somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাষার কলতান : কাল থেকে কালে

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.
পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যার আত্মপ্রকাশের ভাষা আছে। মানুষ অর্থবহ ধ্বনি উচ্চারণ করে এবং আপন অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করে। এই অর্থবহ ধ্বনিগুলোর সমন্বয়েই গড়ে ওঠে ভাষা। যা তাকে সবার আত্মীয় করে তোলে। ভাষার মাধ্যমে সে অপরাপর মানুষের সাথে যুক্ত হয়। শুধু বর্তমান নয়; ভাষা তাকে অতীত ও ভবিষ্যত কালের সঙ্গেও যুক্ত করে। ভাষার মাধ্যমেই পারষ্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসার সম্পর্কের বিনির্মাণ হয়।

যাপিত জীবনে আমাদের ব্যবহৃত ভাষায় যেমন বিশ্বাস আছে, গৌরব আছে, ঠিক তেমনি নিজেকে উপস্থাপন ও আত্মপ্রকাশের একটি নিবেদনও আছে। মানুষ মানব হয়ে ওঠার মূলে হল ভাষা। যদি ভাষা না থাকত তাহলে মানুষ অন্য প্রাণী থেকে আলাদাভাবে চিত্রিত হত না। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীরও ভাব ও ভাবনা আছে। আবেদন ও নিবেদন আছে। আবেগ ও চিন্তা আছে; কিন্তু প্রকাশ ক্ষমতা নেই। এই একটি গুণ মানুষকে অন্য প্রাণীদের থেকে অনন্য স্থানে আসীন করেছে।

ভাষা জিহবা নির্ভর হলেও উচ্চারণ চিন্তানির্ভর। উচ্চারণের মাধ্যমে মানুষের চিন্তার বিকাশ ঘটে। এর মাধ্যমেই মানুষকে মানুষ হিসেবে যাচাই করা হয়। বিখ্যাত জার্মান সাহিত্যিক এজরা পাউন্ড বলেছেন - ‘ভাষা হচ্ছে ওষ্ঠলালিত জীবনের কাকলী’। ভাষার কোন ক্ষয় নেই, কোন পরিসমাপ্তি নেই। ভাষা চিরকাল জাগ্রত থাকে আপন মহিমায়। পাখির কলকাকলি যেমন রুদ্ধ করা যায় না, ভাষার কলতানও তেমনি অবিনশ্বর, তাকে বাধা দিয়ে রুখা যায় না। আনন্দ-বেদনায়, রোগে-শোকে,ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ভাষা প্রকাশিত হয়। ভাষা হচ্ছে মানুষের অস্তিত্বের স্মারক, যা তার অস্তিত্বকে ধারণ করে রাখে।

দুই.
মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে কখন থেকে ভাষার প্রয়োগ শুরু করেছে এবং পৃথিবীর আদি ভাষা কোনটি, এ ব্যাপারে ভাষাবিদদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায় না। অনেকের ধারণা যে, সৃষ্টির শুরুতে মানুষ ইশারা ইঙ্গিতেই আপন মনের ভাব প্রকাশ করত। পরবর্তীতে হয়ত যাপিত জীবনের পথ-পরিক্রমায় প্রকৃতির অনুপম রূপ-সুষমা দেখে বিমুগ্ধ হয়েছে। ঝিরঝির হিমেল হাওয়ার স্পর্শে উজ্জীবিত হয়েছে। দিগন্তজোড়া আকাশের নীলিমায় বিমোহিত হয়েছে। আবার কখনো হয়ত আবেগপ্রবণ হয়েছে। দুঃখ-বেদনায় ব্যথিত হয়েছে। আনন্দে উদ্বেল হয়েছে। উচ্ছ¡সিত হয়েছে এবং তা ভাষায় ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছে।

কিংবা দূর পথের পথিক পথ চলতে চলতে যখন অবসন্ন দেহ নিয়ে নেতিয়ে পড়েছে, পিপাসার্ত হয়েছে; সূর্যের খরতাপে বিশূষ্ক হয়ে পড়েছে দেহমন, ঠিক তখনই সে মরীচিকার মত পেয়ে গেছে সবুজ ছায়াঘেরা কোন বনবীথি, নির্ঝর, কিংবা কলকল রবে বহমান সরোবর। তখন সেই তরুবীথির স্নিগ্ধ পরিবেশ, ও প্রবহমান ঝর্ণাধারার কলতান তার মনকে জুড়িয়ে দিয়েছে। হৃদয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে অনাবিল আনন্দের তৃপ্তিময় আবেশ। হৃদয়ের সেই তৃপ্তি ও উচ্ছাস হয়তোবা ইশারাকে ছাপিয়ে কন্ঠনালিকে অতিক্রম করতে চেয়েছে। আর তখনই সুর ও স্বরের ব্যঞ্জনায় অবচেতন মনে বেরিয়ে এসেছে কিছু অস্ফুট ধ্বনি। সেই ধ্বনিসমষ্টির মাধ্যমে সূচিত হয়েছে ভাব প্রকাশের অর্থপূর্ণ সুনির্দিষ্ট কিছু ধারা। যা কালে কালে বিবর্তিত হয়ে রেখাচিত্র ও বর্ণমালার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।এরপর ধীরে ধীরে তা মানুষের মুখে মুখে বিভিন্ন ভাষায় বিস্তার লাভ করেছে।

এ ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মধ্য ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত একটি জাতি বাস করত। তারা মোটামুটি একই ভাষায় কথা বলত; মনের ভাব প্রকাশ করত। এদের ভাষার নাম ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে আদি ও প্রাচীন ভাষা। সকল ভাষার মা এই ইন্দো-ইউরোপিয়ান মূল ভাষা।

ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে ভাষাবিদদের নানা অভিমত কেবল আনুমানিক পর্যালোচনা মাত্র। এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। এক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন আমাদেরকে সুস্পষ্ট একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছে। কুরআনের ভাষ্য হলো, প্রথম মানব হযরত আদম আ.কে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন ভাষা দিয়ে, পূর্ণজ্ঞান দিয়ে। পৃথিবীর সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বস্তুর নাম তিনি তাঁকে শিখিয়েছেন। ভাষায় হাতেখড়ি নিয়ে তিনি শিখেছেন ভাব ব্যক্তকরণ প্রক্রিয়া। অত:পর তাকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। মাটির তৈরি মানুষ আগুনের তৈরি ফেরেশতাকূলের সামনে শ্র্রেষ্ঠ বলে প্রমাণিত হয়েছেন আপন ভাষাজ্ঞানে সকল বস্তুর নাম বলে দেওয়ার মাধ্যমে। হযরত আদমের এই ভাষাজ্ঞান লাভ ও তার আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে আমরা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারি।

প্রথম শেখা সেই ভাষাই বনী আদমের মাঝে চর্চিত হয়েছে কাল কাল ধরে। স্থান ও কালের ব্যবধানে উচ্চারণের জটিলতার কারণে ভাষায় নানা বৈচিত্র সৃষ্টি হয়েছে। কালের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় সেই বৈচিত্রতা নানা ভাষায় রূপ নিয়েছে। আজ আমরা যে ভাষায় কথা বলছি, গান গাইছি, গৌরববোধ করছি তা সেই আদি ভাষার নানা বৈচিত্রের এক অনিন্দ রূপ। তাই ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাকের সূত্রে আল্লামা আসাকিরের ভাষায় আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে, আজ থেকে (২০১৬) প্রায় ছয় হাজার আটশত আটাত্তর বছর পূর্বে ভাষার জন্ম হয়েছে। যা হযরত আদম আ. এর হাত ধরে আরবী ভাষার মাধ্যমে সূচিত হয়েছে।

তিন.
বীজ থেকে যেমন বীজের জন্ম হয়, ঠিক তেমনি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা জন্ম লাভ করে। বিকশিত হয়। কালে কালে রূপ বদলায়। নতুন ভাষা হল পুরোনো ভাষার ক্রমবদলের ফল। ভাষাবিদদের মতে, আজ আমরা যে ভাষায় কথা বলছি, হৃদয়ের ভাব বিনিময় করছি, তা কিন্তু আরেকটি ভাষার ক্রমবদলের ফল। তার নাম প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা।এটি ইন্দো-ইউরোপিয়ান মূলভাষার প্রধান শাখাভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তন হতে হতে গৌড় প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে পরিণত হয়েছে এই বাংলা ভাষায়।

ভাষা বদলায় মানুষের কণ্ঠে। উচ্চারণের ভিন্নতা কালে কালে মানুষকে নতুন নতুন ভাষা সৃষ্টির দিকে নিয়ে গেছে। বাংলা ভাষাও সূচনাতে আজকের মত ছিলনা। ছিল রহস্যঘেরা ও কুহেলিকাপূর্ণ। বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদ আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে (৬৫০ খৃ:) রচিত হয়েছে। এখন চর্যাপদ আমরা যেমন পড়তে পারব না, তেমনি এর অর্থ একবিন্দুও বুঝব না। অথচ তা বাংলা ভাষায় লিখিত। সময়ের সাথে সাথে তার মাঝে কত পরিবর্তন ঘটেছে! পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা নিজের গতিপথ যেমন নিজেই ঠিক করে নেয়, তেমনি ভাষাও কালে কালে নিজের গতিপথ নিজেই নির্মাণ করে নেয়।

মানুষ বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে। যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে। আর আপন সত্ত্বার পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে। ভাষায় মানুষের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি সাহিত্য। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনধারা, চিন্তা-চেতনা, অনূভব-অনুভূতির সার্থক রূপায়ণ ও চিত্রায়নই হল সাহিত্য। সাহিত্য আমাদের চেতনাকে শাণিত করে। হৃদয়কে আলোড়িত করে। মনকে অনুপ্রাণিত করে এবং মননকে শীলিত করে। উপস্থাপনার কুশলতা ও বর্ণনার প্রাঞ্জলতা মোহিনী মন্ত্রের ন্যায় পাঠক শ্রোতাকে বিমোহিত করে তুলে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘সেই সাহিত্যকেই আমরা শ্রেষ্ঠ সাহিত্য বলি যা রসজ্ঞদের অনুভূতির কাছে আপন রচিত রূপ-রসকে অবশ্য স্বীকার্য করে তোলে’। সাহিত্য নামক সুরবিহীন স্বরের এই মুর্ছনা হৃদয়কে সজীব ও সজাগ করে তোলে। আবেগের বানে প্লাবিত হয় তনুমন।

প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে রচিত হচ্ছে বাংলা সাহিত্য। বাংলা ভাষার সূচনা যখন থেকে, বাংলা সাহিত্যের সূচনাও তখন থেকে। সাহিত্য হচ্ছে আলোর পৃথিবী। এখানে যা কিছু আসে আলোকিত হয়ে আসে। কালো এখানে এসে নীল হয়ে যায়। অসুন্দর হয়ে ওঠে সুন্দর শিল্পকলা। অশালীন এখানে শালীনতার চাদর খুঁজে পায়। যুগ যুগ ধরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে এমন সুন্দর করে সাজিয়েছেন কত কবি, কত গল্পকার। তাদের কারো কারো নাম আমরা জানি। তবে অনেকের নাম জানি না। তারা অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষা ও সাহিত্যকে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

হিন্দুকালে (১১০০-১২০০ খৃ:) হিন্দুরা ছিল সমাজের উচ্চশ্রেণীর লোক। তারা কথা বলত সংস্কৃত ভাষায়। বাংলা ভাষাকে তারা অপছন্দ করত। কেউ কেউ ঘৃণাও করত। তাই হিন্দুকালের কোন বাংলা সাহিত্যের খোঁজ পাওয়া যায় না। সেসময় সমাজের উচ্চশ্রেণীর লোকদের বিপুল বাধা-বিপত্তি সত্তে¡ও সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। ভালবেসেছেন। সযতেœ লালন করেছেন। নিজেরা এর প্রবহমানতা অব্যাহত রেখেছেন। পরবর্তীতে অন্যান্য শাসকগণও চেয়েছেন ভিনদেশী ভাষা এই ভূমে চাপিয়ে দিতে। কিন্তু বাংলাপ্রিয় সাধারণ মানুষ তাদের এই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছেন বিপুল ত্যাগ ও দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে।

চার.
যুগ যুগ ধরে বাংলা ভাষার প্রতি এই ভূখন্ডের মানুষদের গভীর ভালবাসা ও সীমাহীন ত্যাগের সর্বশেষ আয়োজন ছিল ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারী। সাধারণ মানুষ সামাজিকতার বাঁধ ভেঙে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে। কিন্তু এখানেও শাসক শ্রেণী বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবারো ত্যাগ ও আত্মদানের মুখোমুখি হয়েছে এদেশের মানুষ। বাংলা ভাষাকে সমুন্নত রাখার প্রশ্নে যারা আপোষহীন, মাথানত করা যাদের স্বভাব বিরুদ্ধ, মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ যাদের কাছে গৌণ তাদের রুখবে কে? না, কেউ রুখতে পারেনি। এদিন হিংস্রতায় উন্মত্ত শাসকশ্রেণীর গুলিবৃষ্টির সামনে বুক পেতে দিয়েছে বাংলার মানুষ। রাজপথে বুকের তাজা খুন ঝরিয়ে, প্রাণ বিলিয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে মাতৃভাষা বাংলাকে। মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য শহীদ হওয়ার নজীর পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তাই আমরা তাদের রক্তদানের সেই গৌরবগাঁথা গর্বভরে স্মরণ করি।

যে ভাষা আমরা প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে ব্যবহার করি, যে ভাষায় স্বপ্নে আমাদের চিত্তালোক জাগ্রত হয়, তনুমন আলোড়িত হয়, সেই বাংলা ভাষা আজ নাস্তিকতার বিষবাষ্পে নীল হয়ে উঠেছে। এফ.এম রেডিও, টেলিভিশন, মঞ্চ নাটক ও সিনেমায় বিনোদনের নামে আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করা হচ্ছে অশুদ্ধ, অশ্রাব্য ও অশালীনভাবে। ভাষা বিকৃতি যেন আজ আমাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এই ভাষাকে অবলম্বন করেই সমাজ ও রাষ্ট্রের বুক থেকে নাস্তিকতার বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে বাংলা ভাষাকে বিশুদ্ধ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। মনে রাখতে হবে, মাতৃভাষা বাংলা আমাদের এক গৌরবময় অর্জন।

মানুষ যখন সাহিত্য সৃষ্টি করে, যখন কবিতা বা গল্প লিখে, তখন সে ভাষাকে আবিষ্কার করতে চায়। এই ভাষাকে আবিষ্কার করতে গিয়ে আমরা একদিন আমাদের স্বদেশকে পেয়েছি। এখন আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে এ ভাষার মধ্য দিয়ে আমাদের হৃদয়কে পেতে। আমরা আমাদের ভাষার সৌন্দর্যের মধ্যে আমাদের সত্ত্বাকে আবিষ্কার করতে চাই।

তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
নির্বাচিত প্রবন্ধ, সৈয়দ আলী আহসান
লাল নীল দীপাবলী, হুমায়ন আজাদ
বাংলা সাহিত্যে ওলামায়ে কেরামের অবদান, আবুল ফাতাহ ইয়াহইয়া

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এতো কাঁদাও কেনো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬




আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে ছিটানো হবে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়ো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০২




জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই উত্তপ্ত এই পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×