একমুঠো চাল হবে গো মা
ফুটিয়ে চারটে খেয়ে নেবো, লঙ্কা ডলে
নুন কেনবার পয়সা নেই গো মা
ভাংগনে হারিয়েছি, নেই আর কেউ কূলে
এ গাঁ’য়েরই এক মা বছিরন
হাঁক দিয়ে বেড়ায় এখন এবাড়ি ওবাড়ি
স্বামী ছিল জোতদার, বনেদী
পুত্র হারিয়ে বানের জলে এখন পাগলিনী
ফিরিয়ে দেয় না কেউ খালি হাতে
তার দোয়া নাকি কাজে লাগে
ঝামটা দিয়ে বলেন দাদী
মুখপুড়ী দিসনা কেন এক মুঠি
মুখুজ্জে বাড়ীর মাসিমা বলেন
ভগবান এত নিষ্ঠুর হয় কেন রে
রক্ষে করো মা’মনসা
এমন পাতকী আর করো না
চোধূরী বাড়ির বারন্দায় বাস
ইটের ঢেলা তার বালিশ বিলাস
সূর্যোদয়ের আগেই উঠোন ঝাট দিয়ে
পরিতৃপ্তির হাসি হেসে বলে, এ আমার নিবাস
সে যেন স্পস্ট, এক পান্ডুলিপি
নেই আক্রোশ বৈজাত্যের, এক তন্বঙ্গী
আমরা যেন আর পারিনা সহজিয়া হতে
যেমন পারে বছিরন এক পাগলিনী।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০