আমরা সবাই জানি এবং কম বেশি সবাই ফিল করেছি রোজার সময় রোজাদারদের ক্রোধ কমে যায় আর ক্রোধ সংবরন করাও সহজ হয়ে ওঠে।
সাধারন অবস্থায় মানুষের ক্ষুধা সৃষ্টি হলে তার সাথে যোগ দেয় ক্রোধ এবং এগ্রেশান এর মতো ঘটনা, কিন্তু রোযার সময় ব্যপারটা ঠিক ও রকম হয় না।
কেনো রোজার সময়ে ক্রোধ কমে যায়?
কেননা রোজার সময়ে আমরা প্রায় ১২ ঘন্টা ফাস্টিং এ থাকি, আর প্রায় ৮ ঘন্টা পর থেকে আমাদের শরীরের মজুদ এনার্জি সোর্স ব্যবহার শুরু হয়, তখন আমাদের ব্রেন আমাদের শরীরের নিট এনার্জি এক্সপেন্ডিচার কমিয়ে দেয়। সাধারন অবস্থার ১৯০০ - ২০০০ কিলো ক্যালরি দৈনিক প্রয়োজন আমাদের ব্রেন কমিয়ে প্রায় ১৪০০ - ১৫০০ কিলো ক্যালরি দৈনিক প্রয়োজন এ নামিয়ে আনে, ফলে শরীরের মেটাবোলিজম থেকে শুরু করে সব সিস্টেমই ডাউন রেগুলেটেড হয়।
এই সময়ে ব্রেন আমাদের শরীরের থাইরয়েড হরমোন (থাইরয়েড হরমোন মানুষের শরীরের মেটাবলিজম কন্ট্রোল এর জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হরমোন, রক্তে এই হরমোন ট্রাইআয়োডোথ্রিওনিন এবং থাইরক্সিন নামে থাকে যাকে আমরা যথাক্রমে T3 & T4 বলি। এখানের ভিতর আবার থাইরয়েড হরমোনের এক্টিভ ফর্ম হচ্ছে T3, কেননা কোষের কাছে পৌছে সকল T4 T3 তে কনভার্ট হয়ে কাজ করে) কনভার্সন অনেক কমিয়ে ফেলে। যেহেতু এই এক্টিভ T3 কনভার্সন কমে যায় ফলে শরীরের মেটাবলিজম এর সাথে সাথে সিমপ্যাথেটিক স্টিম্যুলেশান (থাইরয়েড হরমোন সরাসরি সিমপ্যাথেটিক সিস্টেমকে স্টিম্যুলেট করে) ও কমে যায়, ফলে আমাদের শরীরের রাগ, ক্রোধ এবং এগ্রেশান এর মতো ব্যপার শারীরিক ভাবেই কমে যায় আর এর পরও কারো শরীরে ক্রোধের সৃষ্টি হলে সেটা কন্ট্রোল করা অনেকখানি সহজ হয় অন্য সময়ের তুলনায়।
রোজা'র আছে অনেক মেডিকেল গুরুত্ব, আমরা চেষ্টা করবো সেসবের মধ্যকার ইন্টারেস্টিং এবং প্রয়োজনীয় বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ফেসবুক এ অনুসরণ করতে - Dr N H Sarja