সামুর এক ব্লগারের একটি ফান পোষ্ট পড়তে গিয়ে এবং ফেসবুকের একটি জরিপ দেখে এই লেখাটি লিখতে উদ্ভুদ্ব হওয়া। যদিও সমস্ত লেখাটি দ্বিতীয়বার লিখতে হয়েছে আমাকে, প্রথমবার সমস্ত লেখাটি লিখে পোষ্ট করার পর দেখি সামু গিলে ফেলেছে। তাই দ্বিতীয়বার লিখতে গিয়ে অনেক কিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে। কোন তথ্য ভুল থাকলে দয়াকরে সাহায্য করবেন সংশোধন করার জন্য। লেখাটি স্বৈরস্বাশক এরশাদেকে নিয়ে হলেও আমি আমার অবস্থানটি আশা করি পরিষ্কার করতে পেরেছি।
--------------------------------------------------------------------
এরশাদের অপরাধ তিনি স্বৈরশাসক, কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের নেত্রী হাসিনা খালেদাকি আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়েছে? নাকি গনতন্ত্রের নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে পাচঁ বছর করে পালাক্রমে গণতন্ত্র ও জনগনকে ধর্ষন করছে? আমরা কি সত্যিই মুক্ত? গণতান্ত্রিক সরকার কি জনগনের কল্যানে নাকি রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কল্যানে?
এরশাদও দূর্নীতি করেছে, আর গণতান্ত্রিক সরকার? আমার মতে দুই মহিলার কাছে এরশাদ এখানে নস্সি। আসলে ক্ষমতায় এই জায়গাটিতে কেউ লোভ সামলাতে পারেনা।
কিন্তু এরশাদ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো ভুলে যাবেন? সমস্ত দেশের অবকাঠামোটা এরশাদ তৈরী করে না গেলে সত্যিই আমরা কি আরও বেশি এগিয়ে যেতাম? গনতান্ত্রিক সরকার কি আমাদের দেশ কে এগিয়ে নিচ্ছে নাকি আমরা পিছিয়ে পরছি!
নিন্মে ২০ বছর আগের উন্নয়নের ছোট্ট একটা লিষ্ট দিলাম যে গুলোর মধ্যে কয়েকটি অবদান স্বৈরশাষক শহীদ জিয়ার এবং বেশির ভাগই স্বৈরশাষক এরশাদের যা এখনো আমরা ভোগ করছি
*সারাদেশে খাল খনন কর্মসূচি
*প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ কপ্লেক্স
*প্রতিটি উপজেলায় বিচার ব্যাবস্থার জন্য আদালত স্থাপন
*প্রতিটি উপজেলায় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
*প্রতিটি উপজেলায় কলেজ স্থাপন
* ঢাকা সহ ছোট বড় প্রায় শহরে শহর রক্ষা বাধ নির্মান
*ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে
*প্রতিটি জেলা শহর থেকে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত নতুন রাস্তা র্নিমান (ইটের সলিং)
*প্রতিটি ইউনিয়নে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র (আমাদের গ্রাম সহ আশে পাশের গ্রাম গুলোতে ছিল)
*প্রতিটি উপজেলায় এবং ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিষদ (আমাদের গ্রামে প্রায়ই দেখতাম মা বোনদের কে পরামর্শ দিতে আসত)
*আনসার বিডিপি (গ্রাম্য সরকার পরিচালনার জন্য)
*প্রতিটি উপজেলায় খাদ্য গুদাম স্থাপন
*প্রতিটি উপজেলায় ভূমি অফিস
*উপজেলা পরিষদ নির্মাণ
*ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ
*সার এবং বীজ বিতরন
*অনেক তথ্য ঘাটা ঘাটি করে দেখলাম যমুনা সেতুটি এরশাদের প্রচেষ্টর ফসল
*ঢাকা ক্যান্টেনম্যান্ট এর ভিতর দিয়ে সৈনিক ক্লাব হতে মিরপুর-১০ পর্যন্ত সড়কটি এরশাদের একান্ত প্রচেষ্টার। (গত নির্বাচনের সময় টক-শোতে এরশাদের নিজের মুখে শুনেছি)
*বিভিন্ন নদীর উপর বেইলী ব্রিজ স্থাপন
*গরীব ও দূস্থদের মাঝে দুম্বার মাংস বিতরন
*বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য বিতরন
অনেক কিছুই আছে মনে নেই আর এত সব ফর্দের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা। কারন এরশাদের আমলের রাজনৈতিক ব্যাক্তি নয়, সাধারন জনগন তার উন্নয়ন অস্বীকার করবেনা।
আসুন এবার দেখি উপরোক্ত উন্নয়ন গুলার কি হাল অবস্থা-
*নতুন করে খাল খনন থাক দূরের কথা এরশাদের আমলের খননকৃত খাল গুলোকেই রক্ষা করা হয়নি, যার জন্য সেচ বিদ্যুতের উপর নির্বরশীল এবং বন্যা সমস্যা দিন দিন বারছেই।
* উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকলেইত রোগী যাবে, তাছারা কমপ্লেক্স গুলার আবস্থাও জরাঝির্ণ। আর গনতান্ত্রিক সরকার যদি বলে ইউনিয়নে ইউনিয়নে কমিনিউটি ক্লিনিক করা হয়েছে। তাহলে আমি বলব সারেজমিনে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেখে আসেন কি হাল অবস্থা। আর যদি কেউ দাবি করেন দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা অনেক উন্নত তবে আমি বলব মন্ত্রী এমপিরা বা রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা দেশে এত উন্নত ব্যাবস্থা থাকতে কেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান? আপনাদেরই যদি দেশের চিকিৎসার প্রতি আস্থা না থাকে তবে জনগন কিভাবে আস্থা রাখবে! কোথায় আজ পর্যন্ত কোন এমপি মন্ত্রী বা রাজনীতিবিদকে দেখিনি বলতে যে আমার দেশের জনগনের জন্য যে চিকিৎসা ব্যাবস্থা আছে আমি তাই নিব প্রয়োজনে মরে যাব!
*বিচার ব্যাবস্থার কথা কি বলব- এই জায়গাটিতে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষেরা সবচে বেশী ভূক্তভোগী, উপজেলা পর্যয়ে বিচার ব্যাবস্থা না থাকায় কেউ মামলা করা বা হাজিরা দেওয়া থেকে শুরু করে বিচারীক সব কিছুর জন্য জেলা শহরে দৌড়াতে হয়। যার জন্য বিচার প্রর্থিরা প্রতিনিয়ত নিরুৎসাহিত হয়। আর এত কষ্ট করে জেলা পর্যায়ে গিয়েও দূর্বল বিচার ব্যাবস্থার জন্য ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, বরং বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে তাদেরকে ভিটে মাটি বিক্রির ব্যাবস্থা করা হয়।
* শিক্ষা খাতে গনতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন স্বীকার করতেই হবে, তবে সেটা বিগত ২০বছরে নয়, কেবল মাত্র গত ১০বছরে।
*এরশাদের আমলের শহর রক্ষাবাধ গুলো রক্ষনা বেক্ষনের নামে চলে লোটপাট, বালির বস্তা আর নিন্মমানের সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ব্লক যেন পানিতে অতি সহজেই ভেসে যেতে পারে সেটাই যেন পরিকল্পনা করা হয়।
*ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে ৪ লেনের ধোয়া ২০বছর ধরেই শুনে আসছি বাস্তবে বহুদূর।
* বিগত ২০বছরে নতুন রাস্তা উল্লেখিত হারে হয়নি অন্তত এরশাদের আমলের ৯বছরে যা করা হয়েছে বিগত ২০ বছরে এর ধারে কাছেও যেতে পারেনি গনতান্ত্রিক সরকার বরং রাস্তা গুলো দখল হয়েছে বেশী। বরং গনতান্ত্রিক সরকারের সময় খানা খন্ধে ভরা রাস্তা ঘাটে মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুকে গরু ছাগলের সাথে তুলনা করে করা হয় উপহাস।
*বয়স্করা লেখা পড়া করার দরকার নাই কয়দিন পরেই মরে যাবে তাই এই কার্যক্রম বিলুপ্ত।
*পরিবার পরিকল্পপনা (ফ্যামিলি প্যানিং) কর্যক্রমটি অবস্থা হিসাবে আছে গোয়ালে নেই, পরিকল্পনার কি দরকার সাবাই এনজয় কর যে যত পার আন্ডা বাচ্চা পয়দা কর প্রয়েজনে খেলার টিম বানাও। গনতান্ত্রিক সরকারের একজন মন্ত্রিত বলেছেন যত বেশী সন্তান ততবেশী দেশের জন্য ভাল, বিশেষ করে নবম সন্তানরা বেশী মেধাবী হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ছিলেন বাবা মায়ের নবম সন্তান আমাদের মন্ত্রীও তাই, তাহলে যেহেতু এটা পরিক্ষিত সবাই মিলে ৯টা সন্তান পয়দা কর বাংলার মটিতে মেধাবী সন্তান যতক্ষন পর্যন্ত পয়দা না হইব চেষ্ট্যা চালাইয়া যাও। আর আদমসূমারীর সময় জনসংখ্যা কিভাবে কম দেখাতে হয় তা গনতান্ত্রিক সরকারে ভালভাবেই জানা আছে
* ছাত্রদল যুবদল, যাত্রলীগ যুবলীগ থাকতে আনসার বিডিপির কি দরকার।
* খাদ্যই নাই গুদাম দিয়ে কি হবে ( আমার এলাকায় এখন খাদ্য গুদামকে বিগত দুইটি গনতান্ত্রিক সরকার কমিউনিটি সেন্টার বানিয়েছে) অবশ্য রাজনৈতিক ব্যাবসায়ীদের গুদাম ঠিকিই আছে।
*বর্তমানে ভূমি অফিস আছে খাস ভূমি খাওয়ার জন্য। আর দুপক্ষ থেকে ঘুষ খেয়ে দুপক্ষকেই হয়রানি করার জন্য।
*উপজেলা পরিষদের বর্তমান কার্জক্রম না থাকার করনেই মনুষ শহর মুখি হওয়ার একটি কারন।
*ইউনিয়ন পরিষদ এখন ডিজিটাল, লেপটপ ওয়েবকেমও দেয়া হয়েছে তবে মেম্বার চেয়ারম্যানদের সন্তানেরা বাসায় ব্যাবহারের জন্য।
* সার বীজ নিয়ে এরশাদের আমলে সমস্যা দেখিনি বরং খালেদার আমলে সারের দাবীতে কৃষককে গুলি করে মারতে শুনেছি।
*যমুনা সেতুটি এখন বঙ্গবন্ধুর, আর গনতান্ত্রিক সরকারের পদ্মা সেতু প্রকল্প শুরুর আগেই লুটপাট করে খালস, সম্ভবত পদ্মা সেতুটি আতুর ঘরে চলে যাচ্ছে।
*বিগত ২০বছরে সরকারদলীয় ২ জন এমপি এবং একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রী থাকার পরও আমার এলাকার নদীটির উপর এখনো এরশাদের ফেলে যাওয়া লোহার কংকালটি পরে আছে। ভাগ্যিস এরশাদ দিয়ে ছিল অন্যথায় দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ হয়েও নৌকাতে করে নদী পার হতে হত।
*দুম্বার মাংস নিয়ে কথাটি হয়ত অনেকেই হাস্যকর মনে করবেন। হয়ত অনেকেই বলবেন এরশাদের উন্নয়ন খুজে পাইনা তাই দুম্বার মাংসের প্রসঙ্গ টেনে আনছি। এখনও প্রতি বছর হজ্বের পর দুম্বার মাংস আসে কিন্তু গনতান্ত্রিক সরকারের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই ভোগ করেন।
*বন্যার্তদের জন্য এখনো খাদ্য বরাদ্ধ হয় কিন্তু বরাদ্ধকৃত খাদ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তি এবং মন্ত্রি এমপিদের বাসায় বিতরন হয়, আর জনগনকে পরামর্শ দেয়া হয় কম খেতে। সিডরের পর সবচেয়ে বেশী অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো এখনো বাধের উপর ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হয়।
এরশাদ তিনটা কেন ত্রিশটা বিয়ে করলেও আমার কিছু যায় আসেনা। শরীয়ত মুতাবেক করছে এটাও আমি বলবনা। আমি বলব প্রত্যেকটা মানুষের ব্যাক্তিগত কিছু বিষয় থাকে। আমি মনে করিনা এ ব্যাপারে নাক গলানোর কিছু আছে।
এরশাদের আমলে বাংলাদেশ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ হওয়া সত্বেও মালায়েশিয়া, থাইল্যান্ড সহ তখনকার বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়নের পার্থক্যটা কতটুকু ছিল আর এখন কতটুকু? আমি মনে করিনা এতটা পার্থক্য থাকার কারন আছে। কারন একটাই তার আমলের উন্নয়ন গুলোকে পরবর্তী সরকার গুলো ধরে রাখেনি। অবশ্য বিগত দুটি গনতান্ত্রিক সরকারই একজন আরেক জনের কাজ পরবর্তিতে পরিচালনা করাকে হারাম মনে করে। অর্থ জনগনের তাই জলে গেলেই কি! নতুন করে বিশ্বব্যাংক ঋৃণ দিবে, প্রয়োজনে আগের সরকারে অর্ধনির্মিত ব্রিজের পাশে নতুন করে আরেকটি ব্রিজ উদ্ভোদন হবে, প্রয়োজনে যেখানে রাস্তা নেই সেখানে ব্রিজ হবে। আর আমার অনাগত সন্তানটি ঋৃণের বোঝা মাথায় নিয়েই জন্ম নিবে।
স্বৈরশাষক এরশাদের আমলের উন্নয়ন সরাসরি জনগণ ভোগ করত, আর গনতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ভোগ করে।
এরশাদের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বাক স্বাধনীতা হরন করা হয়েছিল, আরগনতান্ত্রিক সরকারের আমলে জনগনের বাক স্বাধীনতা হরন করা হয়।
এরশাদের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হরানি করা হত আর গনতান্ত্রিক সরকারের সময় জনগনকে হয়রানি করা হয়।
স্বৈরসরকারের আমলে শুধ্র রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিরাপত্তায় ভোগে আর গনতান্ত্রিক সরকারের সময় সমস্ত জনগন নিরাপত্তায় ভোগে।
গনতান্ত্রিক সরকারের আমলেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সেগুলো কার জন্য? কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি আর কিছু আমলাদের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য, আর সেটা জনগন দেখেও প্রতিবাদ করতে পারছেনা।
কেউ যদি বলেন এরশাদ সংবিধান কে কলঙ্কিত করেছে, তবে আমি বলব সংবিধানের প্রতিটি পাতা উল্টিয়ে দেখেন গনতান্ত্রিক সরকার কি করেছে এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
গনতান্ত্রিক সরকারে আমলে ঢাকা শহরে গাড়ীওয়ালাদের জন্য অনেক ফ্লাইওভার হয়, কিন্তু সাধারন জনগনের জন্য পাবলিক বাস দেয়া হয়না। বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করতে কয়েকশ কোটি টাকা নষ্ট করা হয়, অথচ এই টাকা দিয়ে কত হাজার পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ন করা যায় তা ভাবা হয়না। বিদ্যুৎতের জন্য খাম্বা তৈরী করা হয় কিন্তু বিদ্যুৎত উৎপাদন করা হয়না। সরকার রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বাহিরে সাধারন জনগনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা না করলেও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান করার লক্ষে কল কারখানা তৈরী করলেও সেখানে বিদ্যুত গ্যাস না দিয়ে সেই সাধের কল কারখানাকে বানানো হয় মালিকদের গলার ফাসঁ। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই চায়নিজ গ্যারান্টেড অথবা নো গ্যারান্টেড রাস্তাঘাট মেরামত আর মেরামতের নামে লোটপাট আর স্বৈরসরকারের রাস্তাঘাট মানে যতটুকুই করবে কমপক্ষে ১০ বছরের গ্যারান্টেড।
গনতান্ত্রিক সরকার আমলে দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতি থাকলেও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সমস্যা হয়না কারন তাদের পকেট তখন ভারি থাকে। গনতান্ত্রিক সরকার আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিরাপত্তার কোন অভাব হয়না, তাদের দলীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সাথে রাখে। আর তাদের দলীয় কোপা বাহিনিতো থাকেই। কিন্তু জনগন দিনরাত ২৪ ঘন্টা বাহিরে থাক দূরের কথা নিজের ঘরেই নিরাপত্তায় ভোগে। বিশেষ করে সাধারন ব্যাবসায়ীরা গনতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যটা বেশী উপলব্ধি করতে পারেন।
গনতান্ত্রিক সরকার মানেই জনগনের বাক শক্তি হরন করা। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই যুব সমাজকে নোংরা রাজনীতি শিখানো। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই স্বংস্কৃতির নামে টিভি টক-শোতে নির্লজ্জ চাপাবাজি। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই আমার বোনকে জোড় করে ধর্ষন করা, গনতান্ত্রিক সরকার মানেই আমার বাবাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই আমার ভাইকে ক্যাম্পাসে ফেলে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই আত্মস্বীকৃত খুনিকে ক্ষমা করে দিয়ে খুন কে বইধতা দেয়া। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই জনগনকে শেয়ার মার্কেটে দাওয়াত দিয়ে এনে নিঃশ্ব করা, শেয়ার কারসাজীদের লালন করে অসহায় বিনিয়োগকারীদের জেলে ভরা। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই প্রবাসী ভাইয়ের রেমিটেন্স খেয়ে সাহায্য না করে হয়রানি করা, আর আমার বাবা মা দেশে বসে প্রবাসী ভাইয়ের চিৎকার শোনা। গনতান্ত্রিক সরকার মানেই আমার কিশোর বয়সের আদর্শ জাতীয় নেতাদের নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে ব্যাবহার করা।
গনতন্ত্রের নামে জনগনকে শিকল পরিয়ে রাখাকে গনতন্ত্র বলেনা।
গনতান্ত্রিক সরকার জনগনের টাকা দিয়ে শুধু কারোর বাপ আর স্বামীর স্বপ্ন পূরন করে। গনতান্ত্রিক সরকার জনগনের টাকা দিয়ে সাত কোটি যুবসমাজের স্বপ্ন পুরন করেনা। স্বৈরস্বাশক আসেনা তাই আমার বাবার স্বপ্ন পূরন হয়না।
গনতন্ত্রে যে দলই সরকারে আসুক সরকারী দল ভাবে আমারা পাঁচ বছর আছি বিগত পাচঁ বছরের এবং আগামী পাচঁ বছরের খোরাক এবং নিবাচর্নী খরচ জনগনের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আদায় করে নিতে হবে, শুধু নির্বাচনের আগের একবছর সবকিছু ঘষে মেজে ঝকঝকা তকতকা করে জনগনের চোখে টিনের চশমা পরিয়ে পরিবর্তন আর ডিজিটালের ধোয়া দিতে পারলেই আবার ক্ষমতায় আসার রাস্তা পাঁকা। আর যে দলই বিরোদী দলে থাকুক নিজেদের ছেলে সন্তান বাড়ী, নিজেদের নেতাদের মুক্তি এবং নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি ছাড়া জনগনের মুক্তির জন্য, দ্রব্যমূল্যের জন্য, সন্ত্রাসীর জন্য, শেয়ার মার্কেটের জন্য এবং জনগনের বিভিন্ন ন্যয্য দাবীর জন্য আন্দোলন করেনা। বিরোধী দলে যারাই থাকুক তারা নিশ্চিন্তেই থাকে সরকারদলের ব্যার্থতার দোহাই দিয়ে দেশ বাচঁও মানুষ বাচাঁও করে এবং এ ব্যার্থতার জন্য আগামী নির্বাচনে তাদেরকে জনগন নির্বাচিত করবেই এ ছাড়া জনগনেরও উপায় নেই।
আমি বাজি ধরে বলতে পারি স্বাধীনতার পর ৪০ বছরে গনতান্ত্রিক সরকারের কোন শাষক কোন স্বৈরস্বাশক থেকে বেশি জনপ্রিয় নয়, এটা কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি হয়ত স্বীকার করবেন না, কিন্তু ভোট বলেন আর জরিপ বলেন যা কিছু করে দেখতে পারেন।
এত দূরে এরশাদের আমলে যাওয়ার দরকার নেই। গত আড়াই বছরের স্বৈরশাষকের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো দেখেন। হাতিরঝিল প্রকল্পে উপড় দিয়ে বর্তমানে কাজ চলতে থাকা নতুন সড়কটি কিংবা র্যান্গজ ভবন ভেঙ্গে বিজয় সরণী তেজঁগা সড়কটি, পুরাতন বিমান বন্দরের পাশ দিয়ে আগারগাঁ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পর্যন্ত নতুন সড়কটি। তারপর গনতান্ত্রিক সরকার সাড়ে তিন বছরে কি করল? হ্যাং করেঙ্গা ত্যাঙ্গ করেনঙ্গা উল্টায়েঙ্গা। বিশ্বকাপের সময় মিরপুর পল্টন সহ সব ভেনুর আশে পাশের এলাকার রাস্তা ঘাট ঠিক করার জন্য কেন সেনাবাহিনিকে দিয়ে করাতে হল? গনতন্ত্র সরকারের না বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান আছে! অবশ্য পরোক্ষভাবে ব্যার্থতা স্বীকার করে সেনা বাহিনিকে দিয়ে তরিৎ কাজ করাতে সরকারের শুভবুদ্ধি একটু খানি উকি দিয়েছিল বলেই বিশ্বকাপ হয়েছে। আর যে সব ফ্লাইওভার হচ্ছে এগুলা কখনই ঢাকাবাসির মঙ্গল বয়ে আনবেনা বরং একদিন এ ফ্লাইওভার গলার ফাঁস হবে। উন্নত বিশ্বে প্রাইভেট কার চালানুকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বেশী করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যাবহার করে এবং প্রাইভেট কার রাস্তায় নামলেই উচ্চ হারে টেক্স দিতে হয়, সে দেশে কি এমপি মন্ত্রীদের ছেলে সন্তান রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের ছেলে সন্তান থাকেনা। বর্তমান বিশ্বে ডেনমার্ক এক সময় জানজট সমস্যায় ভোগত কিন্তু এখন বিশ্বের পরিচ্ছন্ন দেশের মধ্যে একটি এ রকম উদাহরন বিশ্বের অনেক শহর আছে। ফ্লাইওভার কখনই সাধারন জনগনের কল্যান বয়ে আনবেনা। অবশ্য গনতান্ত্রিক সরকার এ ধরনের প্রকল্পে লুটপাট করে যে ধরনের ফ্লাইওভার নির্মান করছে ১০০বছরের গ্যারান্টি থাকলেও এখনি গাড়িচলাচল সংরক্ষিত করা হয়েছে, তাহলে এগুলো কি অষ্টম আশ্চর্য করার জন্য?
জনগন অন্ন চায় নিরাপত্তা চায় চিকিৎসা চায় এই মৌলিক চাহিদার বাহিরে জনগনের চাহিদা খুব সামান্যই। আমার এই নূন্যতম চাহিদা যদি গনতন্ত্র দিতে না পারে তবে শুধু মানচিত্র নয় অমি গণতন্ত্রকেও খাব।
একটি প্রচলিত গল্প আছে-
এক ক্ষুধার্ত মহিলা রাতের বেলায় ক্ষুধার তারনায় অনেক মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বাঁচার জন্য খাবার চাইল কিন্তু কেউ তাকে খাবার দিলনা। পরিশেষে এক ভদ্রলোক তাকে খাবার দিতে রাজি হলেন। তবে তার সাথে একরাত থাকতে হবে শর্তে। মহিলটি রাজি হলেন। আমার মতে এই স্বার্র্থসীদ্ধ ভদ্রলোক অন্য সব মানুষের তুলনায় থেকে এখানেই আলাদা যে তিনি মহিলাটিকে ভোগ করে হলেও মহিলাটির বাচাঁর আশা পূরন করেছিলেন।
তাই আমি চাইনা গনতান্ত্রিক সরকার পেটে একবেলা ভাত না দিয়ে আমাকে আর একবার ধর্ষন করুক, প্রয়োজনে আমি চাই স্বৈরশাষক একবেলা পেটে ভাত দিয়ে আমাকে তিন বেলা ধর্ষন করুক।
স্বৈরশাষকের আমলে ধর্ষন করা হয়েছিল রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আর এখন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের দ্গারা ধর্ষিত হয় জনগন।
হায়! নূর হোসেন কি প্রতারনাটাইনা তোমার সাথে করা হয়েছে!
তোমাকে স্বৈরশাষক হত্যা করেনি
তোমাকে গনতন্ত্রের নামে ক্ষমতা লোভীরা ফাদেঁ ফেলে হত্যা করেছে।
তুমি আমাদের মতই বোকা তুমি গনতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছ
আর আমরা গনতান্ত্রিক শোষকদে দ্বারা শোষিত হয়েও গর্বিত
তোমাকে ব্যাবহার করা হয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার শিড়ি হিসাবে।
তোমার মৃত্যু মিথ্যা, তোমার গণতন্ত্র মিথ্যা
তোমার গণতন্ত্র জনগনকে মুক্তি দেয়নি
তোমাকে কবর থেকে তুলে তোমার বোকটা আরেকবার গুলি করে ঝাঝড়া করে দেয়া হউক।
ফেসবুকের জরিপ
ফান পোষ্টটি
ব্লগে প্রকাশিত আমার লেখা- মূল পোষ্টের লিংক অথবা লেখকের নাম উল্লেখ পূর্বক শেয়ার কার যাবে।