somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের আলফী সমাচার-হাসি না আসলে মূল্য ফেরত। :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে কোন ধরনের বাংলা ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। ভুল-ত্রুটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখাতে চলে যাচ্ছি।
এই কাহিনীর অবতারনা হয় যখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। এইখানে প্রসংগত বলে রাখা ভাল যে, আলফী আমার ক্লাসেরই একটা মেয়ে। এই পিচ্চিকালে এই মেয়ের মাথায় এত প্রত্যুৎপন্নমতিতা দেখে আমরা মাঝে মাঝে হতবাক হয়ে যেতাম। প্রায় সময়ই পরীক্ষার খাতায় তার অসাধারন প্রতিভা আমরা দেখতে পেতাম। এটা তারই একটা নমুনা মাত্র।
ক্লাস সেভেনের ২য় সাময়িক পরীক্ষা। বিষয়- বাংলা ২য় পত্র। প্রশ্নপত্রের প্রথম প্রশ্নে সেই বহুল চর্চিত-চর্বিত প্রশ্ন- পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি? উদাহরনসহ বর্ণনা কর।
ঠিকঠাক মত উত্তর করলে পাওয়া যাবে পুরো পাচঁ নম্বর। প্রায় সবাই এই প্রশ্নের উত্তর জানে।
পদ- বাক্যে অবস্থিত সকল শব্দকে পদ বলে। পদ পাচঁ প্রকার। যথারীতি-বিশেষ্য, বিশেষন,সর্বনাম,ক্রিয়া,অব্যয়। বিশেষ্য- বাক্যে অবস্থিত সকল নামবাচক শব্দকে বিশেষ্য বলে। উদাহরন- আমার একটি বই আছে।এই বাক্যে বই বিশেষ্য। ইত্যাদি। কিন্তু বিপত্তিটা বাধল একটা আ-কার নিয়ে। সেদিন প্রশ্নপত্রে পদ এর প এর পরে কিভাবে যেন মুদ্রণ-ত্রুটির কারনে একটা বাড়তি আ-কার ছাপা হয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটা দাড়ায়, পাদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? আমরা সবাই পিচ্চি পোলাপাইন হলেও সবার কমনসেন্স এতটা খারাপ ছিলনা যে,প্রশ্নপত্রে এই ধরনের হাস্যকর ও উদ্ভট প্রশ্ন আসতে পারে। তাই সবাই স্বাভাবিকভাবে প্রচলিত পদের সংজ্ঞাটাই লিখলাম। এমনকি স্যাররাও বেশ কয়েকবার পই পই করে বলে দিলেন যে,প্রশ্নটা পাদ হবেনা,হবে পদ। কিন্তু একজন এই ব্যাপারটা মানতে নারাজ। সেই ব্যক্তিটা হল আমাদের আলফী শাহরিন।
পরীক্ষার হলেই আড়চোখে দেখতে পেলাম,আলফী ক্রমাগত কলমের মাথা কামড়াচ্ছে আর কি যেন ভাবছে। আমরাও জমজমাট কিছু একটার আশায় থাকলাম। তারপর যখন পরীক্ষার খাতা পূর্নমুল্যায়ন করার জন্য সব ছাত্রকে স্যার ক্লাশে আবার খাতা জমা দিলেন,আলফীকে সবার সামনে ডেকে তার খাতায় কি লেখা আছে তা সবাইকে পড়ে শোনাতে বললেন। আর তখনই আমরা সবাই আলফীর আসাধারন প্রতিভার কথা জানতে পারলাম। আলফী আমাদের কি পড়ে শোনালো তা এখানে হুবুহু তুলে ধরা হল।
পাদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
পাদ- আমাদের শরীর থেকে মৃদু বা উচ্চ স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে পায়ুপথ দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয়,তাহাকেই পাদ বলে। পাদ প্রধানত চার প্রকার। যথাক্রমে- ১)ফুশ ২)ফাশ ৩)ডুশ ৪)ডাশ।

১) ফুশ পাদ- ফুশ করিয়া উচ্চ স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয় তাহাকেই ফুশ পাদ বলে। উদাহরন- সাধারনত প্রবীণ সম্প্রদায় এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে।
২) ফাশ পাদ- ফাশ করিয়া মৃদু স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয়,তাহাকেই ফুশ পাদ বলে। উদাহরন- বাল্যকালে শিশুদের এই ধরনের পাদ দেবার প্রবণতা দেখা যায়।
৩) ডুশ পাদ- ডুশ করিয়া অতীব উচ্চ স্বরে যে সকল বায়ু আমাদের পায়ুপথ দিয়ে নির্গত হয় তাহাকেই ডুশ পাদ বলে। উদাহরন- মদ্যবয়সীরা ভরপেট খাওয়ার পর বায়ু সংবরন করিতে না পেরে এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে।
৪) ডাশ পাদ- ডাশ করিয়া ভয়ংকর উচ্চ স্বরে যে সকল বায়ু আমাদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে নির্গত হয় এবং পরিশেষে পরিবেশ দূষনের কারন হিসাবে প্রতিয়মান হয় তাহাকেই ডাশ পাদ বলে। উদাহরন- শেষ বয়সে মানে বুড়ো-বুড়ীরা প্রায়শ এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে কোন ধরনের সতর্ক সংকেত ছাড়াই।
কোথায় পদের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ,আর কোথায় পাদ নিয়ে মহাকাব্য লেখা। আমরা সবাই ত আলফীর প্রতিভা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
বলাবাহুল্য পাদ নিয়ে এই ধরনের যুগান্তরকারী ও গবেষনাধর্মী রচনা পৃথিবীর আর কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। আজকে এখানেই শেষ করছি। অন্য কোনদিন আরও মজার কিছু একটা নিয়ে হাজির হব। সবাই মন্তব্য করে উৎসাহিত করবেন।
:):):):):):):):):):):):):)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×