ডাগদর সাব ভোটে জিতিয়াই প্রথমে ইঁটের ভাঁটির মালিক সমিতির পান্ডাদের তলব করিলেন।
তাহারা প্রথমে ফরমান পাইয়া ভড়কাইয়াছিলো, বিশেষ করিয়া ডাগদরসাবের ক্ষুদ্রসূচিকার ডর তাহাদের সকলের অন্তরেই ছিলো। নিতম্বের কন্দরে একটি সুঁই ভরিয়া সপ্তাহান্তে উহার দামের উপর সুদ আদায়ে ডাগদরসাবের জুড়ি ছিলো না। প্রাথমিক পর্যায়ে কলাটামূলটাকচুটা দিয়া তাহার সুদ শোধ করা সম্ভবপর হইলেও কালক্রমে তাহা ফুলিয়া ফাঁপিয়া এমন আকার ধারণ করে যে বাটীর চাল পর্যন্ত উড়াইয়া লইয়া যায়।
কিন্তু ডাগদর তাহাদের হোগায় ইঞ্জেকশন দিবার কোন উৎসাহ না দেখাইয়া স্মিত হাসিয়া কহিলেন, "ইষ্টক লাগিবে প্রচুর।"
ব্যবসায়ের গন্ধ পাইয়া ভাঁটির মালিকগণ নাচিতে নাচিতে বাটী ফিরিলো।
এরপর দেশ জুড়িয়া ইঁটের ভাঁটি গজাইতে লাগিলো। তেল গ্যাস কাঠ খড় সব পোড়াইয়া দেশের তাবৎ মাটি ভাঁটিতে পুড়িয়া ইঁট হইলো। সেই ইঁট রিকশা ভ্যান নসিমন নৌকা আর ট্রাকে করিয়া ছড়াইয়া পড়িলো সীমান্ত অঞ্চলে। সীমান্ত বরাবর গড়িয়া উঠিতে লাগিলো বিশাল প্রাচীর। বিএসএফের জওয়ানরা বিমর্ষমুখে তাহাদের নগণ্য কাঁটাতারের বেড়ায় হোগা ঘষিতে ঘষিতে ভাবিলো, ফূর্তির দিন ফুরাইলো, আর বাজি ধরিয়া পাঁচশত গজ দূরের কৃষক মারিয়া মৌজ করা যাইবে না।
দেশ ঘিরিয়া দেয়াল উঠিয়া গেলো।
ছম্বাদিগেরা শুধাইলেন, "ডাগদর সাব, এ কী ঘটিলো?"
ডাগদর সাব প্রকান্ড এক দন্তাল হাসি উপহার দিয়া বলিলেন, "অঙ্গীকার করিয়াছিলাম, গরীবীকে যাদুঘরে পাঠাইবো। যাদুঘরের দেয়াল গড়িলাম!"
হাততালি দিলো কেউ কেউ। তবে ছাদ হারাইয়া বিমূঢ় বস্তির গরীব দেয়াল পাইয়া বিশেষ আনন্দিত হইতে পারিলো না, তাহারা হাতজোড় করিয়াই রহিলো।