একদিন তারেকের বাবা দোকান থেকে একটি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন রোবট কিনে নিয়ে এলেন। বিশেষ ক্ষমতাটি হলো, রোবটটি মিথ্যা নির্ণয় করতে পারে এবং মিথ্যাবাদীর গালে কষে চড় লাগিয়ে দেয়।
সেদিনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অ-নে-ক দেরিতে স্কুল থেকে বাসায় ফিরল তারেক। দরজা ঠেলে রুমে ঢুকতেই বাবা বজ্রকন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,"আজ এত দেরি হল কেন রে?"
তারেক কাচু-মাচু স্বরে জবাব দিল "আজকে অতিরিক্ত ক্লাস ছিল...... কথা শেষ না হতেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোবটটি তারেকের গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল।
"দেখ তারেক" বাবা বললেনঃ "এই রোবটটি মিথ্যা শুনলে বুঝতে পারে এবং শাস্তি হিসেবে দেখলেই তো কী করে। তাই সত্যি করে বলো যে কেন তোমার দেরি হলো?"
বিস্মিত তারেক উত্তর দিলঃ আসলে বাবা আমি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। "কী সিনেমা?" বাবা জানতে চাইলেন। তারেক উত্তর দিল "টার্মিনেটর টু"। সঙ্গে সঙ্গে তারেকের গালে আবার ঠাস করে চড় কষাল রোবটটি। শব্দ হল আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
"কী, এখনও মিথ্যা বলবে?" বিদ্রুপাত্মক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন তারেকের বাবা। ইয়ে মানে..... ছবিটির নাম "ধুম"। গালে হাত বোলাতে বোলাতে উত্তর দিল তারেক।
এবার তারেককে উদ্দেশ্য করে বাবা বললেন "তোমার লজ্জিত হওয়া উচিত। স্কুলজীবনে আমি কখনো স্কুল কামাই দিয়ে সিনেমা দেখতে যাইনি"।
ঠাস করে প্রচন্ড জোরে আরেকটি চড়ের শব্দ হলো। তারেক অবাক হয়ে দেখল রোবটের চড় খেয়ে তার বাবা ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন।
"এসব কী হচ্ছে" রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন তারেকের মা। স্বামীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন, "একদিন না হয় স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখেছে। তাই বলে এতগুলো চড় মারতে হবে? এতটুকু দয়া মায়া নেই তোমার? শত হোক তোমারই তো ছেলে......
বাক্যটি শেষ না হতেই আগেরগুলোর থেকে প্রায় চারগুণ জোরে ঠাস করে একটি চড়ের শব্দ হলো। তারেক এবং তার বাবা অবাক হয়ে দেখল তারেকের মা নিজের ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১