তুমি নিজেকে সংখ্যালগু বললে কেন,
আমায় অপমান করতে?
অথচ আমি তো নিজেকে কখনো
সংখ্যাগুরু বলিনি।
কিভাবে বলি, বল?
ধর্ম বলে- বিধাতার আঠার সহস্র সৃষ্টিতে
আমরা একটা প্রজাতি মাত্র।
রূপ গুণ আকার শক্তিতে
আমাদের চেয়েও কয়েকশগুণ শক্তিশালী
সৃষ্টিজগতকেও আমরা চালিত করছি
কোন বলে- জান?
বিবেক ও জ্ঞানের এক অপূর্ব সম্মিলন
বিধাতা আমাদের মাঝে ঘটিয়েছেন বলে।
মান এবং হুঁশ যদি আমাদের না থাকে
আমরা কিভাবে নিজেদের মানুষ দাবি করি।
স্রষ্টার দেয়া যেসব গুণ আমাদের
সৃষ্টিজগতে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছে,
তা যদি আমাদের না থাকে
তবে আমরা কিভাবে নিজেদের
সৃষ্টির সেরা বলতে পারি?
ওসব শ্রেষ্টত্বই যদি না থাকে
তবে বাকী সব দিকেতো আমরা
প্রাণিজগতে সংখ্যালগু।
নীলাকাশ দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছ
কিন্তু কখনো কী ভেবেছ-
যেখানে থমকে গেছে তোমার দৃষ্টি
তার থেকেও শত আলোকবর্ষ দূরে
আরো শত শত নক্ষত্র বিরাজিত।
যেরূপ একটি নক্ষত্রের সৌরমন্ডলে,
ক্ষুদ্র একটি গ্রহে আমাদের বসবাস।
মহাবিশ্বের হাজারো গ্রহ নক্ষত্রের মাঝেও
আমরা কি ক্ষুদ্র, সংখ্যালগু নই?
আমি বিশ্বাস করি-
সব দিকেই আমরা সংখ্যালগু।
জ্ঞান ও বিবেকের সমন্বয়ে
একটি গুণই আমাদের শ্রেষ্টত্ব দিয়েছে-
আর সংখ্যাগুরু করেছে
সেটা মনুষ্যত্ব-মানবিকতা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৮