[গাঢ়] সতীনাথ ভাদুড়ীর ঢোঁড়াই চরিত মানসের কোন খন্ডের সাথে এই কাহিনীর কোন মিল নাই। কাজেই খোঁচ ধরিয়া সময় বরবাদ করিবেন না। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লিখিত কিঞ্চিৎ অশালীন পোস্ট, শিশুরা দূরে গিয়া খেলো। [/গাঢ়]
ভোদাই আজকে বড়ই ছটফট করিতে করিতে আসিয়া উপস্থিত।
আমি শুধাইলাম, "কী হইয়াছে ভোদাই? কুদিতেছো কেন?"
ভোদাই বলিল, "সর্বনাশ হইয়াছে। ভীষণ কান্ড!"
আমি বলিলাম, "কী হইয়াছে?"
ভোদাই বলিল, "দিন উল্টাইয়া গিয়াছে বন্ধু! আজ এক অবাক কান্ড দেখিলাম!"
আমি বলিলাম, "কী দেখিয়াছ?"
ভোদাই বলিল, "দেখিলাম, বড় একটি গাড়িতে করিয়া একদল পুলিশ ভেঁপু বাজাইতে বাজাইতে জান লইয়া ভাগিতেছে!"
আমি বিস্মিত হইয়া বলিলাম, "বল কী? জনগণ তাড়া করিয়াছিলো নাকি?"
ভোদাই উত্তেজিত হইয়া বলিল, "জনগণ নয় জনগণ নয়! তুমি বলিলে বিশ্বাস করিবে না, সেই পুলিশের গাড়ির পশ্চাদ্ধাবন করিতেছিলো আর কেহ নহে, আমাদের আজুরাম!"
আমি থতমত খাইয়া বলিলাম, "আজুরাম?"
ভোদাই বলিল, "হাঁ! একখানা গাড়িতে করিয়া সে ঐ পুলিশদিগকে দৌড়ানি দিতেছিলো! আমি তাহার টাক দেখিয়াই চিনিয়া ফেলিয়াছি!"
আমি কিছু বলি না।
ভোদাই বলে, "কিন্তু অবাক ব্যাপার, আজুরামের পিছন পিছন আবার আরো এক গাড়ি পুলিশ ফেউয়ের মত লাগিয়া গিয়াছে! তাহারা আজুরামকে তাড়া করিতেছিলো! তাহাদের স্বজাতিকে আজুরাম খেদানি দিলে তাহারা চটিবে, ইহাই স্বাভাবিক, আমি কিছু মনে করি নাই! কিন্তু ...।"
আমি বিরক্ত হইয়া বলি, "কিন্তু কী?"
ভোদাই চিন্তিত হইয়া বলিল, "সেই পুলিশের গাড়িকে আবার তাড়া করিতেছিলো একখানি অ্যাম্বুলেন্স! অ্যাম্বুলেন্সের তাড়া খাইয়াই কি সেই ঠোলাগণ ছুটিতেছিলো, নাকি আজুরামকেই তাড়া করিতেছিলো, ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না!"
আমি মনে মনে ভাবি, কেমনে বুঝাইব উহাকে, সিকিউরিটি কী চীজ। ভিআইপিগণের যাতায়াতের কেমন ধরণধারণ। ভোদাই সরল জনতার একজন, এইসব প্যাঁচঘোঁচ কি সে বুঝিবে?
ভোদাই অবশ্য বুঝিতে তেমন একটা বেয়াকুল হয় নাই। সে হাত তালি দিয়া বলিল, "আজকে কেউ একজন পোঙ্গামারা খাইবে! হয় সামনের গাড়ির পুলিশগুলিকে আজুরাম ধরিয়া পোন্দাইবে, নতুবা আজুকে পিছনের গাড়ির পুলিশেরা ধরিয়া পোন্দাইবে, অথবা অ্যাম্বুলেন্সওয়ালা গিয়া সেই পিছনের গাড়ির পুলিশকে পোন্দাইবে! আমার কোন লস নাই!"
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি ভোদাই আর ভোদাইদের কথা ভাবিয়া।