকাডুবির খবর পাই
একা একা বহুদিন সেই অসহ্য হাহাকার
বুকে ধারণ করে করে আমি বদলে গেছি।
তোমাদের চেনা গলিতে তাই আমাকে
আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সুখের যে সাগরে আমি বাঁধ দিয়েছিলাম প্রাণপণ চেষ্টায়-
সেই বাঁধের গোঁড়ায় বোমা বেঁধে আমি আজ পালিয়ে এসেছি,
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাই
ওখানে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমার অন্যান্য কবিতাঃ
১) ঘুণপ্রলাপ
২) আমার আজ আর ফেরা হবে না
৩) মুর্খের আত্মপোলব্ধি
৪)মরীচিকায় কানামাছি
৫)ঈশ্বরের কাছে এক দিনের জন্য মৃত্যু দাবী করেছিল তরুণ এক কবি
৬) প্রায় অজানা সুদূর অতীতে
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫