আমাদের সবার প্রিয় লেখক ও শিক্ষক জাফর ইকবাল। তিনি মাঝে মাঝে কলম ধরেন। আজও পত্রিকা (১ম আলু অনলাইন) পড়লাম উনি ডিজিটাল পদ্ধতিতে গলদের কারণে কিছু আইলস্যার ধাড়ি বিসিএস দিতে পারছে না। এই সব আইলস্যার ধাড়িদের প্রতি আমার কোন সমবেদনা নেই কিন্তু কেউ সমব্যথী হলে তার প্রতি বিরাগও নেই।
কিন্তু এরপরে জাফর সাহেব চলে গেলেন বিসিএস এর প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে বয়ান দিতে। তিনি সেখানে সঠিকভাবেই বললেন যে, এই প্রশ্নে মেধার বিচার হয় না , অতি সত্য কথা। সৃজনশীল পদ্ধতির কথা তুললেন,খুবই ভালো কথা। তাহলে নাকি সরকারী চাকুরীতে যোগ্য লোকেরা আসতে পারবে।


ভদ্রলোক চুপ মেরে গেলেন বিসিএস এর ৫৫% কোটা নিয়ে ।পাঠক , কোটা কিভাবে ৫৫% হয় তা আমার মাথায় ঢোকে না। উপজাতিরা বাঙ্গালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবে না তাদের জন্য কোটা মেনে নিলাম। দেশের অর্ধেকই মেয়ে, তারা অনেক সংগ্রাম করে বিদ্যার্জন করে ;তাই তাদের জন্য কোটাও মেনেই নিলাম। দেশে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক প্রতিবন্ধী আছেন অনেক তাদের জন্য কোটাও তাদের সংখ্যার চেয়ে বেশী না। দেশে প্রায় ৫ লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধ করে ৭ কোটির মধ্যে। অর্থাৎ অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১% এর কম। তাদের জন্য ৩০ % কোটা ছিল ;এটাও মেনে নিতেই হবে কারণ তারা দেশ স্বাধীন করে এনেছেন।তাহলে এখন তাদের সন্তান-সন্ততিও মোট জনসংখ্যার১-২% এর বেশী হবে না । কি বলেন??
তাদের জন্য ৩০% কোটা দিলে সরকারী চাকুরীতে কি মেধার প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে?? সরকারী চাকুরী কি অযোগ্যদের পুনর্বাসনের স্থান?? প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান দেয়া হোক।
আর জাফর সাহেবের রাজনৈতিক মতবাদ আমাদের অজানা নয়। তার দেশপ্রেম মৌসুমি বাতাসের মত সব সিজনে কাজ করে না। তাইতো দেখা যায় কখনো তেল-গ্যাস নিয়ে তার ভালবাসা উপচে পড়ে আবার কখনো তাকে ঠিকমত খুঁজেই পাওয়া যায় না।

সামুতে এখন মাইনাস নাই।সুতরাং জাফর ভক্তরা যা বলার কমেন্ট বলে যান।