আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটে।
- লালন
আগামীকাল (বুধবার, জুলাই ২২, ২০০৮) শতাব্দীর শেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহন। বাংলাদেশে আগামী ১০৫ বছরেও আর দেখা যাবে না এই ধরনের বিরল মহাজাগতিক জাদু। ’জাদু’ শব্দটা কুসংস্কার অর্থে না হলেও প্র্রকৃতি এবং বিজ্ঞানের অর্থে এ নি:সন্দেহে প্রকৃতির এক দারুন হেয়ালী। চাঁদের চাইতে ৪০০ গুন বড় একটা নক্ষত্র সুত্র, অন্যদিকে চাঁদ মামা আর সূর্য দাদুর পৃথিবী থেকে দূরত্বে এতই চমৎকার একটা মহাজাগতিক বোঝাবুঝি, যে ওরা একে অন্যের সামনে এসে যখন দাড়ায় (এ ক্ষেত্রে চাঁদ সুর্যের সামনে) তখন ঢেকে ফেলে একে অন্যকে ’পারফেক্ট’ ভাবে। পূর্ণ সূর্য গ্রহনে ঠিক তেমনটাই ঘটে। যে সূর্যের আলো নিয়ে চাঁদ হয়ে ওঠে রাতের চাঁদ, সেই সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করে দাড়ানোর মহাসন্ধিখন সুযোগ চাঁদের শত বছর ঘুরে এই পূর্ণ সূর্য গ্রহনের সময়টাতেই।
আগামীকাল বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন ও স্থানীয় সংগঠন হিসেবে ’আমাদের পাঠশালা’ ঢাকায় আয়োজন করতে যাচ্ছে পূর্ণ সূর্য গ্রহন পর্যবেক্ষন। দেশের অনেক জায়গাতেই আয়োজন করা হচ্ছে ক্যাম্প। ঢাকার সামহোয়্যারীগন চলে আসতে পারেন ’আমাদের পাঠশালার আয়োজনে’। বোনাস হিসেবে ব্লগীয় আড্ডা, দেখা সাক্ষাৎ আর সুর্যের সাথে চাঁদের লুকোচুরি উপভোগ। আপনাদের সবাইকে নিমন্তন।
স্থান: শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন মাঠ, মিরপুর ১২, ঢাকা
তারিখ: ২২ জুলাই, ২০০৯। বুধবার
সময়: ৬টা ৪৫ মিনিটের ভিতরে চলে আসুন।
আয়োজন: আমাদের পাঠশালা
যোগাযোগ করবেন কার সাথে? রুবেল, ফোন: ০১৭২১৬২৩৬২৭, এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন: ০১৮১৯৯৭৮৯৩৬
খুব সকালে উঠতে হবে, এই টুকুই যা ঝামেলা। সেই ঝামেলাটা সহ্য করে চলে আসতে পারলে বাকি টুকু এ্যাডভেঞ্চার। সূর্যগ্রহনটা আসলে কখন: শুরু হবে ৬টা ৫৯ মিনিটে। মধ্যগ্রহন হবে ৮টার দিকে, আর এই প্রকৃতির এই লীলাখেলা শেষ হবে সকাল ৯টার দিকে। সুতরাং এর ভিতরে চলে আসতে পারলে দেখা হবে আশা করি।
- সাদিক
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১৫