বেশ আরামের একটি ঘর ছিল তার। চারপাশে নির্ভরতার দেয়াল, ওমওম উষ্ণতা আর নরোম আবেশ সারা শরীর জুড়ে। দিন কিংবা রাত নিয়ে ভাবতে হতো না, খাবার দাবার, ঘুমের সময় নিয়েও ভাবতে হতো না। শীত, গ্রীস্ম, রোদ, বৃষ্টি, এসব নিয়েও ভাবনা চিন্তারও কোন বালাই ছিল না। পাখির পালকের মতো হালকা সময়কে জড়িয়ে জড়িয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তার।
এতো আরামের মাঝেও একটা কিছুর অভাব টের পেয়ে গেলো সে। কেউ যেনো ফিসফিসিয়ে বাইরের আলোর কথা জানিয়ে দিল তাকে। আর তাতেই নিশ্চয়তা আর নির্ভরতার সোহাগ, নরোম দেয়াল দেয়াল ভেঙ্গে আলোময় চারপাশে চোখ মেলে তাকানোর প্রত্যাশায় অস্থির হয়ে উঠলো সে। আলো চাই, আলো চাই বলে সর্বশক্তিতে নিজেকে মুক্ত করতে ব্যাকুল হয়ে উঠলো।
তার এ চেষ্টা বিফল হলো না। তাই নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু আগেই নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো আনিকা পুরবী। পৃথিবীর আলো, বাতাস আর উল্লাসে তার প্রথম শ্বাসটি নিল। সেটি ছিল পাঁচই জানুয়ারী, দুহাজার নয় সালের একটি শীতার্ত রাত। কিন্তু সে রাত শীতার্ত হলেও পুরবীর রাগের মূর্চ্ছনায় আরো বেশী নিবিড় হলো আকাশ আর মাটি।
আমরা, যারা ওর চারপাশে প্রতিনিয়ত, কিছুটা দেরীতে হলেও খবরটি জানালাম আপনাদেরকে। আসুন সবাই মিলে পূরবী আর তার মা শুভ ও বাবা ব্লগার পুতুলকে অভিনন্দন জানাই।
(অফিসে বসে লিখলাম। তাই পুরবীর ছবিটি হাতের কাছে নেই। তবে তাড়াতাড়িই সংযুক্ত করবো বলে কথা দিচ্ছি)