ছবিটি সামু শহরের একটি সত্য কাহিনী নিয়ে নির্মিত।
জাহাজি পোলার এ্যাকশন আর যৈবনদার নাচানাচি, আসিফ মুভি পাগলার সুপার ডুপার হিট ছবি।
ছবির শুরুতেই দেখা গেল প্রিন্স (নাভানর ছিভিল ইঞ্জিন) মাইনাচের বাসার নিচে দাড়াইয়া মাইনাচের লগে টাংকি মারার চেষ্টা করছে। একবার শিষ বাজায়, আবার মাইসেরে জিগায় ভাই কেডা কেডা বিয়া করছে কইবার পারেন... এই সময় মাইনাচ সেখানে এসে হাজির। জিগাইলো ... ওই ব্যটা? কেডা তুই? চেঙ্গিস খানের ফিগার লইয়া আমার লগে টাংকি মারছ? ইভটিজিং এর মামলায় ফাসাইয়া দিমু কইলাম....
এই কথা শুইনাও প্রিন্স তেড়ামি করতে লাগল। মাইনাচ আবার খুব্ই প্রতিবাদী মেয়ে। কোথাও কোন অন্যায় - অত্যাচার হলে সে ঝপাইয়া পড়ে জুতা (মাইনাচ) দেয়। এবারো তার ব্যাত্যয় হইলনা। পায়ের থিকা স্যান্ডেল খুইলা দাবড়ান দিল। প্রিন্স এই দেইখা দৌড়াইয়া পালায়া গেল। ঠিক এই সময় ছবির নায়ক পিলাচ হাজির। এই দৃশ্য দেইখা সে মাইনাচের সাহসের তারিফ করতে লাগল। এইখানে বলে রাখা ভাল পিলাচ যে কোন ভাল কাজে যাপাইয়া পড়ে। সে যে কোন ভাল কাজের প্রশংসা করতে পিছপা হয়না।
পিলাচের প্রশংসা শুনে মাইনাচের চেহারা টমেটোর মত লাল হইয়া গেল। পিলাচ তখন কইল... তুমার এমুন প্রতিবাদী রুপ আমার খুবই বালা লাগে। মাইনাচ ও কইল... তুমি যেইভাবে বালা কামে লাইগা থাকো সেটাও আমার বালা লাগে.....
এই কতা শুইনা পিলাচ কইল তাইলে চল আমরা একলগে জীবনের পথ চলা শুরু করি। আমি ভাল কাজ করব, আর তুমি খারাপ কাজের প্রতিবাদ করবা। এ কতাই মাইনাচ আরো লাল হইয়া গেল। পিলাচ মাইনাচের হাত ধরল। এর পরের দৃশ্য গান।
মাইনাশলো
তোর কি সন্দর চেহারা
তুই আমারে পিরত না দিলে
কাইমু পিয়ারা
এইদিকে প্রিন্স দাবড়ান খাইয়া ছাগু সওদাগরের বাড়িতে গিয়া হাজির। ছাগু সওদাগর প্রিন্স কে দেইখা খাড়াইয়া গেল। কি হইছে বাজান? কিডা তুমারে এমন দাবড়ান দিল? আমি তার সানডে মানডে কুলুজ কইরা দিমু। প্রিন্স কানতে কানতে কইল সামু শহরের মাইনাচরে আমি বালা পাই। কিন্তুক মাইনাচ পিলাচের লগে ইটিশ পিটিশ করে। আইজ্জা বেয়ান বেলা মাইনাচরে দিলের কথা কইতে গেচিলাম। সে তো দিল দিলইনা উল্টা সেন্ডেল খুইলা দাবড়ান দিছে। আর পিলাচ খাড়াইয়া খাড়াইয়া হাসতাচিল।
কি? এত্ত বড় কতা। তোরে দাবড়ান দিছেন। ওই ভাদা, ওই পাদা কেডা কই আছোস... চল আমার লগে। আইজকা কোপা সামচু হইব।
ছাগু সওদাগরের হাতে ১০০ নলা ওয়ালা বন্দুক। সামু শহরের যাইতে যাইতে যারাই আটকাইতাছিল তাগোরে গু্ল্লি কইরা মাইরা ফেলাতাছে (ব্যান)। কাগোরে আবার ল্যংরা লুলা কইরা দিছে (জেনারেল)।
এর মইদ্দে সামু শহরের শিপু ভাই, চে গুয়েভরা, নষ্টছেলে, হ্যাপি।
আবার কাউর কাউর জিহ্ববা কাইটা ফেলছে যাতে কথা কইবার না পারে (ওয়াচ)।
এদিকে পিলাচ আর মাইনাচ তো তখন তুমুল পেরেমে ব্যস্ত। তারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গান গাইছে
মাইনাচ তুমি আসো আরো কাছে
তুমাকে বুলার আরো কতা আছে
আর মাইনাচ গাইছে
মালা বদল করিয়া
দুটি হাতে ধরিয়া
পেলাচ তুই দিয়া
যা কতা।
আর অন্যদিকে ছাগু সওদাগর তার চ্যালা চামান্ডা নিয়া গাড়ি দিয়ে আসতেছে আর গাইতেছে
চলছে গাড়ি সামুর বাড়ি
কোপাইতে হবে তাড়াতাড়ি
প্রেমরত অবস্থায় (কাট পিস সহ) পিলাচ আর মাইনাচ কে দেইখা ফেলে ছাগু সওদাগর। সে সদলবলে পিলাচ আর মাইনাচ কে ধইরা নিয়া যায়। এ দৃশ্য আবার দেখে জাহাজি পোলা আর বখাটে পোলা। জাহাজি পোলা পিলাচ এর বাড়ি আর বখাটে পোলা মাইনাচের বাড়ি তে খবর দেয়।
এদিকে প্রিন্স আর ছাগু সওদাগর পিলাচ রে এমুন মাইর মারে যে চেহারা পুরা ভচকাইয়া যায়। পিলাচের চেহারা আর পেলাচ নিজেও চিনবার পারেনা। খবর পাইয়া পিলাচের বাপ মা আইসা পিলাচ কে নাকে খত দিয়া নিয়া যায়। আর মাইনাচের বাপ মডু আইসা মাইনাচ রে নিয়া যায়।
কিন্তু পেরেম মানেনা বাধন। পেরেম মানেনা ছাগু সওদাগরের চোখ রাঙ্গানী। পেলাচ লন্ঠন গিয়া পিলাশটিক সার্জারি কইরা আসছে। ছাগু সওদাগর যাতে আর চিনতে না পারে তাই নাম বদলাইয়া "ভালে লাগলো" নাম লইছে। তারপর খুজতে লাগল প্রিন্স রে। একদিন দেখে রাস্তার মোড়ে খাড়াইয়া প্রিন্স তাফালিং করতাচে। এরপর ভাললাগলো নামের পিলাচ তারে এমন মাইর দিলে যে দেশ ছাইরা চিরতরে ভাইগা গেল।
কিন্তু মাইনাচ রে আর খুইজ্জা পায়না। এই খানে যায়, ওই খানে যায়... কিন্তুক মাইনাচ রে পায় না....
ওইদিকে মডু মানে মাইনাচের বাপ তারে ঘরে তালা মাইরা আটকাইয়া রাখছে। মাইনাচ খালি কান্তেই আছে আর কান্তেই আছে, আর কান্তে কান্তে গাইতাছে,
বুকের জুমানো ব্যতা
কান্নার নোনা জুলে
ঢেউ বাংগে চুখের নদীতে
চেহারা বদল করে
চুলে গেছ বহুদূরে
পারিনা তুমায় চিনিতে
ও পিলাচ ও পিলাচ তুমি কুতায়?
মডু মাইনাচ রে আইসা খালি ঝারি দেয়। কয় খবরদার যদি আরেকবার পিলাচের কতা কইছস তো তোরে কাইটা সামু নদীতে ভাসাইয়া দিমু।
মাইনাচ বাপেরে চোখ রাঙ্গাইয়া বলে তুমি আমার শইল আটকাইয়া রাখতে পারবা কিন্তুক আমার মুন আটকাইয়া রাখতে পারবানা।
আর ভালো লাগলো নামক পিলাচ গলি গলি ঘুরে আর গান গায়। একদিন খবর পায় মডু তারে চাগু সওয়দাগরের ভয়ে একটা গোপন যায়গায় আটকাইয়া রাখছে।
পিলাচ মডুর বাসার সামনে গিয়া অনশন শুরু কইরা দিছে। মাইনাচের মুক্তি না দিলে জীবন দিয়া দিবে.. তবুও মাইনাচ রে না নিয়া যাইবোনা। তার এই অনশন দেইখা সামু শহরের সব লোক জমা হইয়া গেছে। সবাই পিলাচের সাথে বইসা গেছে।
স্লোগানে স্লোগানে সামু শহর গরম হইয়া গেছে।
একদফা একদাবি মাইনাচ রে কবে দিবি
মাইনাচ ছাড়া পিলাচ.. যেনো সমুদ্রে কচুগাছ
আর কোন দাবি নাই.. মাইনাচ রে ফেরত চাই।
একদিন সক্কালে মডু আর পারেনা। মাইনাচের প্রতি পিলাচ সহ সবার এত ভালবাসা দেইখা মডুর মন গইলা যায়। সে ঘর থিকা মাইনাচ রে নিয়া বাইর হইয়া আসে। পিলাচের হাত ধইরা বলে... তুমি আমার চুখ খুইলা দিছ। আমি সামু শহরের মালিক আছিলাম। আমার ক্ষমতার নেশায় অন্ধ হইয়া গেছিলাম। তুমি... আফনারা সব্বাই আমার চুখ খুইলা দিছেন। এই লন... আপনাগো মাইনাচ... আফনাগো হাতে তুইল্যা দিলা্ম।
সবার হাত তালি... সবাই গলা গলি করল।
ছবি শেষ হইল।
কিমুন লাগল ?
সঙ্গীত : আর. এইচ. সুমন
এ্যকশন : জাহাজি পোলা
কোরিওগ্রাফার : যৈবন দা
ক্যামেরা : নষ্টছেলে
চিত্রনাট্য : চতুরঙ্গ
ডায়লগ : বাংলার আগন্তুক
প্রযোজনা : বখাটে পোলা
পরিচালনা : আসিফ মুভি পাগলা
অন্যান্য চরিত্রে : আধারী অপ্সরা, কালোকাক, বাংলার আগন্তুক, আমি শুভ্র, নীল ত্রিস্তান, bangal manus, িপকলুচাচা, সাইফিহমুেবষ্ট, স্বাধীকার, চতুষ্কোণ, বখাটে পুলা, মর্তবাসী, শেখ মিনহাজ হোসেন, মাইশাআক্তার, প্লাস_মাইনাস, সাইফ বাঙ্গালী, মিঠাপুর, আবিল (দ্যা লিরিক বয়), তাহমিদ হাসান চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৬