
একটি রাষ্ট্র যন্ত্রের অনেক গুলো কাঠামোর মধ্যে তিনটি অতিজনগুরুত্বপুর্ন কাঠামো হচ্ছে.........
বিচারকী ব্যবস্হা
শিক্ষাখাত
জনপ্রশাসন
অন্যান্য কাঠামোর সাথে উপরের প্রতিটি কাঠামোগুলোও যদি একই সাথে ভেঙ্গে পড়ে তবে রাষ্ট্রযন্ত্র সুনিশ্চিত ভাবেই অরাজকতার দিকে ধাবিত হয়। দেশের সার্বিক অবস্হা দেখে শুনে মনে হয় আমাদের ঐ তিনটি খাতেই পচন শুরু হয়ে গেছে। ইদানিং অন্যান্য খাতের সাথে এই তিনটি খাতকে নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে আমারা খুবই শন্কিত ও আতন্কিত।
একজন বিচারক বলতে আগে যে সম্মান জেগে উঠত, শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসত আর সততা ও ন্যায়পরায়নতায় উনারা সমাজের বিবেক, ক্রান্তিকালের ত্রানকর্তা রুপে আবির্ভুত হতেন এখন আর সেরকমটা হয়ে উঠে না বা দেখা যায় না। নিপীড়িত ও অত্যাচারিত অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয় স্হল হচ্ছে বিচারালয়। একজন বিচারককে থাকতে হয় সবসময় নিরপেক্ষ, সব ধরনের স্বার্থের উর্ধ্ধে উঠে তাকে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়। কোনভাবেই কারো দ্ধারা প্রভাবিত বা স্বপ্রনোদিত হয়ে কারো প্রতি অবিচার তারা করতে পারেন না বা কখনই তা করা যাবে না । কথায় আছে বিচারকদের হতে হয় অন্ধ আর বিবেককে রাখতে হয় সদা জাগ্রত।
কিন্তু আফসুস অন্যান্য রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে এই জন গুরত্বপুর্ন কাঠমোটিও যেভাবে ধীরে ধীরে কলুষিত হচ্ছে তাতে করে জনগনের শ্রদ্ধা ও আস্হার বিলুপ্তি ঘটছে। আর সেটা দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে এক মহাবিপদের লক্ষনই হিসাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুবই পরিতাপের সহিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং যেভাবে অন্যান্য খাতগুলোর পাশাপাশি এই কাঠামোটিতেও লেজুর বৃ্ত্তি চলছে, তাতে করে এই কাঠমোও যদি একবার ধসে পড়ে তখন পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রকে বাচিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হবে।
খুবই পরিতাপের সহিত দেখা যায় যে, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে আদালতে যে ঘটনাটা ঘটে গেল তা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। একজনের মামলায় আরেকজন ব্যাক্তিকে নিয়ে বিচারকদের অহেতুক মন্তব্য করার কোন প্রয়োজনতা আদো ছিল কিনা বা সেটা তাদের মত লোকদের করা আদো উচিত কিনা তা মহামান্য বিচারকরাই হয়ত ভাল বলতে পারবেন। আর তাকে ঘিরে আইনজীবিরা যেভাবে কলহ দাঙ্গায় ফ্যাসাদে লিপ্ত হলেন, বিচারক বিচারালয়কে কলুষিত করলেন সেটাও মেনে নেওয়া যায়না কোনমতেই। তবে এর সবই পুর্নাঙ্গরুপে বিচার করতে পারবেন রাষ্ট্রের সমস্হ ক্ষমতার মালিক জনগন। একজন খায়রুল হক যেভাবে সংবিধান নিয়ে একের পর এক রায় দিয়ে গেছেন তাতে করে দেশ ও জনগনের মধ্যে যে বিরুপ মনোভাব জন্মেছে আর এরই ফল স্বরুপ দেশে যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে তার দায়ভার কে বা কারা বহন করবে সেটা মনে হয় ভবিষ্যতই ভাল বলতে পারবে।
বিচারকী ব্যবস্হার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্হাও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য একটি গুরুত্ব পুর্ণ কাঠামো। একটি দেশের মেধা মনন নীতি নৈতিকতা আদর্শ এর সবই এখান থেকে অর্জিত হয়। একজন শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীকে এর সবই শিক্ষা দিবেন সর্বোপরি তারা দিবেন ইথিক্স এর শিক্ষা। কিন্তু এই খাতের উপড়ও যেন ভর করেছে এক অশুভ ছায়া। মানুষ গড়ার কারিগররা নিজেরাই যখন অমানুষ হয়ে যান নিজের চরিত্র আর বিবেককে কলুষিত করে ফেলেন তখন জাতি হয়ে পড়ে দিক শুন্য আতন্কিত। পরিমল এর মত অমানুষরা যে ভাবে আমাদের শিক্ষাখাতকে একের পর এক কলুষিত করে চলছে তা থেকে এখনই পরিত্রান পেতে হবে। ঐ সব অমানুষদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। সোজা কথা এই সেবা খাতকেও অবশ্যই ধংসের হাত থেকে যে ভাবেই হোক এখনই বাচাতে হবে। না হয় জাতি হিসাবে ধ্বংস সুনিশ্চিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩২