পর্নোগ্রাফি নিয়ে কিছু পরিসংখ্যানঃ
• ইন্টারনেটে টোটাল পর্নোগ্রাফিক পেইজ সংখ্যা= ৪৫০ মিলিয়ন
• ইন্টারনেটে টোটাল পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট সংখ্যা= ৪.৬ মিলিয়ন
• প্রতি সেকেন্ডে পর্নোগ্রাফীর দর্শক সংখ্যা= ৩৫০০০ মানুষ
• প্রতি দিন টোটাল পর্নোগ্রাফিক সার্চ= ৭১ মিলিয়ন
• প্রতি দিন শুধুমাত্র শিশু পর্নোগ্রাফির জন্য সার্চ=১৭৫ হাজার
• একটি করে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ওপেন হচ্ছে= প্রতি ৩২ সেকেন্ডে
• প্রতি দিন সারা বিশ্বে শুধুমাত্র পর্নোগ্রাফির জন্য খরচ হচ্ছে= ১৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি
• গড় যে বয়সে মানুষ প্রথম পর্নোগ্রাফির অভিজ্ঞতা লাভ করে= ৮বছর
• বিশ্বে টোটাল ডিভোর্সের মধ্যে পর্নোগ্রাফির অবদান= ২০%
এবার আসুন জেনে নিই ২০১১ সালের কিছু তথ্য :
১. ২০০৬ সালে সারাবিশ্বে এই পর্নো ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত আয় ছিল ৯৭.০৬ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই ছিল ১৩ বিলিয়ন ডলার (Internet Filter Review,2006)। এই আয় গুগল, অ্যামাজন, ইবে, ইয়াহু, অ্যাপল, ও নেটফ্লিক্সের সম্মিলিত আয়ের চেয়ে বেশী।
২. N2H2 দ্বারা ২০০৩ সালে পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটগুলির সংখ্যা সারাবিশ্বে সর্বমোট ছিল ১.৩ মিলিয়ন, পেজের সংখ্যা ছিল ২৬০ মিলিয়ন।
৩. প্রতি সেকেন্ডে ৩,০৭৫.৬৪ ইউএস ডলার পর্নোগ্রাফিতে খরচ করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে ২৮,২৫৮ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পর্নোগ্রাফি দেখেন। প্রতি সেকেন্ডে ৩৭২ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে অ্যাডাল্ট টার্ম সার্চ করেন এবং ইউএসএ-তে প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি পর্নো মুভি তৈরি হয় (Internet Filter Review,2006)।
৪. ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির প্রায় শতকরা ২০ ভাগ অপ্রাপ্তবয়স্কের নিয়ে (National Center for Mission & Exploited Children)।
৫. প্রতি সপ্তাহে ২০,০০০-এরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্কদের পর্নোগ্রাফিক ছবি ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয় (National Society for the Prevention of Cruelty to Children,10/8/03)।
অ্যাডাল্ট সাইট ঠেকাতে চালু হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ফিল্টার -
ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি ফিল্টার নামের একটি ইন্টারনেট ফিল্টারের সাহায্যে পর্নোগ্রাফি বন্ধ করে দেবে আইএসপিগুলো। অনলাইন পর্নোগ্রাফির সেবা বন্ধের করার জন্যই এই ফিল্টার চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ সেবাটি বন্ধ রাখতে চায় কি না এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেন। যারা পর্নোগ্রাফি বন্ধ রাখতে চাইবেন, তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি ফিল্টার নামের একটি ইন্টারনেট ফিল্টারের সাহায্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর কেউ যদি সেবাটি চালু রাখতে চায়, তবে সে বিষয়ে কোনো বাধানিষেধ থাকবে না।
রেফারেন্স :
http://tech.priyo.com/blog/2011/10/18/364.html
http://www.amarbornomala.com/details11756.html
http://tazakhobor.com/bangla/tech-and-science
ধারাবাহিক লিখা । কয়েকটা ব্লগে শেষ হবে । আজ শুরু করলাম তথ্য দিয়ে । একটা গ্লেনস আনলাম আপনাদের সামনে । আগামীতে আরও গভীরে যাব বিষয়-বস্তুর । আপনাদের মন্তব্য লেখাটি কে সমৃদ্ধ করবে । অনভিপ্রেত ভুলের জন্য অগ্রীম ক্ষমা চাই ।
ধন্যবাদ