যাপিত জীবনের প্রতিটি ক্ষণই নারী দিবস ,
শুধু
আটই মার্চ কেন গলায়ঘণ্টা জিহ্বা অবশ !
প্রতি মাসে ত্রিশ দিনই আমি সচল পর্নো চিত্রে ,
প্রতি রাতের কালোয় আলো খুঁজি পসারিণী গাত্রে ,
কৈশোরের গাঙে যৌবনের ঢেউ এসেছে হরদমে বখাটেপনায় ,
মাথার চুলের চেয়েও বেশি সময়ের কবর হয়েছে ওড়নাটানায় ,
শুধু
এই একদিনই সাধু সেজে সমস্ত পাপ মুছে লুকাবো খোলস !
চলাফেরায় চোখ খুঁজে ফেরে মোমের পাহাড় ,
কথাবার্তায় বারেবারে ছবি হয় নারী চমৎকার ,
তবু
শুভকামনায় শুভেচ্ছায় ফুলে ফুলে ভরে দেবো হঠাৎ !
মৌচাক ভাঙার আগে সাজ সরঞ্জামের ব্যবস্থা অকস্মাৎ !
পশু খাদ্যের যোগান নিতে জবাই পূর্ব গলায় হাত বোলানো !
আশু কামনার আগুনের ঘি ঢালতে তদারকি মন ভোলানো !
শুধু
এই একদিন আমি পবিত্র মনে জনে গণে রনে বনে লাজুক রবো !
আর সব দিন সব রাত তো ঠিকমতো আহারে করি গর্বো !
কভু
আমি কি শকুনের মতো মুরগির বাচ্চা ছোঁ দিয়ে লোভে উড়ায় নি !
হিংস্র জানোয়ারের থাবায় হরিণীর গলা চেপে মাংসে দাঁতাই নি !
রাতের আঁধারে মুখ চেপে হাতের ইশারায় নাচাইনি ময়ূরীর দেহ !
ভাতের অভাবে থরথর কাঁপা কোকিলার কোমর জাপ্টাইনি অহরহ !
শুধু
আজই আটই মার্চের শ্মশানে তোমরা আমায় পদক দেবে দাও !
এই একটাই দিবস কে পূজো করবে করো ; তুমি তো আমি নও !
কাপড় কিনে দিয়ে সুযোগে সেই কাপড় খুলেছি আমি পুরুষ ,
সাজিয়ে গুজিয়ে সন্ধানী হাতেই তো চুড়ি ভেঙে হয়েছি কাপুরুষ ,
চাঁদের রূপে আলোকিত নিজেকে কালো করেছি চাঁদের কলঙ্ক ,
তাঁর নরম বুকে নাক ডুবিয়ে নিশ্বাস করেছি গাঢ় ভেবেছি পালঙ্ক ,
তার ভেতর থেকে বেরিয়ে তার ছায়াকেই করেছি অপবিত্র কুগাত্র ,
তাকে পান করে তার হাতে খেয়ে তার ছায়ায় ঘুমিয়েও বলেছি অপাত্র ,
তবুও
তাঁর কাছে আশ্রয় চেয়ে চেয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়ে তাকেই করি ভক্ষণ !
তাঁর পিছে কুকুরের মতো ঘুরে ঘুরে সুখ খুঁজে শেষে পিষে মরদে করি বীক্ষণ !
আমি
ভণ্ডামি করি তবু ভণ্ড নই সত্যবাদী পুরুষের মতো পুরুষ সময় বুঝি !
নোংরামি করি তবু নোংরায় হৃদয় পচেনি আজো সাহসেও ভয় গুজি !
অসমাপ্ত....................!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪