somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরিত্রিকে নিয়ে আমি যা ভাবি

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আধুনিক সভ্যতার সবচেয়ে বড় অভিশাপগুলোর একটা স্মার্টফোন। এর বিস্তৃত ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক দিকটি এর প্রধান সুবিধা এবং প্রধান সমস্যা। তবুও সবদিক বিবেচনায় আমরা অল্প-বিস্তর স্মার্টফোন ব্যবহারে বাধ্য। স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয় দিক বিবেচনায় নিয়ে ঠিক কত বছর বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া যাবে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। যেহেতু এটি সবসময় ক্ষতিকর, তাই বিবেচনায় নেয়া যায়, এটি কতটুকু প্রয়োজন।


স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে যায়েয-নাযায়েযের প্রশ্ন থাকলেও, পরীক্ষার হলে যে তার কোন নৈতিক প্রয়োজন নেই, তা তর্কাতীত বিষয়। একজন শিক্ষার্থী থেকে এমন আচরণ যেমন কাম্য নয়, তেমনই এমন আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে শাস্তি কতটা হবে বা শাস্তির মাত্রায় আত্মহত্যা যৌক্তিক হয়ে যায় কি না, তা নিয়ে আবার অনেকে তর্ক জড়াবেন। সে তর্ককে একপাশে রেখে বরং এ ক্ষোভের উৎস কোথায় তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।


সন্তানকে তথাকথিত ভাল ইস্কুলে পড়ানোর মত সামর্থ্য খুব কম বাবা-মায়েরই থাকে। তথাকথিত অধিকাংশ বেসরকারি ভাল ইস্কুলে পড়ার মত মেধা বা আর্থিক সামর্থ্য নেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর। স্বীকার করি বা না করি, একটা গোপন আক্ষেপ বা ক্ষোভ আমাদের কিন্তু থেকে যায়। আবার একজন সরকারি কলেজের ছাত্র যে অর্থে দুবার উচ্চ মাধ্যমিক পড়া শেষ করতে পারে, অনেক বেসরকারি কলেজে তা একমাসের বেতন। তাই পড়ছে বা পড়ে এসেছে এমন অনেক ছাত্রও নিজের বিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ের প্রতি একটা ক্ষোভ পুষে রাখে।

আবার বেসরকারি এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) কাজ করে শিল্প কারখানার মত, যেখানে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানের মান রক্ষার লক্ষ্যে মান ধরে রাখতে না পারা কাঁচামাল সরিয়ে ফেলা হয়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কারণে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেয়া এদের নিত্যকর্ম হয়ে উঠেছে। এসব অনৈতিক বা অন্যায় আচরণ ক্ষুদ্ধ করে বাকী অংশকে।
বিশাল একটা অংশের তাই নানাকারণে, নানাভাবে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষোভ এ অভিযোগ প্রকাশের একটা সুযোগ হয়েছে সাম্প্রতিক এ ঘটনাটির পর। যেখানে অরিত্রির আত্মহত্যা বা তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডেও আমরা মৌন সমর্থন দিচ্ছি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য অনৈতিক আচরনের প্রতিবাদ হিসেবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এটি একটি ইশ্যুতে পরিণত হয়েছে, যার পক্ষে বা বিপক্ষে দুদিকেই মতামত আসছে। মতামত যাই আসুক, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আমার সমর্থন নেই, সমর্থন নেই অরিত্রির প্রতিও। তবে আমার মতে এমন ঘটনায় শিক্ষিকাদের এভাবে অভিযুক্ত করাও অনৈতিক। আমি আমার দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেই পুরোনো সিনেমা

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০৮



ঘটনা হইতেছে, পাকিস্তান জ*গী পাঠাইয়া আক্রমণ করাইছে।

ভারত বলছে 'কাম কি করলি? তোর সাথে যুদ্ধ'। পাকিস্তান বলছে 'মাইরেন না মাইরেন না আমরা মারিনাই, ওই কুলাংগার জ*গীরা মারছে'

'আমরা আপনাগরে ওদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলেম কি? এ বিষয়ে বান্দার দায়িত্ব কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১০




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়ি বুনো ফল-রক্তগোটা ভক্ষন

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পাহাড়ি বুনো ফল রক্তগোটা এর রয়েছে বিভিন্ন নাম-রক্তগোটা, রক্ত ফল, রক্তআঙ্গুরী, রক্তফোটা, রক্তজবা পাহাড়িরা আবার বিভিন্ন নামে ডাকে। এর ইংরেজী নাম ব্লাড ফ্রুট।











প্রতি বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×