১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে সে পাকিস্তান চলে যায় এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করে,৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর কমান্ড্যান্ট হিসেবে। এবং ১৯৭২ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য পাকিস্তানে থেকে চেষ্টারত বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের বিচারের জন্য ‘পশ্চিম পাকিস্তানে’ গঠিত সামরিক আদালতে বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছিল।
জানা যায় যুদ্ধের সময়ও সে অসুস্থ পিতাকে দেখার জন্য একবার বাংলাদেশে এসে আবার পাকিস্তানে ফিরে যায় এবং বাঙ্গালীদের শাস্তি দেবার কাজই চালিয়ে যায়।
হ্যাঁ, একজনের বিচার সে করতে পারেনি, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, যিনি দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বিমানবাহিনীর বিমান ছিনতাই করে দেশের পথে ফেরার সময় শহীদ হন।
আর সেই লোক , সেই বিশ্ববেহায়া খুনি, মীরজাফর এরশাদ প্রায় এক দশক বাংলাদেশকে নির্মম ধর্ষণ করে আজও দাড়িয়ে আছে ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ গুটি হিসেবে।
আমরা তাকে নিয়ে হাসি ,সার্কাসের জোকার ভাবি কিন্তু ভুলে গেছি তার ক্ষমার অযোগ্য নিযুত অপরাধের কথা।
আমরা আর কতকাল গোল্ডফিশের স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন জাতি থাকব !!!
এরশাদ দেখি আপনে কিভাবে জিতেন । এই সব ব্রিফিং দেয়ার সময় কি একবারও অতীত মাথায় আসে না ।
আমি শান্তি চাই । ধন্যবাদ