বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড নিয়ে নতুন নীতিমালার বিষয়টি যখন শুনলাম তখন বেশ অবাকই হয়েছি।স্কুল ও কলেজ পর্যন্ত যা মানানসই তা আবার বিশ্ববিদ্যালয় এসে নির্দিষ্ট অবধারিত থাকবে এটা মেনে নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা একটা বয়সের পর সেটা অবশ্যই মানা যায় না।
শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা মেয়েদের উড়না বাধ্য না করে ,শালীন পোশাকে আসতে বলায় কাম্য ছিল।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (UIU) নোটিশবোর্ড টানিয়ে মেয়েদের ওড়না কে বাধ্যতামূলক ও ছেলেদের বেলায় শালীনতা মুলক পোশাক বাধ্য করুন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই বলছেন শালীনতা বজায় রেখে যে কোন পোশাক পড়া যায়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান,
বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বাড়াতেই এমন নোটিশ ইভটিজিং এর জন্য উস্কানিমূলক হতে পারে এটা উচিত না।
২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ( স্নাতক) এর ছাত্রী হাফসা ইসলামকে নেকাব পড়ার জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে জানানো হয়, ব্র্যাক যদি তাদের ড্রেসকোডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে তাহলে তারা আইনের আশ্রয়ে যাবেন।দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে ড্রেসকোড ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রী হাফসা ইসলামকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক।
ড্রেসকোড নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ম নীতি কেন এ প্রশ্ন অনেকেরই অজানা।একটি মেয়ের ওড়না পড়বে কি পড়বে না এটা তার মা-বাবার উপর ছেড়ে দেয়া উচিত ।অশালীন দেখলে শিক্ষক হিসেবে বলতেই পারেন শালীনতা পোশাকে ব্যাপারে কিন্তু কোন জিনিস আইন করে বাধ্য করা উচিত না ---বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ।অনেকে সহমত প্রকাশ করেছেন উনার এই বক্তব্যের সাথে।
মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক / অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী । কিছু কিছু মেয়েরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় যে কোন পাবলিক প্লেসে উগ্র পোশাক পড়ে যা দেখে নিজেরাই লজ্জা পাই। তারপরও বলতে ইচ্ছে করে বাধ্য করে নয় শালীন পোশাকে সবার কাম্য। আমাদের নিরাপত্তা সমাজ দিবে না আমাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি নীল আকাশ ভাই কে ,লেখা প্রথম পাতায় আসার জন্য। উনার অবদান ও উদ্যোগে সাহায্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। প্রথম পাতায় প্রথম পোস্ট নীল আকাশ ভাইকে উৎসর্গ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০