আই এম ডি বি লিঙ্কঃ ৮.৫/১০
Back to the Future আমার দেখা অন্যতম একটা সায়েন্স ফিকশন মুভি। আমার জন্মের আগের মুভি, কিন্তু যতবারই দেখি, মুগ্ধ হয়ে যাই। ১৯৮৫ সালের প্রেক্ষাপট নিয়ে বানানো মুভি। কিন্তু এর কাহিনী আর যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানো হয়েছে, সেই যুগ অনুযায়ী এক কথায় অসাধারন। এরপরে অনেক সায়েন্স ফিকশন দেখেছি, কিন্তু এটার মত টানটান উত্তেজনা আর কোথাও পাই নি। মুভির লীড দুটি রোলে মার্টি ম্যাকফ্লাই চরিত্রে অভিনয় করেছে Michael J. Fox আর ডক ব্রাউন চরিত্রে অভিনয় করেছে Christopher Lloyd
Directed by Robert Zemeckis
Produced by Steven Spielberg
''He was never in TIME for his classes...
He wasn’t in TIME for his dinner...
Then oneday.... He wasn’t in his TIME at all''
কাহিনী সংক্ষেপঃ
১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার হিল ভ্যালি শহরকে ঘিরে গড়ে উঠা কাহিনী। Marty Macfly নামের ১৭ বছরের এক তরুন অতি সাধারন একটা ফ্যামিলির অংশ, যার বাবা (জর্জ ম্যাকফ্লাই) প্রতিনিয়ত তার কলিগ, বন্ধুদের হাস্যরসের স্বীকার। কেননা তার মেরুদন্ড বলে কিছু নেই। এর মাঝে জর্জের পুরোনো ক্লাসমেট ও কলিগ বিফ ট্যানেন অন্যতম। মার্টির সাথে খুব ভালো সম্পর্ক আছে পাগল টাইপের বিজ্ঞানী ডকটর ইমেট ব্রাউনের। ডক ব্রাউন বিভিন্ন রকমের সায়েন্টিফিক গবেষনা করেন। একটা লিবিয়ান টেরোরিস্ট গ্রুপ তাকে প্লুটোনিয়াম দেয় নিউক্লিয়ার বোমা বানানোর জন্য। কিন্তু তাদের ফাকি দিয়ে সেটা দিয়ে তিনি একটা টাইম মেশিন গাড়ি বানিয়ে বসেন। সেটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে তিনি মার্টিকে গভীর রাতে একটা শপিং মলের সামনে আসতে বলেন। প্রথমেই ডক ব্রাউন তার পোষা কুকুর আইনস্টাইনকে দিয়ে পরীক্ষা চালান। তাকে ১মিনিটের ভবিষ্যতে পাঠিয়ে দেন। আর পুরো ঘটনাটা মার্টি ভিডিওতে রেকর্ড করে। এরপর ব্রাউন নিজেই নিজের উপর এক্সপেরিমেন্ট চালানোর প্ল্যান করেন। কিন্তু সেইসময় লিবিয়ান টেরোরিস্ট গ্রুপ তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে খুন করে। মার্টিকেও খুন করতে চাইলে সে তখন নিরুপায় হয়ে সেই টাইম মেশিন গাড়িতে করে পালানো শুরু করে। এইসময় এক্সিডেন্টালি সে টাইম মেশিনে করে ১৯৫৫ সালে চলে যায়।
প্রথমে সে বিশ্বাসই করতে পারছিলো না যে সে সত্যি সত্যি অতীতে চলে গেছে। কিন্তু আসেপাশের পরিবেশ আর তার স্কুল পড়ুয়া বাবাকে (জর্জ ম্যাকফ্লাই) বর্তমানের মত ক্লাসমেটদের হাতে অপদস্ত হতে দেখে সে শিওর হয়ে যায় যে সে আসলেই অতীতে আছে। কিন্তু প্লুটোনিয়ামের অভাবে সে আর বর্তমানে ফিরে আসতে পারেনা। ঘটনাচক্রে বাবাকে ফলো করতে গিয়ে সে তাকে গাড়ি চাপার হাত থেকে বাচিয়ে নিজেই গাড়ি চাপা পড়ে। এখান থেকেই শুরু হয় আসল কাহিনী। সেই গাড়ি ছিলো মার্টির নানার। গাড়ি চাপা পড়ার কথা ছিলো মার্টির বাবার। তাকে তখন বাসায় নিয়ে গেলে তার সেবা করতে গিয়ে তার মা (লরেইন) তার বাবার প্রেমে পড়ে যায়। এদিকে যেহেতু বাবাকে বাচিয়ে মার্টি গাড়ি চাপা খায়, তাকে তখন বাসায় নেয়া হলে তার কমবয়সী মা মার্টির প্রেমে পড়ে যায়। বাবা আর মায়ের মিলনে মার্টি অজান্তে বাধা হয়ে পড়ে। এদিকে মার্টির বাবার ক্লাসমেট বিফ ট্যানেন লরেইনকে পছন্দ করে আর সবসময় উত্যক্ত করে। মার্টির সাথে বিফের যেসব অ্যাকশন দেখানো হয়েছে তা এক কথায় অসাধারন।
মার্টি খুজে বের করে ১৯৫৫সালের ডক ব্রাউনকে। তাকে সব ঘটনা জানালে দুজনে মিলে প্ল্যান শুরু করে। যেহেতু সে তার বা আর মায়ের ন্যাচারাল মিলনকে বাধা দিয়ে ফেলেছে, সে যদি বর্তমানে ফিরে যাবার আগে তার বাবা আর মায়ের মিলন ঘটিয়ে দিতে না পারে, তাহলে সে বর্তমানে গিয়ে তার অস্তিত্ত্ব খুজে পাবে না। তার অস্তিত্ত্ব সময়ের স্রোতে বিলীন হয়ে যাবে। তার মিশন হয়ে পড়লো দুটি। বিফকে এড়িয়ে তার বাবা মায়ের মিলন ঘটানো, আর বর্তমানে ফিরে যাওয়া। গাড়িকে রিচার্জ করতে প্রচুর বৈদ্যুতিক শক্তির দরকার ছিলো, যা ১৯৫৫ সালে সম্ভবপর ছিলো না। মার্টির মনে পড়ে যায় ১৯৫৫ সালে হিল ভ্যালিতে ঘটে যাওয়া সেই ঝড়ের কথা, যে ঝড়ে হিল ভ্যালি ক্লক টাওয়ারে বজ্রপাতে বিশাল এক ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ডক ব্রাউন এক ফুলপ্রুভড প্ল্যান বানান সেই ক্লক টাওয়ারের বজ্র থেকে বিদ্যুতকে গাড়িতে ট্রান্সফার করার, আর মার্টি ফুলপ্রুভড প্ল্যান বানায় বিফের হাত থেকে মা লরেইনকে বাচিয়ে বাবার সাথে মিলন ঘটানোর।
কিন্তু শেষবেলায় এসে সব কিছু এক এক করে অঘটনে পরিনত হতে শুরু করে। একদিকে তার বাবা জর্জ যে আজীবন শুধু অপদস্তই হয়ে এসেছে সবার কাছে, সে বিফকে পিটিয়ে তার হাত থেকে লরেইনকে উদ্ধার করে। আর যখনই মার্টি বর্তমানে ফিরে আসার প্রস্তুতি নেয়, সেই বজ্রপাত হবার আগ মুহুর্তে বিদ্যুৎ ট্রান্সফার করার তার ছিড়ে যায় ঝড়ে। হাতে সময় আসে আর মাত্র ১মিনিট।
ডক ব্রাউন কি পারবে সেই বজ্রের বিদ্যুতকে গাড়িতে পাঠাতে? মার্টি কি পারবে তার বর্তমানে ফেরত আসতে যেখানে তার গার্লফ্রেন্ড তার পথপানে বসে আছে? নাকি অতীতের ঘটনাকে প্রভাবিত করার কারনে ১৯৮৫ সালের মার্টির জীবন একেবারেই বদলে যাবে? জানতে হলে দেখে ফেলুন আজই।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ BRRip
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
পার্ট ৪
আনজিপ পাসওয়ার্ডঃ mediafiremovieaz
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৯