somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পহেলা বৈশাখের অপসংস্কৃতি : কিছু প্রশ্নের দালিলিক জবাব

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশ্নঃ পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন ধর্ম ও পেশার মানুষ এক সাথে হয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনা করে শান্তি মিছিল বের করে। মিছিলটি হয় শুভ কামনায়। এ মিছিলে পেঁচা, সিংহ, বাঘ ইত্যাদির মুখোশ ও প্রতিকৃতি হাতে রাখা হয়। এ উদ্দেশ্যে যে, বছরের শুরু দিন তাদের সম্মান করা হল। সুতরাং বছরের বাকী দিনগুলো এদের আক্রমণ বা অশুভতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এমনিভাবে বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখের মেলা বসে। যেখানে অশ্লীলতা, গান-বাজনা, জুয়া ইত্যাদির আসর বসে। এ বিবরণের আলোকে প্রশ্নগুলো নিম্মরূপ:
* এ ধরনের আকীদা রেখে শোভা যাত্রা বের করার হুকুম কী?
* এ ধরনের শোভাযাত্রা ও মেলার আয়োজন করা ও অংশগ্রহণ করা এবং এর প্রতি নৈতিক সমর্থন ও টিভির পর্দায় উপভোগ করার ব্যাপারে শরীয়তের দিক হুকুম কী? তা জানতে চাই।
উত্তরঃ পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন ধর্ম ও পেশার মানুষ এক সাথে হয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনা করে যে শোভাযাত্রা বের করে তা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত। উল্লেখিত প্রশ্নে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে এবং এগুলোর মধ্যে আরো কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা নি¤œরূপ-
১. নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ একসাথে হয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা, সমর্থন করা, সরাসরি কিংবা টিভির পর্দায় তা উপভোগ করা।
২. পেঁচা, সিংহ ও বাঘ ইত্যাদি প্রাণীর আক্রমণ বা অশুভতা থেকে রক্ষা পাওয়ার বিশ্বাসে তাদের মুখোশ ও প্রতিকৃতি হাতে রাখা বা শরীরে ধারণ করা।
৩. বে-পর্দা অবস্থায় নারী-পুরুষ একসাথে যাত্রা ও মেলামেশা করা।
৪. এই দিন ও এদিনকে কেন্দ্র করে বিনোদনের নামে নাচ, গান, মেলা ও যাত্রার মাধ্যমে অশ্লীলতার ব্যাপক আয়োজন ও অংশগ্রহণ করা।
৫. এই দিনকে উপলক্ষ্য করে ব্যাপক অপচয় করা।

উপরোক্ত বিষয়গুলোর ধারাবাহিক উত্তর দেয়া হল-
(১) প্রত্যেক মুসলমানের উপর আবশ্যক কর্তব্য হল, তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি কাজ শরীয়তের বিধি-বিধান অনুযায়ী আদায় করা। ইসলামে কোন দিবসকে কেন্দ্র করে উৎসব পালনের কোন রীাত-নীতি নেই, কেবল দুই ঈদ ব্যতীত। উপরন্তু কোন দিবসকে স্বাগত জানিয়ে ‘সার্বজনীন উৎসবে’র নামে সকল ধর্মের লোক একসাথে মিলে তা পালনের কোন বিধান ইসলামী শরীয়তে নেই। আল্লাহ তাআলার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হলো ‘ইসলাম’। ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মের লোকদের রীতি-নীতি পালনের স্বাধীনতা ও সুযোগ থাকলেও সে সকল ধর্মের কোন স্বীকৃতি ইসলামে নেই। যেমনটি আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার নিকট একমাত্র মনোনিত ধর্ম হলো ইসলাম (সূরা আলে ইমরান : ১৯)। এ ধরনের দিবস পালনের কোন দৃষ্টান্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ, খোলাফায়ে রাশেদার যুগ, তাবেঈনদের যুগ কিংবা তাবে তাবেঈনদের যুগ- কারো সময়ই ছিল না। মূলত এটি একটি হিন্দুয়ানী প্রথা। যা পালন সম্পূর্ণ শরীয়ত বহির্ভূত। কাফের-মুশরিকদেও এ জাতীয় প্রথায় ‘বাঙালী সংস্কৃতি’ বা ‘সার্বজনীন উৎসবে’র নামে অংশগ্রহণ করা, সমর্থন করা, সরাসরি বা টিভির পর্দায় তা উপভোগ করার মাধ্যমে এর প্রতি নিজের সন্তষ্টি প্রকাশ পায় এবং বিধর্মীদের দল ভারী করা হয়। যা কখনো কোন মুসলমান করতে পারে না। এই সকল কাজ কুফুরীর নামান্তর এবং সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-وَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ- وقيل: من يكفر بالإيمان أي: يستحل الحرام ويحرّم الحلال فقد حبط عمله، وهو في الآخرة من الخاسرين- قال ابن عباس: خسر الثواب. অর্থঃ যে ব্যক্তি ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে তার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লামা বাগাবী এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন- বলা হয় ‘যে ব্যক্তি ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে’ এ কথার অর্থ হলো- যে ব্যক্তি হারামকে হালাল মনে করবে এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করবে তার যাবতীয় আমল বৃথা হয়ে যাবে। আর আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইবনে আব্বাস রা. বলেন- তার সাওয়াবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (তাফসীরে বাগাবী ২/২০, সূরা মায়েদা : ৫)
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- عن ابن مسعود (رض) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كثرسواد قوم فهو منهم. ومن رضى عمل قوم كان شريك من عمل به. (نصب الراية, ৪/৩৪৬) অর্থঃ যে ব্যক্তি (সংখ্যার আধিক্যে) কোন সম্প্রদায়ের দল ভারী করবে সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কোন কাজের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে সে তাদের কাজের শরীক হয়ে যাবে। (নাসবুর রায়াহ, ৪/৩৪৬)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- عن ابن عمر رض قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من تشبه بقوم فهو منهم- ( ابو داود, باب فى لبس الشهرة) অর্থঃ হযরত ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (আবুূ দাউদ, বাবুন ফী লিবাসিশ শুহরতি)
আরেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- عن ابن عمر(رض) عن النبى صلى الله عليه وسلم: قال: خالفوا المشركين. وقروا اللحى. وأحفوا الشوارب. (صحيح البخارى, كتاب اللباس) অর্থঃ হযরত ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বরেছেন- ‘তোমরা মুশরিকদের সাথে ভিন্নতা অবলম্বন কর। দাড়ি স্থির রাখ এবং মোছ খাটো কর। (বুখারী, কিতাবুল লিবাস)
এ সকল হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, কাফের-মুশরিকদের কোন রীতি-নীতিতে অংশগ্রহণ করা, তাদের কোন কাজে সমর্থন করা বা তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নামান্তর।

(২) বাঘ, সিংহ, পেঁচা ইত্যাদি হিংত্র জানোয়ারদের প্রতিকৃতি বানানো বা শরীরে ধারণ করা মূর্তি বানানো বা ধারণ করার নামান্তর। যা সুস্পষ্ট শিরক। উপরন্তু হিংস্র জানোয়ারদের প্রতিকৃতি এই বিশ্বাসে ধারণ করা যে, বছরের প্রথম দিন তাদেরকে সম্মান করার মাধ্যমে পুরো বছর তাদের অশুভতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে- তাহলেতো তা আরো মারাত্মক পর্যায়ের শিরক হিসেবে গণ্য হবে। এর মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করা হচ্ছে। ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভের নিয়ন্তা বলে স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে এই হিংস্র জানোয়ারগুলোকে।

এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্য যে কোন গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করল সে এক মহা পাপ করে ফেলল। (সূরা নিসা : ৪৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ অর্থঃ যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে অবশ্যই হারাম করে দিবেন এবং তার আবাসস্থল জাহান্নাম। জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদা : ৭২)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ অর্থঃ তোমরা মূর্তির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং বেঁচে থাক মিথ্যা কথা বলা থেকে। (সূরা হজ্ব: ৩০)

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- عن جابر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اثنتان موجبتان- قال رجل يا رسول الله! ماالموجبتان؟ قال من مات يشرك بالله شيئا دخل النار ومن مات لا يشرك بالله شيئا دخل الجنة– (رواه مسلم) অর্থঃ হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- দুটি বিষয় এমন যা অপর দুটি বিষয়কে অনিবার্য করে তোলে। জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বিষয় দুটি কী? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনকিছুকে শরীক করা অবস্থায় মারা যায়, তবে সে জাহান্নামে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনকিছুকে শরীক না করা অবস্থায় (অর্থাৎ শিরক থেকে মুক্ত হয়ে ) মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে। (মিশকাত (মুসলিম) ১/১৫)

আরেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে- عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- لاعدوى ولاطيرة ولاهامة ولاصفر- অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: রোগে সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভতা নেই, পেঁচকের মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসেও কোন অশুভতা নেই। (মিশকাত (বুখারী) ২/৩৯১, ইবনে মাজাহ ২/২৬১)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- عن ابن عباس رضى الله عنه قال كان رسول الله صلى الله عليه يتفاعل ولايتطير وكان يحب الاسم الحسن– وسلم অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুভ লক্ষণই গ্রহণ করতেন, কোন কিছু হতে অশুভ ধারণা গ্রহণ করতেন না এবং তিনি উত্তম নাম রাখাকে পছন্দ করতেন। (মিশকাত : ২/৩৯২)
আরেক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- عن قطف بن قبيصة عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم قال العيافة والطرق والطير يوم الجبت– অর্থঃ হযরত কাতাফ ইবনে কাবীসা স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- (ভাগ্যের ভালমন্দ নির্ণয়ের জন্য) পাখি উড়ানো বা ঢিল ছোঁড়া বা কোন কিছুতে অশুভ লক্ষণ মনে করা মূর্তিপূজার অর্ন্তভুক্ত। (মিশকাত (আবু দাউদ শরীফ) ২/৩৯২)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- عن ابن عباس رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- ابغض الناس الى الله ثلاثة ملحد فى الحرام ومبتغ فى الاسلام سنة الجاهلية ومطلب دم امرى مسلم بغير حق ليهريق دمه – অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত- (১) যে ব্যক্তি মক্কার হরমে নিষিদ্ধ বা গুনাহের কাজ করে, (২) যে ব্যক্তি ইসলামের ভেতর জাহিল যুগের প্রথা (অর্থাৎ অনৈসলামিক কর্মকান্ড) আবিষ্কার করে এবং (৩) যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে রক্তপাতের মানসেই কোন মুসলমানের রক্তপাত ঘটায়। (মিশকাত, বুখারী ১/২৭)

‘খাজানাতুর রিওয়ায়াত’ নামক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে-فى الفصول قال الشيخ ابو بكر الطرخانى من خرج الى السدة فقد كفر. فيه اعلان الكفر- وعلى قياس مسئلة السدة الخروج الى نيروز المجوس والموافقة معهم فيما يفعلونه فى ذلك اليوم من المسلمين كفر وكذا الخروج الى لعب كفرة الهند فى اليوم الذى يدعونه بسرتى والموافقة معهم فيما يفعلونه من تزيين البقور والافراس والذهاب الى دور الاغنياء يلزم ان يكون كفرا وكذا الخروج فى ليلة تلعب فيها كفرة الهند بالنيران والموافقة معهم فيما يفعلونه فى ذلك اليوم من المسلمين كفر انتهى –
‘ফাতাওয়ায়ে বাযযাযিয়ায়’ উল্লেখিত হয়েছে- الخروج الى نيروزالمجوس والموافقة معهم فيما يفعلونه فى ذلك اليوم كفر واكثر مايفعل ذلك من كان اسلم منهم فيخرج فى ذلك اليوم فيصيربذلك كافرا ولايشعر به اجتمع المجوس يوم النيروز فقال مسلم : ما اجمل بك يكفر-
وفيه ايصا- وما جرت العادة بسمرقند بنصب امير نيروز واجتماع الناس وخروجهم الى باب رحمه واجتماعهم فيه ثلاثة ايام فلا شك انهم ان ارادوا به تعظيم اليوم لذلك كفروا وان اردوا به غيره فالاصواب تركه وكذا اجتماع المسلمين يوم فصح النصارى انتهى - (مجموعة فتاوى مولانا عبد الحى , ৫৪২)

সুতরাং উপরোক্ত দলীলসমূহ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের আকীদা-বিশ্বাস রেখে উক্ত শোভাযাত্রা পালন করা নাজায়েজ ও হারাম। এটা পালনের মাধ্যমে ঈমানহারা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

(৩ ও ৪) পহেলা বৈশাখখের কথিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় নারী-পুরুষ অবাধে একসাথে মেলামেশা করে যাত্রা করে। বিভিন্ন আকর্ষণীয় পোশাকে নানা বয়সের নারী-পুরুষ এতে যোগ দেয়। যুবক-যুবতীদের প্রাধান্য থাকে এই নববর্ষ উদযাপন র‌্যালিতে। সামনে থাকে নারীরা। তাদের পেছনে থাকে পুরুষ ও অন্যান্য লোকেরা। এই শোভাযাত্রায় লঙ্ঘিত হয় পর্দার সুস্পষ্ট বিধান, যা নারী-পুরুষ সকলের উপর ফরজ। অশালীন ও রগরগে বেশ-ভ‚ষা এবং বাঁধভাঙা আচরণ ও অবাধ মেলামেশা মানুষের পশুবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। কুৎসিত কামনাকে উত্তেজিত করে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মহান আল্লাহ তাআলা সূরা নূরের ৩০-৩২ নং আয়াত পর্যন্ত এর সমাধান ঘোষণা করে বলেছেন- ‘নর-নারী উভয়েই যেন দৃষ্টি সংযত ও নত করে রাখে। পুরুষরা যেন তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। নারীরাও যেন তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত কারো সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।

এছাড়া এদিন এবং এদিনকে উপলক্ষ্য করে বিনোদনের নামে নাচ-গান, কনসার্ট, বিভিন্ন নামে দীর্ঘ দিনব্যাপী মেলা ও যাত্রার মাধ্যমে অশ্লীলতার ব্যাপক আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে নারী-পুরুষ অবাধে যোগদান করে। যার ফলে হাজারো নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়। বহু নারী সম্ভ্রম ও সতীত্বহারা হয়। অশ্লীলতায় সয়লাব থাকে চারদিক।

এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ অর্থঃ প্রকাশ্যে হউক কিংবা গোপনে হউক, তোমরা অশ্লীল কাজের নিকটেও যেও না। (সূরা আনআম : ১৫১)

অপর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন- وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ অর্থঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য (গান-বাজনা) ক্রয় করে এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রƒপ করে। তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লোকমান : ০৬)

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- رواه البخاري "৫৫৯০" في صحيحه من حديث أبي مالك الأشعري أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم - يقول: "ليكونن من أمتي أقوام يستحلون الحر والحرير والخمر والمعازف .. الحديث"، والمعازف في الحديث- هي : آلات الطرب والغناء ومزامير الشيطان والخنا ، سيما ما أحدث في هذا العصر من آلات ومزامير وأبواق وأعواد وأوتار تورث سامعيها السكرة ، وتجلب لهم الخزي والعار، وتسبب الدياثة وذهاب الغيرة واستيلاء العهد والفجور .
من الأدلة ما رواه أحمد " ৮৮৫১" ، ومسلم "২১১৪" ، وأبو داود "২৫৫৬"، والنسائي في السنن الكبرى" ৮৭৬১" ، وابن خزيمة "২৫৫৪" من حديث أبي هريرة - رضي الله عنه - أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قال :" الجرس مزامير الشيطان " অর্থঃ ইমাম বুখারী রহ. আবূ মালিক আশআরী রা. এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করে বলেছেন (হাদীস নং-৫৫৯০) যে, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন- ‘অবশ্যই আমার উম্মতের মাঝে এমন কিছু সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা স্বাধীন ব্যক্তি, (অর্থাৎ তাকে গোলামে পরিণত করা) রেশমের কাপড় পরিধান করা, মদ পান করা এবং ‘মাআযিফ’কে হালাল মনে করবে’। হাদীসে বর্ণিত ‘মাআযিফ’ শব্দের অর্থ হলো- গান ও সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্র, শয়তানের বাঁশী এবং অশ্লীল কথা-বার্তা। বর্তমান যুগে যেগুলোর আধুনিক নাম হলো- পিয়ানো, ক্লারিনেট, বিউগল, বীণা ও গিটার। এগুলো শ্রোতাদের মাঝে মাদকতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যা তাদের জন্য ডেকে আনে লাঞ্চনা ও গঞ্জনা। এগুলো তাদের মাঝে কদর্যতা সৃষ্টি করে, আত্মসম্মানবোধ দূর করে দেয় এবং নানা ধরনের পাপাচার ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বিস্তার লাভ করে। (এগুলোর অনিবার্য ফল অশ্লীলতা। এক সময় আত্মসম্মানবোধ হারিয়ে যা ইচ্ছে তা-ই করতে থাকে)।
এই ব্যাখ্যার দলীল হলো- হযরত আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত হাদীস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- বেল/ঘন্টাধ্বনি হলো-শয়তানের বাঁশি। (আহমদ ৮৮৫১, মুসলিম ২১১৪, আবূ দাউদ ২৫৫৬, নাসায়ী কুবরা ৮৭৬১, ইবনে খুযায়মা ২৫৫৪)

অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- عن ابى امامة (رض) قال قال النبى صلى الله عليه وسلم- إن الله تعالى بعثنى رحمة للعالمين وهدى للعالمين وامرنى ربى عز وجل بمحق المعازف والمزامير والاوثان والصلب وامر الجاهلية – অর্থঃ হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- মহান আল্লাহ আমাকে জগতবাসীর জন্য রহমত ও বরকত এবং জগতবাসীর জন্য হিদায়েত ও পথ-প্রদর্শক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আর আমার সেই পরাক্রমশালী প্রভু আমাকে সর্ব প্রকারের ঢোল, যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র, মূর্তিপূজা, শূলি ও ক্রুশ এবং জাহিলী যুগের কু-প্রথা ও কুসংষ্কার নির্মূল ও ধ্বংস সাধনের নির্দেশ দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত ২/৩১৮)

আরেক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- عن جابر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- الغناء ينبت النفاق فى القلب كما ينبت الماء الزرع –(رواه البيهقى) অর্থঃ হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- গান মানুষের অন্তরের ভিতর মুনাফিকী উৎপাদন করে যেমন পানি শস্য উৎপাদন করে থাকে। ( বাইহাকী, মিশকাত ২ /৪১১)
‘মাদারিজুস সালেকীন’ নামক কিতাবে আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন-وقد اتفق الأئمة الأربعة على تحريم الملاهي التي هي آلات اللهو كالعود ، ونحوه ... وقال شيخ الإسلام - رحمه الله - : والمقصود هنا أن آلات اللهو محرمة عند الأئمة الأربعة ، ولم يحك عنهم نزاع في ذلك ، وأما الغناء المجرد الخالي من آلات الطرب فمحرم عند أبي حنيفة ومالك ورواية عن الشافعي وأحمد ،وإليه أشار ابن القيم في (مدارج السالكين) -. অর্থঃ চার মাযহাবের ইমামগণ রহ. বীণা, সেতার ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে গান-বাজনা হারাম হওয়ার ব্যাপারে একমত। শায়খুল ইসলাম রহ. বলেন, এখানে এ কথা বলা উদ্দেশ্য যে, বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে গান-বাজনা চার ইমামের নিকটই হারাম। এ ব্যাপারে তাদের মাঝে কোন মতপার্থক্য বর্ণিত হয় নি। ইমাম আবূ হানিফা রহ. ইমাম মালেক রহ. এবং ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ রহ. এর এক অভিমত অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্রবিহীন গান গাওয়াও হারাম।

(৫) পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে অপচয় হয়ে থাকে। চারদিকে শুরু হয় অপচয়ের মহোৎসব। নববর্ষের কথিত উৎসবকে কেন্দ্র করে মার্কেট, শপিংমলগুলোতে নানা রং-বেরঙের বিজাতীয় সংস্কৃতির পোশাক কেনার হিড়িক হড়ে যায়। নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতীরা সমানতালে পাল্লা দিয়ে মার্কেটিং করে। শুধু একদিনকে কেন্দ্র করে। সকালের প্রথম প্রহরের জন্য এক ধরনের পোশাক ও বিকেলের জন্য আরেক ধরনের পোশাক কেনা হয়। পহেলা বৈশাখ চলে গেলে এই পোশাকের কোন আবেদন থাকে না, যেমন বছরব্যাপী ঈদের পোশাকের আবেদন থাকে। নির্দিষ্ট দিনের পর এই পোশাক আর পরা হয় না। এই পোশাক পরে ভিন্ন কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার রীতি-নীতিও সমাজে প্রচলন নেই। বছর ঘুরে এলে সেই পোশাক বাদ দিয়ে নতুন পোশাক কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে সবাই। যা সুস্পষ্ট অপচয়ের নামান্তর। এছাড়া লাখো মানুষের ফজরের নামাজ বাদ দিয়ে প্রভাতে চড়া দামে পান্তা-ইলিশ খাওয়া ও কুফুরীপূর্ণ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নামে ‘অমঙ্গল যাত্রা’র জন্য হাজার হাজার জীবজন্তুও প্রতিকৃতি বানানোর পেছনে প্রচুর অর্থকড়ি ব্যয় করা হয়। যা মহা অপচয়ের শামিল। ইসলামী শরীয়তে তার কোন ভিত্তি নেই। পবিত্র কুরআনে কারীমে বিশের অধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। অপচয়ের ক্ষতির বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এবং অপচয়কারীদের পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন।

মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ অর্থঃ তোমরা আহার করো ও পান করো। কিন্তু (কোন ক্ষেত্রে) অপচয় করিও না। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের কে পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ : ৩১)
অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন- إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا অর্থঃ যারা অপব্যয় করে তারা তো শয়তানের ভাই এবং শয়তান তাহার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনী ইসরাঈল : ২৭)

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لايؤمن احدكم حتى يكون هواه تبعا لما جئت به – অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ( রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- কোন ব্যক্তি মু‘মিন হতে পারে না যে পর্যন্ত না তার প্রবৃত্তি আমার আনীত দীনের অধীনস্থ বা অনুগত না হয়।
অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهديين تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ واياكم ومحدثات الامور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة- অর্থঃ তোমাদের জন্য অপরিহার্য হলো, আমার সুন্নত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের পূর্ণ অনুসরণ করা। তোমরা একে দাঁত দ্বারা কামড়ে ধর (অর্থাৎ শক্ত ও দৃঢ়ভাবে তা আঁকড়ে ধর)। সাবধান! তোমরা দীনের ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর বহির্ভূত) নব আবিষ্কৃত বিষয়াদি থেকে বেঁচে থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন জিনিস বিদআত বলে গণ্য। আর প্রত্যেক বিদ‘আতই গুমরাহীর কারণ। (ইবনে মাজাহ ১/৫

সুতরাং পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অপচয় সম্পূর্ণ শরীয়তবহির্ভুত এবং শয়তানী কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। এ থেকে বেঁচে থাকা সকলের উপর আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সহী বুঝ দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০১
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এতো কাঁদাও কেনো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬




আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে ছিটানো হবে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়ো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০২




জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই উত্তপ্ত এই পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×