তেত্রিশতম বিসিএসে নিয়োগের জন্য চিকিত্সকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আগের নির্ধারিত ২ হাজার ৪৫৪ জনের সঙ্গে এখন আরো ৩ হাজার ৮৭১ জন চিকিত্সকসহ ( সহকারী সার্জন) মোট ৬ হাজার ৩২৫ জন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত পদে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্মকমিশনকে অনুরোধ জানাবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে গতকাল মঙ্গলবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর জানান, সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৩২৫ জন সহকারী সার্জন নিয়োগের সুযোগ থাকছে ৩৩তম বিসিএসে। এছাড়া ৩১তম বিসিএসে দুই হাজারের বেশি চিকিত্সক নিয়োগের কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে আট হাজারের বেশি চিকিত্সক আগামী এক বছরের মধ্যে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে। তিনি জানান, এই মুহূর্তে চিকিত্সকের শূন্যপদ রয়েছে সাত হাজারের বেশি। আগামী এক বছরে আরো যেসব পদ শূন্য হবে তা এই নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
গত ৮ মার্চ ৩৩তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা দেয়ার সময় শুরু হয়। ৪ হাজার ২০৬টি প্রথম শ্রেণির ক্যাডার শূন্যপদে ৩৩তম বিসিএস থেকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। এখন এ সংখ্যা চিকিত্সকের দিক থেকে বাড়বে। অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ৮৯, কর ৬৯, পররাষ্ট্র ১৬ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৫৮২ জন নিয়োগ দেয়া হবে। প্রফেশনাল/কারিগরি ক্যাডারে ২ হাজার ৫৭২ জনকে নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে শিক্ষক হিসেবে ৬০৭ জন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর জন্য ১১২ জন নিয়োগ পাবেন। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে ৩৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজার অংশগ্রহণ করেন। এখন খাতা দেখার কাজ চলছে। দ্রুত ফলাফল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পিএসসি চেয়ারম্যান এটি আহমেদুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন।