এ্যাই! তুমি কি মৃত্তিকা'র কোলে নির্ভয়ে সবুজ স্বপ্নের আবাদ করতে পারোনা?
পারোনা কি তুমি তার চোখের গভীরে প্রশান্তির নদী খুঁজে নিতে? কেন শীতল হওনা তুমি সুখের নোনাজলে? “চন্দ্ররাত”-- কত চন্দ্ররাত কেটে গেছে তন্দ্রাহীন- স্পর্শহীন- নির্বাক!
বুকের উষ্ণতায় গলেনি এতটুকুও বরফের পাহাড়!
“তুমি গোঁয়ার, বড্ড গোঁয়ার” জেনো হে পুরুষ!
চোখের কাজল ধুয়ে যায় তোমার অবহেলার বৃষ্টিতে
মুহ্যমান হয়ে পড়ে এই মৃত্তিকা তোমার রূঢ় দৃষ্টিতে; অহৃদ্য আঁচড়ে তবুও অভিষেক করি সোনেলা রোদ্দুর! হুলিয়া জারি করতে চাও? করো তবে---
আত্মমুগ্ধ অহংকারে বেশ সংক্রামিত হও---জীবাণু ছড়িয়ে দাও মৃত্তিকার নরোমে!
তুমি গোঁয়ার, বড্ড গোঁয়ার” জেনো হে পুরুষ!
নির্মল মৃত্যুর ছায়া ঘন হয়ে আসে
শাল-পিয়ালে'র বনে ভাসে পাতাদের ফিসফাস; ডানা ভাঙ্গা গাংচিল স্বরলিপি তোলে হলুদ নদীটি'র পাড়ে! কাশফুলের পাপড়িগুলো খসে খসে পড়ে বিষাদে! হেলেঞ্চা'র ঝোপে জোনাক মেলা বসেছে। “আজ চন্দ্ররাত”
কুয়াশার চাদর জড়িয়ে একটু ওম খুঁজছিলাম—নরোমওম।
কিন্তু তুমি নিরুত্তাপ; তুমি বড্ড গোঁয়ার, জেনো হে পুরুষ!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২