somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটা বয়সে এসে আমি আবিষ্কার করলাম, আমি আসলে মানুষকে ভয় পাই। একা থাকতেই আমার বেশি ভাল লাগে। কেউ গায়ে পড়ে এসে কথা বলতে থাকলে অপেক্ষা করি, কবে সে চলে যাবে! জনপ্রিয় সব আলোচনা এড়িয়ে যেতে থাকি। কারণ, আমি আবিষ্কার করলাম, শুধু মানুষকেই না, আমি কথা বলতেও ভয় পাই। এ মানুষ এড়িয়ে চলার সবচেয়ে বড় সুফল বোধকরি ছিলো প্রচুর বই পড়া, প্রচুর ভাবতে পারা আর সংগীতে আকণ্ঠ ডুবে থাকতে পারা। প্রদর্শনের কোন প্রশ্নই আসে না, কারণ তখনও কারও শোকেসে আমার জায়গা হয়নি। তাই করতাম, যা ভাল লাগে। রোদ দেখতাম, মাছ দেখতাম, আকাশ দেখতাম, মেঘ দেখতাম, দেখতাম ব্যাগ মাথার উপর দিয়ে ছুটছে মানুষ, বাস স্টপেজ ঘষে চলছে বাস। এই দেখায় আনন্দ ছিলো। আমার নিজস্ব একটা জগৎ ছিলো।

এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয় হওয়ার আগের ঘটনা। কলেজে ঢুকেই হঠাৎ নতুন শহরের মত নতুন এক আমিকে আবিষ্কার করলাম। ফেসবুকে খুব সক্রিয় হয়ে গেলাম। আমার যে একটা আপন আর গোপন শহর আছে, তা জানানোর একটা তাগিদ আসলো ভেতর থেকে। কিন্তু এ তাগিদই সব শেষ করে দিলো।

ইদানীং নিজেকে শোকেস সামগ্রী মনে হচ্ছে। আমার সব অনুভূতি সাজিয়ে রাখি ব্যক্তিগত সময়রেখায়। তবুও আমি লেখক না। আমি লেখক হতে চাই না। আমার শুধু ইচ্ছে ছিলো, মানুষ জানুক, মানুষ আসুক, আমার মগজের বাঁপাশে বেড়ে ওঠা একটা শহরে। আমি যেটা জানতাম না, সেটা হলো, সে শহর এ মানুষকেই ভয় পায়। এ পৃথিবীর মুগ্ধ মানুষ শহরের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।

ইদানীং আমার খুব একা লাগে। না আমি আছে, না আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওরা সাতজন - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে প্রধান অন্তরায় !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২৬


সংকট ঘনীভূত; ড. ইউনূস কে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয়-শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকা একটা এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করেছে। ড.ইউনূস কে ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকারের ভিতরে চারজন ও বাইরে তিনজন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১



ডক্টর ইউনুস এই দেশের ক্ষমতায় আর থাকতে চাচ্ছেন না। তবে এর দায় ভারতের নয়, পলাতক স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগেরও নয়। এই দায় সম্পুর্নভাবে এই দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল বিএনপির। অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের দরীদ্র সমাজ এখনো ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪৪

বেরিয়েছিলাম উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। মানিক মানিক মিয়া এভিনিউ পার হওয়ার সময়ে, খামারবাড়ির সামনে গোল চত্বরে হঠাৎ চোখ গেলো। চত্বর ঘিরে সারি সারি মানুষ শুয়ে আছেন। গত সরকারের আমলে আমার এলাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসের ক্ষমতার ভারসাম্য এবং পিনাকী গং-এর সংঘবদ্ধ মিথ্যাচার ও সামাজিক প্রতারণা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৬


এই পোস্টটি মূলত ঢাবিয়ানের পোস্ট "বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক" এবং জুল ভার্নের পোস্ট "আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা।

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংস্কারের দাবির বিষয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওগো ভিনগেরামের নারী, তোরে সোনাল ফুলের বাজু দেবো চুড়ি বেলোয়ারি......

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯


সেই ছোটবেলায় আমার বাড়ির কাছেই একটা বুনো ঝোপঝাড়ে ঠাসা জায়গা ছিলো। একটি দুটি পুরনো কবর থাকায় জঙ্গলে ছাওয়া এলাকাটায় দিনে দুপুরে যেতেই গা ছমছম করতো। সেখানে বাস করতো এলাকার শেষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×