প্রথমে খবরটা চোখে পড়ে আনন্দবাজারে, বিজ্ঞাপন আকারে। একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন দুইয়েক আগের ঘটনা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- পদযাত্রা- বেলা তিনটে
যতীন দাস পার্ক (হাজরা) থেকে মোহরকুঞ্জ (রবীন্দ্রসদনের বিপরীতে)
কোলকাতায় এলে সাধারনতঃ আমি থাকি যাদবপুরের দিকে, আমার ক্রমশঃ অনাত্মীয় হতে থাকা ভাই বোন স্বজনেরা এই সব এলাকাতেই থাকেন। এবারের সফরে যেমন ছিলাম গাঙ্গুলীবাগানে, জায়গাটা বাঘা যতীনের কাছাকাছি। শুনলাম এখান থেকে হাজরা নাকি খুবই কাছে। আমার কোলকাতার স্যাঙাতরা অবশ্য সাবধান করে দিল, পদযাত্রায় কারা অংশ নেবে- নাম দেখেচো, সুনীল, মিঠুন, সৌরভ, সৌমিত্র, পি সি সরকার... বেদম ভিড় হবে।
সেদিন আমার ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ থেকে কোলকাতায় ফিরে আসার কথা। কিন্ত ট্রেন এমন লেট করলো- বাসায় পৌছে শাওয়ার সেরে ফিটফাট হতে হতে আর সুনীল, মিঠুন, সৌরভদের পদযাত্রায় সামিল হওয়ার সময় থাকলো না। তবে বিকালের দিকেও রবীন্দ্রসদন নন্দন এলাকায় ২১শে ফেব্রুয়ারীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- উদযাপনের বিস্তর অনুষ্ঠানমালা ছিলো... ছিল মোহরকুঞ্জে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- সেখানে ক্যালকাটা কয়্যার, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, শ্রীকান্ত আচার্য, ভূমি, কায়া এর পাশাপাশি ওড়িশি গুজরাতি মারাঠী রাজস্থানী মালয়ালী উর্দু হিন্দী গুরমুখী ইত্যাদি ভাষাভাষী এবং আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মোহরকুঞ্জের একপাশের প্যাভিলিয়নে ছিল শিল্পী ওয়াসিম কাপুরের পরিচালনায় ‘তুলিতে একুশ’। দুইবাংলার বিশিষ্ট কুড়ি(বিশ)জন শিল্পী [আমি দু;খিত হাসেম খান আর ওয়াসিম কাপুর ছাড়া আর কাউকে আমি চিনতে পারি নাই]র উপস্থিতিতে একুশজন তরুন প্রতিভাবান শিল্পী রঙে রেখায় তুলির টানে ধরে রাখবেন তাঁদের একুশের অনুভব।
রাস্তার অপরদিকে নন্দনের চত্বর। সেখানে বসেছে বাংলা কবিতা উতসব। উদ্বোধক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি সৈয়দ শামসুল হক সভাপতি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
২১শের বিলবোর্ড
মোহরকুঞ্জ প্রধান ফটক
হাসেম খান ওয়াসিম কাপুর
তরুন শিল্পীদের চিত্রকর্ম
আর্ট প্যাভিলিয়ন
হাসেম খান
হাসেম খান
হাসেম খান ওয়াসিম কাপুর
তরুন শিল্পীদের একুশের অনুভব
শিল্পীদের যৌথ আকাঁআকি
শিল্পীদের যৌথ আকাঁআকি এগিয়ে চলছে
সৈয়দ হক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:১৬