(ছাগুরামের ভাষ্য রপ্ত করা দরিদ্র মুখফোড়ের জন্য দুঃসাধ্য। তবুও গরীবের এই সামান্য কোশেশ ...।)
ছাগুরাম জড়োসড়ো গোবেচারা নহে
যাহাই উচিত বলে মনে করে, কহে।
বুঝুক বা না বুঝুক, বক্তব্যে সে বীর
সঙ্গে হানে ঘনঘন রেফারেনসে তীর।
লক্ষবস্তু ভেদ নয়, বাণনিক্ষেপে পটু
মাঝে মাঝে ঘন ঘন ব্যা ব্যা করে কটু।
কাঁঠালপাতার তাপে আস্ফালিয়া ওঠে
এলিপসিসে পুষ্ট পত্রে অগি্নধারা ছোটে।
তিন বাহুতে পেশী ঝলকে, বুঝি দেবে মাইর!
শেষ মূহুর্তে সামলে বলে, যাজাকুল্লা খাইর।
ছিলো ছাগু নির্বিরোধী, পনসপূজারী
পাতা খেয়ে লতা খেয়ে ফূর্তি ছিলো ভারি।
লাদি ছাড়ে গুটি গুটি ধন্বন্তরী বড়ি ...
কবিরাজি পাতা খেয়ে বায়ু গেলো চড়ি।
হঠাৎ ক্ষেপিয়া শেষে ব্লগে হানে বাজ
ভিন্নমতাবলম্বীরে দেখে নোবো আজ।
জানি না বুঝি না তাতে কী হয়েছে, ধিক,
আমি যাহা বিশ্বাস করি, তাহা শুধু ঠিক।
না পারি বিতর্ক, তবু গলে আছে জোর
কুতর্কে আবদ্ধ হতে দ্্বিধা নেই মোর।
যুক্তির বদলে দেবো উদ্ধৃতি দুইচাইর,
আগে পিছে বলে নোবো, যাজাকুল্লা খাইর।
এমত বিশ্বাসে ছাগু নিত্য দ্্বন্দ্বে রত
সহজসরল লোকে গুঁতা খাইলো কত।
রাশি রাশি মন্তব্য বা গাদা গাদা ল্যাখা
ছাগুরাম চলে কভু সোজা কভু ব্যাঁকা।
বন্ধুসাথী জুটিয়াছে ছাগাপাঁঠী বহু
অপূর্ব বাহিনী তাহা, বর্ণনে কী কহুঁ?
ব্লগলাদ্যে বাংলাপাড়া বিপর্যস্ত প্রায়
ম্যা ম্যা শুনে লোকে কাঁদে, ছাগুরাম যায়।
ছাগুর দাপটে সবে অন্দরমহলে
চুপিসাড়ে বসি যতো কটূবাক্য বলে।
ছাগুদল হামলে চলে ভিতরবাইর
বলো সবে মহামন্ত্র, যাজাকুল্লা খাইর।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০