আজ হেফাজতে ইসলামের ১৩ টি শর্ত সম্পর্কে অবগত হলাম এবং একাধারে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হলাম যে , আর যাই হোক এদের কে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় নাহ বরং এদের কে প্রতিহত করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব!
হেফাজতে ইসলাম - জামায়েত ইসলামের দ্বিতীয় গ্রুপ এটা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট! হেফাজতে ইসলামের সকল ভাবনা শাহবাগ কেন্দ্রিক- তারা কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লং - মার্চের ডাক দেয় নি, তাদের একটাই উদ্দেশ্য জামায়েত-শিবির কে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ কে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিনত করা! তাদের সকল টাকা ও ক্ষমতার উৎস যে জামায়েত-শিবির তাও প্রমাণিত! এরা আমাদের স্বাধীনতা কে স্বীকার করে না, এরা স্বীকার করে না "৭১" কে, এরা ৩০ লক্ষ শহীদ কে সম্মান দিতে জানে নাহ, এরা স্বাধীনতা বিরোধী - দেশদ্রোহী ও ধর্ম ব্যাবসায়ী! এরা "৭১" এ বলেছিল পাকিস্তান ভেঙ্গে গেলে দেশ থেকে ইসলাম চলে যাবে , এরা ইসলামের নামে "৭১" এ খুন, ধর্ষণ , লুটপাট , অগ্নি সংযোগ করেছে। এরা এখনও তাদের ধারা অব্যাহত রেখে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কে ধর্মীয় ব্যাবসার দোকান করার নীল নকশা এঁকে চলেছে! এরা ধ্বংস করে দিবে আমার সংস্কৃতি , আমাদের অস্তিত্ব। যারা স্বাধীন দেশে , পরাধীনতার অয়োময় বাঁধনে জাতি কে বন্দী করার প্রচেষ্টায় সচেষ্ট হয়, তারা আর যাই হোক দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী না, যারা ক্ষমতার লোভে ইসলাম কে নিয়ে ব্যাবসা করে তারা আর যাই হোক , ইসলাম প্রেমী নাহ।
একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে , একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে - আমি এদের প্রতিহত করবো, এটা আমার ঈমানী দায়িত্ব - এটা আমার ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতিদান। আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলে- এদের রুখে দিন।এটা আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই।।
"এ লড়াই বাঁচার লড়াই-
এ লড়াই জিততে হবে"
হেফাজতে ইসলামের এই জঙ্গিবাদী লং- মার্চ মানি না। এটাই হোক আমাদের শ্লোগান।।
জয় বাংলা।।