somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশের গল্প

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আকাশ ছুঁইনি অনেক দিন,
দু'বছর আগেও নিয়ম করে প্রতি সন্ধ্যায়
অন্তত: একবার আকাশ ছুঁতাম।
আমাদের সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্বপূর্ণ,
সূর্যাস্তের পর আকাশ ছাদের খুব কাছাকাছি চলে আসতো
হাঁটতে হাঁটতে পাশাপাশি দুই বন্ধুর মত আমি
আকাশের হাত ধরে মৃদু ঝাঁকুনি দিতাম।

দু'বছর আগেও দুপুরবেলা রোদ গাঢ় হলে পর
ঘর্মাক্ত গায়ে আকাশকে ডেকে নরম বকুনি দিতাম।
নরম ধমকেই কাজ হতো, আকাশ আমার কথা শুনতো,
কখনো পাঠিয়ে দিতো ছায়ার মত যাযাবর মেঘদল,
কখনো বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলে হামলে পড়তো ঠান্ডা হাওয়া।
উদাসী হাওয়ায় স্বস্তি পেয়ে ফুরফুরে মেজাজে মোল্লার চা দোকানে বসে
এককাপ গরম চা, সাথে সদ্য প্যাকেট ভাঙা তাজা তামাক...

সন্ধ্যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়টাতে আড়াইতলার খোলা বারান্দায়
আকাশের সাথে জমজমাট আড্ডা হতো,
আকাশের বন্ধুরা-- মিল্কিওয়ে, অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ, আরো যতো খটোমটো
নামের অজানা অচেনা মহাজাগতিক বন্ধুরাও সাথী হতো।

আড্ডার অন্তরঙ্গতায় তোমার কথাও হতো;
আকাশ সবই জানতো--
প্রথম দেখাদেখির সলাজ দৌড়, ফোনে খুনসুটির নানান সূত্র
ধরে হাসি ঠাট্টাও চলতো।
এমনকি কখনো কখনো আকাশ আমাদের সম্মানে উপহার দিতো
তারা খসার দৃশ্য- ভবিষ্যত সুখ কল্পনায় সংস্কারাচ্ছ্‌ন আমরা
মোনাজাতের ভঙ্গিতে মুখে হাত বুলিয়ে নিতাম।
শত মাইল দূর থেকেও মহাজাগতিক ঘটনাগুলো
দু'জনে মিলে উপভোগ করা যেতো--
যেমন পূর্ণিমা দেখতাম দু'জনে একই সাথে - যদিও মধ্যিখানে একবেলার পথ!
আমি আকাশকে নিয়ে সদ্য লিখিত কোন কবিতা উৎসর্গ
করবো বলে মনে মনে ঠিক করেছিলাম, একদিন তুমুল
আড্ডার ফাঁকে তাকে সে কথা জানিয়েও দিয়েছিলাম।

আমি কথা রাখতে পারিনি, যেমন তুমি রাখোনি;
আকাশকে নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয়নি আর।
তুমি চলে যাওয়ার পর গত দু'বছর ধরে
আমি তাই একটিবারও আকাশের মুখোমুখি হইনি।



২ নভেম্বর, ২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৮
৩৩টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রক্তজবা ও গোলাপ

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৭

ভালোবাসার রূপান্তর

তোমার শহরে তুমি বসে আছো,
রক্তজবা হাতে…
আমার শহরে আমি,
একটি গোলাপের বাগান গড়ি—
লাল রঙে রাঙা, নিঃশব্দে ফুলে ভরে।

তুমি একদিন বলেছিলে,
রক্তজবা মানেই চিরন্তন ভালোবাসা,
তোমার অভিমানে লুকোনো ছিল রাগের আগুন,
তবু তার গভীরে ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইহাকেই বলে আগবাড়িয়ে মাড়া খাওয়া

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯


শিক্ষিত জঙ্গি মোদী ভোটের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হাসিনার মতো জঙ্গি নাটক সাজায়; দুজনের পার্থক্য হলো হাসিনা নিজদেশের জনগন হত্যা করে নিজদেশের জনগনকেই দোষ দেয় অপর দিকে মোদী নিজদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সার্জিস কয়েক মাস আগে বলসিলো প্রায় ৭ কিমি পদ্মা রেল সড়ক সেতু বানানো খরচ মাত্র ১০ হাজার কোটি টকা হওয়ার কথা।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

সার্জিস কয়েক মাস আগে বলসিলো প্রায় ৭ কিমি পদ্মা রেল সড়ক সেতু বানানো খরচ মাত্র ১০ হাজার কোটি টকা হওয়ার কথা। ১৫-২০ হাজার কোটি নাকি চুরি হইসে।
তাহলে আজকে সার্জিস... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণহত্যাকারী দল জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক!

লিখেছেন সৈয়দ তাজুল ইসলাম, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০



জামাত শিবির সুযোগ পেলে আবারও প্রকাশ্যে বাঙালী গণহত্যায় যুক্ত হবে, আওয়ামিলীগের পূনর্বহালের কথা ভাবতে গেলেই এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হয়। এই হিসেব মিলাইতে গেলে আপনার রকেট সাইন্স... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাসুদ(শাহবাজ ) তোমরা কি আর ভালো হবা না ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯


বাংলাদেশপন্থীরা ভারত ও পাকিস্তানপন্থীদের হাউকাউতে অতিষ্ঠ। ভারত ও ভাদা রা মনে করে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিলো। ভারত বাংলাদেশ কে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। গুগলে সার্চ করলেও এমন কিছুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×