অন্তর্যামী কেন বানালে এমন তপতী
যে জনে অপ্রকাশ্য মোর সব ধ্বনী।।
গৌরাঙ্গী অস্পরা
বিভাসনে বিনয়াবনতা
যখনই সম্মুখে দাড়াই
কেন যে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই
চলে যাও পাশ কেটে
তখন
অব্যয় স্থানুর হই বিহ্বলে।।
ধরণী কি করে ধর এমন পরী
যে জনে চোখ মেলে অপলক, যোগী-সন্ন্যাসী।।
কুন্তলের ঢল
যেন কাকচক্ষু জল
চোখ ধাঁধায় সিল্কের রেশম
ধ্রুপদী কাব্যের দীপান্বিতা ধরম
আলোক বিন্যাসে অন্ধ হই
তবু
অস্ফুটে বলিনা তোমাতে নত হই।।
অভিলাষ কাকচক্ষু জল হবো
অরবিন্দের স্নিগ্ধতায় নিমগ্ন রবো
ত্রৈলোক্যের মোহনার সঙ্গমে মিলাবো
পূর্নিমায় মন-উদাসীরে ডিঙ্গিতে ভাসাবো।।
বাস্পের মেঘ হবো
কুয়াশার চাদরে জড়াবো
ঝরনার কল্লোল হবো
নদ্যাদিসম্ভূতায় নেশার ঘোর হবো।।
আমি আছি থাকবো
জানি না পাবো কি না পাবো।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০