মানবাধিকার সংস্খা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব আইরিন খান ফৌজদারী আইনে সাজাপ্রাপ্ত কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানের মুক্তির জন্য দূতিয়ালি করছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এর পেছনে কোন দুরভিসি কাজ করছে কিনা সে সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ইসলাম বিরোধী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান মহানবী (সা: )-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন ছাপিয়ে শুধু বাংলাদেশের ১৪ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেনি বরং মহানবীর অনুসারী বিশ্বের ৬শ' কোটি মুসলমানের ধর্মীয় আবেগ এবং রাসূলের (সা: )-এর প্রতি তাদের ভালবাসাকে অমার্যদা করেছে এতে বিশ্বের ৬শ' কোটি মুসলমানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ক্ষুণí হয়েছে। অথচ তার পক্ষে মানবাধিকার সংস্খা এ্যামনেস্টির একজন নেত্রী ওকালতি করছেন এটা ভাবতেই অবাক লাগে। তাহলে কি এ্যামনেস্টি বা আইরিন খানদের কাছে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের কোন গুরুত্ব নেই, নাকি মুসলমানদের ক্ষেত্রে তাদের মানবাধিকারের সংজ্ঞা ভিন্ন। এই ওকালতির মাধ্যমে বৃটেনে অবস্খানকারী আইরিন খানরা নিজেদেরকে কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানের মত ইসলাম বিরোধীদের কাতারে শামিল করলেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা যদি এখন ধরে নেয় যে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আসলে তথাকথিত মানবাধিকারের আবরণে ইসলাম বিদ্বেষীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয় তাহলে আইরিন খানদের বলার কিছু থাকবে না। আমরা তাকে এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ডা. শহীদুল্লাহ, আব্দুল ওহাব, একেএম ওয়াহিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১০৫ জন।